সাইটের প্রকার | ওয়েব অনুসন্ধান ইঞ্জিন |
---|---|
উপলব্ধ | ইংরেজি ও আরো ২৬টি ভাষায় উপলব্ধ |
মালিক | স্যামুয়েল এনকারণেচিয়ন |
প্রস্তুতকারক | ক্রিশ্চিয়ান ক্রোল |
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা | এয়ার্তো দুপরেজ |
আয় | €৯.১ মিলিয়ন (২০১৯)[১] |
ওয়েবসাইট | ecosia info |
অ্যালেক্সা অবস্থান | ৪৬২ (সেপ্টেম্বর ২০১৯[হালনাগাদ])[২] |
বাণিজ্যিক | হ্যাঁ |
ব্যবহারকারী | ১৫,০০০,০০০+[৩][৩] |
চালুর তারিখ | ৭ ডিসেম্বর ২০০৯ |
বর্তমান অবস্থা | সক্রিয় |
ইকোশিয়া হলো জার্মানির বার্লিন ভিত্তিক একটি ওয়েব অনুসন্ধান ইঞ্জিন। যেটি তার লভ্যাংশের ৮০ শতাংশের বেশি অর্থ বনায়নের কাজে দান করে। ইকোশিয়া সামাজিক ব্যবসা, কার্বন ডাই-অক্সাইড হ্রাসকরণে ভূমিকা রাখা,[৪] আর্থিক স্বচ্ছতায় পূর্ণ সমর্থনের দাবি,[৫][৬] এবং এটির ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষাকারী হিসেবে নিজেদেরকে পরিচয় দিয়ে থাকে।[৭] ইকোশিয়া একটি উপকারী কর্পোরেশন হিসেবে বি ল্যাব কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান।[৮][৯]
ইকোশিয়া অনুসন্ধান ইঞ্জিন তাদের ব্যবহারকারীর নির্দিষ্ট পরিমাণ সার্চের বিপরীতে তারা গাছ রোপণ করে থাকে।[১০] জুন ২০২১ এর হিসাব অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইকোশিয়া ১২৮ মিলিয়নেরও বেশি সংখ্যক গাছ রোপণ করেছে বলে তারা দাবি করেন।[১১]
ইকোশিয়া প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ইয়াহু এবং বিং ও উইকিপিডিয়া থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও অনুসন্ধান ফলাফল প্রদর্শন করতো। ইকোশিয়া ও ইয়াহুর চুক্তি অনুযায়ী ইয়াহু তাদের সাইটে বিজ্ঞাপন সরবরাহ করতো।[১২]
ইকোশিয়ার বর্তমান অনুসন্ধান ফলাফল বিং কর্তৃক সরবরাহকৃত এবং নিজস্ব এলগরিদম এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে।[৭][১৩] এটি বর্তমানে ওয়েব ব্রাউজার ও মোবাইল অ্যাপ হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা যায়।[১৪] ২০১৮ সালে ইকোশিয়া ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা বান্ধব অনুসন্ধান হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। বর্তমানে ব্যবহারকারীদের অনুসন্ধানকৃত বিষয়বস্তু এনক্রিপ্টেড করা হয়ে থাকে ফলে ব্যবহারকারীদের তথ্য নিজেদের সংগ্রহে রাখে না। এছাড়াও এটি ব্যবহারকারীদের তথ্য তৃতীয় কোনো পক্ষের কাছে বিক্রি করে দেয় না। তাই বর্তমানে ইকোশিয়া একটি পরিবেশবাদী ও ব্যবহারকারী বান্ধব অনুসন্ধান ইঞ্জিন হিসেবে বিবেচিত। কোম্পানিটি ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষায় তাদের তথ্য সংগ্রহের জন্য অনুসন্ধান ফলাফলের ভিত্তিতে আলাদা কোনো ইউজার প্রোফাইল তৈরি করে না এবং গুগলের বাহ্যিক ট্র্যাকিং টুলস যেমন গুগল এনালিটিক্স এর মতোও কোনো টুলস ব্যবহার করে না।[১৫]
