অণুরাষ্ট্র হল একটি রাজনৈতিক সত্তা, যার সদস্যরা দাবি করে যে তারা একটি স্বাধীন জাতি বা সার্বভৌম রাষ্ট্রের অন্তর্গত, কিন্তু তাদের বিশ্ব সরকার বা বড় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির আইনি স্বীকৃতি নেই।[১] বেশিরভাগই ভৌগলিকভাবে খুব ছোট, আকারে এক বর্গফুট থেকে পাঁচ লাখ বর্গমাইল। এগুলি সাধারণত ব্যক্তিগত উদ্যোগে সৃষ্টি হয়।
অণুরাষ্ট্রগুলো সাধারণত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু অঞ্চলের উপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে, তবে এগুলোর কোনো স্বীকৃতি থাকে না। এগুলো বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন থেকে আলাদা; এদের কর্মকাণ্ড সাধারণত এতটাই তুচ্ছ হয় যে, যেসব প্রতিষ্ঠিত দেশের ভূখণ্ডের উপর এরা সার্বভৌমত্ব দাবি করে, তারা এদেরকে উপেক্ষা করে। বেশ কিছু অণুরাষ্ট্র রাজস্বের উৎস হিসেবে মুদ্রা, পতাকা, ডাকটিকিট, পাসপোর্ট, পদক এবং অন্যান্য রাষ্ট্র-সম্পর্কিত জিনিসপত্র জারি করেছে।
অণুরাষ্ট্রগুলোকে নির্দেশ করার জন্য গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে Micronation শব্দটি ব্যবহার শুরু হয়।[২] Micropatrology শব্দটি কখনও কখনও অণুরাজনীতিবিদেরা অণুরাষ্ট্রবিদ্যা এবং ক্ষুদ্ররাষ্ট্রবিদ্যা উভয়ের অধ্যয়নে ব্যবহার করেন, যাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার সার্বভৌম জাতি-রাষ্ট্রগুলোকে Macronation হিসাবে উল্লেখ করেন।
অণুরাষ্ট্রগুলো ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষুদ্ররাষ্ট্রগুলোর সাথে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। ক্ষুদ্ররাষ্ট্রগুলো হচ্ছে আয়তনে ক্ষুদ্র কিন্তু স্বীকৃত সার্বভৌম রাষ্ট্র, যেমন অ্যান্ডোরা, বাহরাইন, লিচেনস্টাইন, মোনাকো, সান মারিনো, সিঙ্গাপুর এবং ভ্যাটিকান সিটি।[৩] এগুলো কাল্পনিক দেশ এবং অন্যান্য ধরনের সামাজিক গোষ্ঠী (যেমন ইকো-ভিলেজ, ক্যাম্পাস, উপজাতি, গোষ্ঠী, সম্প্রদায় ইত্যাদি) থেকেও আলাদা।