আধুনিকীকরণ-কে সে-সব সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রক্রিয়া ও সম্পর্কের একটি সেট হিসেবে ধরা যেতে পারে, যেগুলো আধুনিক জীবন সম্পর্কে ইউরোপীয় ধ্যানধারণার ওপর ভিত্তি করে ১৭ শতক থেকে গড়ে উঠেছে।
১৯শ শতাব্দীর শেষের দিকে সমাজবিজ্ঞানের তত্ত্ব, সামাজিক ডারউইনবাদ-এ মানব সমাজের বিবর্তনের নিয়মাবলী বিবৃত হয়েছে।[১] বর্তমান আধুনিকীকরণ তত্ত্ব মূলত জার্মান সমাজবিজ্ঞানী মাক্স ভেবার (১৮৬৪-১৯২০) এর প্রাসঙ্গিতকতা ও অসঙ্গতার ভূমিকা ধারণার সাথে সাথে বিকাশ লাভ করে। ভেবারের ধারণা আধুনিকীকরণের মূল রচনা করে এবং এই ধারণাকে জনপ্রিয় করে তুলেন হার্ভার্ডের সমাজবিজ্ঞানী থেলকট পার্সনস (১৯০২-১৯৭৯), যিনি ওয়েবারের কাজকে ১৯৩০ এর দশকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন এবং তার ব্যাখ্যা প্রদান করেন।[২][৩]
নতুন প্রযুক্তি সামাজিক পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। আধুনিকীকরণের পর থেকে সামাজিক পরিবর্তনে কৃষিভিত্তিক সমাজ থেকে শিল্পায়নে অগ্রসর হয়েছে। ফলে প্রযুক্তিগত দিকে নজর দেওয়া জরুরী হয়ে পড়ে। নতুন প্রযুক্তি সমাজ পরিবর্তন করে না। বরং প্রযুক্তিগত কারণে সামাজিক পরিবর্তন হয়।