ইকোশিয়া তাদের ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপন থেকে আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি বিভিন্ন বৃক্ষরোপণ প্রকল্পে ব্যয় করে। কোম্পানিটি প্রতি মাসে তাদের আর্থিক প্রতিবেদন নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকে।[১৬] ২০১৮ সালের অক্টোবরে প্রতিষ্ঠাতা ক্রিশ্চিয়ান ক্রোল ঘোষণা করেন যে, তিনি তার নিজের শেয়ারের অংশ "পারপাস ফাউন্ডেশন" এ দিয়েছেন।[১৭][১৮]
ইকোশিয়া ২০০৯ সালের ৭ ডিসেম্বর কোপেনহেগেনে জাতিসংঘের জলবায়ু বিষয়ক আলোচনায় তার যাত্রা শুরু করে।[১৯] ইকোশিয়া বিভিন্ন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে সহায়তা করে আসছে। ২০১০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইকোশিয়া, জার্মানির আমাজান বেসিন এর জুরুয়েনা জাতীয় উদ্যান রক্ষায় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর ন্যাচারকে অর্থ সহায়তা দিয়েছিলো। অত্র এলাকাটি সুরক্ষায় সংগঠনটি বিভিন্ন কোম্পানি ও স্থানীয় সম্প্রদায়ের সাথে নকশা ও আর্থিক পরিকল্পনার কথা জানায়।
২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী, অনুসন্ধান ইঞ্জিনটি তাদের আয় ২৫০,০০০ ইউরোতে পৌছায়।[২০] ২০১৩ সালে ২ লক্ষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ইকোশিয়া ব্যবহার করেছিল
২০০৯ | ২০১০ | ২০১১ | ২০১২ | ২০১৩ | |
---|---|---|---|---|---|
জানুয়ারি | — | €৫৯২১.৬০ | €২৫২৯৭.৫৪ | €৭৮,৩২৬.৩৪ | €২০,০০০.০০ |
ফেব্রুয়ারি | — | €৭৩৯৩.৯৬ | €১৮,৬৯৭.৩২ | €৫৭,৭২৮.৪৬ | €২০,০০০.০০ |
মার্চ | — | €৮৯১১.৭৬ | €২০,২৯২.৯৫ | €৫৮,৩৫৯.০৮ | €৩২২৩৫.২৫ |
এপ্রিল | — | €৯,১৩৫.১১ | €১৭,৪৩০.৪১ | €৬২,০০০.৩৪ | — |
মে | — | €১০৯৭৯.০৩ | €২৯,৫২৪.৭৭ | €৫৮,২৬৯.৫৮ | — |
জুন | — | €১০,৬৭৮.১৯ | €২০,১৪৪.৯০ | €৫৬,০৯১.৬৭ | — |
জুলাই | — | €১২,০৯০.৪১ | €৩৬,৪৩৯.২২ | €৫৫,৩৫২.৫৬ | — |
আগস্ট | — | €১১,৫২৩.৭৭ | €৪৫,৭৯০.২৯ | €৫৪,৫৫১.৬১ | — |
সেপ্টেম্বর | — | €১২,৪৭৪.৭২ | €৩৬,২১৮.৯৭ | €৫২,৭২৭.৯৪ | — |
অক্টোবর | — | €১৩,৩০০.১৭ | €৪৩,৬৫১.২২ | €৫০,১১৪.৪৮ | — |
নভেম্বর | — | €১৫,৩৫৪.৯৬ | €৫৩,০১০.৯৩ | €২০,০০০.০০ | — |
ডিসেম্বর | €২,৬৫৬.৩৪ | €১৬,৩১৬.৮৫ | €৬০,৯৬০.৯৭ | €২০,০০০.০০ | — |
মোট বছর | €২,৬৫৬.৩৪ | €১৩৪,০৮০.৫৩ | €৪০৭,৪৫৯.৪৯ | €৬২৩,৫২২.০৬ | €৭২,২৩৫.২৫ |
সর্বমোট | €১,২৩৯,৯৫৩.৬৭ |
২০১৩ | ২০১৪ | |
---|---|---|
জানুয়ারি | — | €২২,০৪৪.০০ |
ফেব্রুয়ারি | — | €৪৪,০৮৯.০০ |
মার্চ | — | €৬৪,৭৭৯.০০ |
এপ্রিল | — | €৮২,২৮৩.০০ |
মে | — | €৭৩,০৬৫.০০ |
জুন | — | €৫৪,৫৮৮.০০ |
জুলাই | €৪৪০.০০ | €৬৯,৮৪৯.০০ |
আগস্ট | €৯,৭৪০.৯০ | €৫৮,০৬৩.০০ |
সেপ্টেম্বর | €৫২,১৭০.৯০ | €৪৮,৪০৯.০০ |
অক্টোবর | €৫৩,৮৫৯.১৪ | — |
নভেম্বর | €৫৮,০৫৯.০০ | — |
ডিসেম্বর | €৬২,১০৬.০০ | — |
মোট বছর | €২৩৬,৩৭৫.৯৪ | €৫২১,৬৮৮.০০ |
মোট | €৭৫৮,০৬৩.৯৪ |
২০১৫ সালে, ইকোশিয়া গ্রেট গ্রীন ওয়াল প্রজেক্টের অংশ হিসেবে আফ্রিকান ইউনিয়ন ও বিশ্ব ব্যাংক এর সহায়তায় বনায়নের জন্য আর্থিক ফান্ড গঠন শুরু করে।
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বি-ল্যাব এর হিসাব অনুযায়ী, ইকোশিয়া তাদের বিজ্ঞাপন থেকে প্রাপ্ত আয়ের ৮০ শতাংশ বৃক্ষরোপণে ব্যয় করে। ২০১৫ সালে ইকোশিয়ার হিসাব অনুযায়ী, তাদের ২.৫ মিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারীদের কারণে ২ মিলিয়নের বেশি গাছ রোপণ করতে সক্ষম হয়েছে।
২০১৫ সালের মে মাসে ইকোশিয়া, বেস্ট ইউরোপিয়ান স্টার্টআপ এইমড এট ইমপ্রোভিং সোসাইটি ক্যাটাগরিতে দ্য ইউরোপিয়ান টেক স্টার্টআপ অ্যাওয়ার্ড লাভ করে।[২৪]
২০১৬ সালের এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী, ইকোশিয়া জার্মানির স্টার্টআপ র্যাংকিংয়ে টপ ২ এ অবস্থান করে।[২৫] ২০১৭ সালের জুলাইয়ে ইকোশিয়ার সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫.৫ মিলিয়নে পৌঁছে এবং ১০ মিলিয়ন বৃক্ষ রোপণে সহায়তা করে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে এটির মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭ মিলিয়ন অতিক্রম করে এবং জার্মানির সবচেয়ে বড় ওয়েবসাইট হিসেবে অ্যালেক্সা র্যাংকিংয়ে ১২৭তম স্থান দখল করে নেয়।[২৬]
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত ইকোশিয়া ৫০ মিলিয়নের অধিক গাছ রোপণে অর্থ সহায়তা প্রদান করে।[২৭]
২০১৪ | ২০১৫ | ২০১৬ | ২০১৭ | ২০১৮ | ২০১৯ | |
---|---|---|---|---|---|---|
জানুয়ারি | — | €৬২,৫০০ | €৭২,৩৫০ | €১৩০,০০০ | €৪২১,৩৭০ | €৪৩৮,৮৪৬ |
ফেব্রুয়ারি | — | €৬৭,০০০ | €৬৫,৫০০ | €১৪৫,০০০ | €৪১১,২৬৯ | €৪৮২,৯৬৭ |
মার্চ | — | €৭২,০০০ | €৮৩,৭৫০ | €২৭০,৫৫১ | €৩০২,৫০১ | €৪৪৮,০৩৮ |
এপ্রিল | — | €৫০,০০০ | €৬৮,০০০ | €৩৩০,১৯৮ | €৩৪১,৫৮২ | €৫৯০,২৭৫ |
মে | — | €৫০,১৫০ | €৬৫,০০০ | €৪৪১,১৯৭ | €৩০০,৯০২ | €৬৯৬,২০৪ |
জুন | — | €৩২,২২০ | €৫৪,০০০ | €৪৪৬,০৭৫ | €২৬৪,০০৫ | €৭১৩,৫৭৯ |
জুলাই | — | €৪৪,৭৫০ | €৭৪,০০০ | €৪৪৯,৮১৫ | €৩১৯,১২৭ | €৮১৫,৩৭৮ |
আগস্ট | — | €৪৭,২৫০ | €৬৫,০০০ | €৩৮৮,০১৮ | €২৯৩,৪২১ | €৮৫৫,৩২৩ |
সেপ্টেম্বর | — | €৫৬,৫০০ | €৮৪,৯৯১ | €২৯৯,৬২১ | €৩০১,৯০৩ | |
অক্টোবর | €৫৬,০০০ | €৬৩,৭০০ | €১০২,৯০০ | €৩০৩,৯৪৯ | €২১৫,০১২ | |
নভেম্বর | €৩৬,০০০ | €৪৭,৪৫০ | €১৪০,৮০০ | €৩৭৭,০১৩ | €৪৪০,৯২৫ | |
ডিসেম্বর | €৪০,০০০ | €৬২,৪৫০ | €১৩৭,০০০ | €৪৭০,২১৫ | €৫৩৩,০৮০ | |
মোট বছর | €১৩২,০০০ | €৬৫৫,৯৭০ | €১,০১৩,২৯১ | €৪,০৫১,৬৫২ | €৪,১৪৫,০৯৭ | €৫,০৪০,৬১০ |
মোট | €১৫,০৩৮,৬২০ |
২০১৪ | ২০১৫ | ২০১৬ | ২০১৭ | ২০১৮ | ২০১৯ | |
---|---|---|---|---|---|---|
জানুয়ারি | ৩৩,৭৬৪ | ২২৩,২১৪ | ২৫৮,৩৯৩ | ৯৮৯,১৪৬ | ১,৮৭৩,০৩৭ | ২,০৪৭,১৩৯ |
ফেব্রুয়ারি | ৫৪,৮৬৬ | ২৩৯,২৮৬ | ২৩২,১৪৩ | ৬৯০,৫৬১ | ৩,৭০৬,৭১৬ | ১,৫৯৪,৮০৭ |
মার্চ | ৮০,০৫৮ | ২৫৭,১৪৩ | ২৯৯,১০৭ | ৯৯৩,৫১৪ | ২,০৮৩,৬৮২ | ৪৯০,১৩৭ |
এপ্রিল | ১০১,০৭১ | ১৭৮,৫৭১ | ১৭৮,৫৭১ | ২,৬৭০,৯১৭ | ১,৭৫৭,১৩১ | ৩,৪৭৪,২০৫ |
মে | ৮১,৫৮২ | ১৭৯,১০৭ | ২৩২,১৪২ | ১,৮৭৪,৭১২ | ২,৩৩২,৪০৭ | ৫,৬৯৯,৯৭৪ |
জুন | ৬০,৯৫২ | ১১৫,০৭১ | ১৯২,৮৫৭ | ৯২৯,৬১৮ | ৪,৮৫০,৩৭৫ | ১,৯৩৬,৬১৩ |
জুলাই | ৭৭,৯৯২ | ১৫৯,৮২১ | ২১৪,২৮৫ | ১,৭৬৫,০৬৭ | ২,২০১,২৪১ | ৪০৮,০৫৬ |
আগস্ট | ৬৪,৮৩২ | ১৬৮,৭৫০ | ২৩২,১৪২ | ১,৩৭৫,৫৯১ | ১,০৬৫,২২৫ | ১৩২,০৬৪ |
সেপ্টেম্বর | ৫৫,০৩০ | ২০১,৭৮৬ | ৩৫৫,২৮১ | ২,৪৫০,৫১১ | ২,৫০১,৪৯৭ | |
অক্টোবর | ২২১,৪২৯ | ২২৭,৫০০ | ৭৬২,৮১৪ | ২,০৬২,৮০৭ | ১,২২৬,৬৩৮ | |
নভেম্বর | ১৪২,৮৫৭ | ১৬৯,৪৬৪ | ৩৭২,৮৪৯ | ২,৫০৮,৮০৫ | ১,১১১,৪২৬ | |
ডিসেম্বর | ১৪২,৮৫৭ | ২২৩,০৩৬ | ৩৪১,৩৭৯ | ১,৮৭১,৫৪২ | ২,২৪৭,৩৫৭ | |
মোট বছর | ১,১১৭,২৯০ | ২,৩৪২,৭৪৯ | ৩,৬৭১,৯৬৩ | ২০,১৮২,৭৯১ | ২৬,৯৫৬,৭৩২ | ১৫,৭৮২,৯৯৫ |
মোট | ৭০,০৫৪,৫২০ |
ইকোশিয়া বিশ্বের ১৬টি দেশে বৃক্ষরোপণ করতে বিভিন্ন সংস্থার সাথে একসাথে কাজ করে। তার মধ্যে রয়েছে ইডেন রিফরেস্টেশন প্রজেক্টস, হোমস এট টের ও স্থানীয় বিভিন্ন সংস্থা। ইকোশিয়া বৃক্ষরোপনের ক্ষেত্রে যেসব এলাকায় অধিক গাছপালা দরকার সেসমস্ত জায়গায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করে। এছাড়াও জীববৈচিত্র্য হটস্পট এলাকায় বৃক্ষরোপণের দিকেও ইকোশিয়া দৃষ্টিপাত করে থাকে। তাদের এই কার্যক্রম কার্বন ডাই-অক্সাইড হ্রাসকরণ ও বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধ এবং সবুজায়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।[২৮][২৯][৩০] নিম্নোক্ত দেশসমূহে ইকোশিয়ার এক বা একাধিক প্রকল্প রয়েছে: পেরু, কলম্বিয়া, হাইতি, নিকারাগুয়া, ব্রাজিল,মরক্কো, স্পেন, সেনেগাল, বার্কিনা ফাসু, ঘানা, মাদাগাস্কার, উগান্ডা, তানজানিয়া, ইথিওপিয়া, কেনিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া[২৯]
২০১৮ সালের অক্টোবরে, ইকোশিয়া ও রিচার্ড পার্কিন্স এর সহায়তায় পুনঃউৎপাদন কৃষি প্রতিযোগিতা চালু করে।[৩১]
২০১৮ সালের ৯ অক্টোবরে ইকোশিয়া, জার্মান এনার্জি কোম্পানি আরডব্লিউই থেকে হ্যামবাক ফরেস্ট ক্রয় করতে ১ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব করে, উক্ত বনাঞ্চলটির গাছপালা কেটে লিগনাইট খনি উত্তোলনে ব্যবহার করায় ইকোশিয়া কিনে নেওয়ার প্রস্তাব করে।[৩২][৩৩]
১৫ মার্চ ২০১৯ এ গ্রেটা থানবার্গ পরিচালিত স্কুল স্ট্রাইক ফর ক্লাইমেট আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে জার্মানির বার্লিন স্ট্রাইকে অংশ নেওয়া প্রত্যেককে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে "ইকোশিয়া" সমর্থন করে। ২০১৯ সালের মে মাসে ইকোশিয়া ঘোষণা করে যে, তারা মাদাগাস্কারে ২৫ হাজার বৃক্ষরোপণ করেছে।[৩৪][৩৫] ২০১৯ সালের শুরু পর্যন্ত ইকোশিয়া সারাবিশ্বে ৫০ মিলিয়নের অধিক বৃক্ষরোপণ করে।[৩৬] ইকোশিয়ার সিইও ক্রিশ্চিয়ান ক্রোল বলছেন, যদি গুগ্লের বাজারের মাত্র ১০ শতাংশও ইকোশিয়া পেয়ে যায় তাহলেই বিশ্ব উষ্ণায়ন রোধ করে পৃথিবীর অর্ধেক অংশে সবুজায়ন করতে পারবেন তারা।
ইকোশিয়া গুগল ক্রোমে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করা যায়, কিন্তু এর জন্য ক্রোম ওয়েব স্টোর থেকে গুগল ক্রোম এক্সটেনশন ডাউনলোড করতে হয়।[৩৭]
২১ জুলাই ২০১৭ হতে ব্রেভ (ওয়েব ব্রাউজার) এও ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে ইকোশিয়া ব্যবহার করা যাচ্ছে।[৩৮] পেইল মুন (ওয়েব ব্রাউজার) এর সংস্করণ ২৬ এ (২৬ জানুয়ারি ২০১৬) এ ইকোশিয়াকে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে যুক্ত করা হয় এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ এ পোলারিটি ওয়েব ব্রাউজারের সংস্করণ ৮ এ ও ইকোশিয়া নতুনভাবে যুক্ত করা হয়। এছাড়াও ওয়াটারফক্স ওয়েব ব্রাউজারের সংস্করণ ৪৪.০.২ হতে ইকোশিয়া ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে যুক্ত রয়েছে।[৩৯] ভিভালদি (ওয়েব ব্রাউজার) এর সংস্করণ ১.৯ হতে ইকোশিয়াকে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন অপশন হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।[৪০] ২০১৮ সালের মার্চে ফায়ারফক্স ৫৯.০ জার্মান সংস্করণে ইকোশিয়াকে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন অপশন হিসেবে যোগ করা হয়।[৪১][৪২]