ইজমির প্রদেশ ইজমির প্রদেশ | |
---|---|
প্রদেশ ও মেট্রোপলিটন পৌরসভা | |
তুরস্কের মানচিত্রে ইজমির প্রদেশের অবস্থান | |
দেশ | তুরস্ক |
আসন | ইজমির |
সরকার | |
• মেয়র | টুনস সোয়ের (সিএইচপি) |
• ওয়ালি | সুলেমান এলবান |
আয়তন | ১১,৮৯১ বর্গকিমি (৪,৫৯১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০২২)[১] | ৪৬,৬২,০৫৬ |
• জনঘনত্ব | ৩৯০/বর্গকিমি (১,০০০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | টিআরটি (ইউটিসি+৩) |
এলাকা কোড | ০২৩২ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |
ইজমির প্রদেশ (তুর্কি: İzmir ili) হলো পশ্চিম আনাতোলিয়ার তুরস্কের একটি প্রদেশ এবং মেট্রোপলিটন পৌরসভা যা এজিয়ান সাগরের উপকূলে অবস্থিত। এর রাজধানী হল ইজমির শহর, যেটি তুরস্কের মোট ৩০টি প্রদেশের মধ্যে কেন্দ্রীয় ১১টি জেলা নিয়ে গঠিত। এটির পশ্চিম পাশ এজিয়ান সাগর দ্বারা বেষ্টিত এবং এটি ইজমির উপসাগরকে বেষ্টিত করেছে। এর আয়তন ১১,৮৯১ বর্গকিলোমিটার (৪,৫৯১ বর্গমাইল),[২] এবং এর জনসংখ্যা ৪,৬২,০৫৬ (২০২২)।[১] প্রতিবেশী প্রদেশগুলি হলো উত্তরে বালিকেসির প্রদেশ, পূর্বে মানিসা প্রদেশ এবং দক্ষিণে আইদিন প্রদেশ। প্রদেশের ট্রাফিক কোড হল ৩৫।
প্রদেশের প্রধান নদীগুলির মধ্যে রয়েছে কুচুক মেন্ডেরেস নদী, কোকা কায়ে (গুজেলহিসার বাঁধ), এবং বাকিরসায়।
এটি ভূমধ্যসাগরের প্রাচীন আইওনিয়ার প্রাচীনতম শহর এবং বন্দরগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এটি প্রায় ৩০০০ খ্রিস্টপূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং আজ পর্যন্ত টিকে আছে। প্রাচীনকাল থেকে ১৯২২ সালে স্মার্নার ধ্বংস এবং লুসানের চুক্তির ফলে গ্রীস ও তুর্কিদের জনসংখ্যা বিনিময় পর্যন্ত এটি গ্রীক জনগোষ্ঠীর দ্বারা শাসিত ছিল। এর দীর্ঘ ইতিহাসে এটি দুবার এর অবস্থান পরিবর্তন করেছে।
প্রথম অবস্থানটি (প্রাগৈতিহাসিক সময়) স্ট্র্যাবো দ্বারা "ওল্ড স্মার্না" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল এবং দ্বিতীয় অবস্থানটি মহান আলেকজান্ডার এবং তার বংশধরদের (হেলেনীয় যুগ) দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। আইওনিয়ানরা, খ্রিস্টপূর্ব ১১শ শতাব্দীতে , আইওনিয়া লিগ প্রতিষ্ঠা করে। এটি পরবর্তীতে হাখমানেশি সাম্রাজ্য জয় করা করেছিল এবং রোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগে গ্রীকরা পুনরায় দখল করে নেয়। রোমান সময়ে এটি খুব সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে এবং রোমানরা এটির আশ্চর্যজনক সমৃদ্ধির কারণ হয়ে ওঠে তার জন্য তাদেরকে তিনবার "যুবতী" উপাধি দিয়ে সম্মানিত করেছিল। যদিও ইজমির রোমকে দেবতা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম শহর ছিল না।
"ক্যাথলিক চার্চ" শব্দটি প্রথম ব্যবহৃত হয়েছিল ১১০ সালে অ্যান্টিওকের সেন্ট ইগনাশিয়াসের কাছ থেকে স্মার্নার চার্চে লেখা একটি চিঠিতে। রোমান সাম্রাজ্যের বিভক্ত হওয়ার পর, ১৪শ শতাব্দীতে উসমানীয় তুর্কিদের দ্বারা জয় না হওয়া পর্যন্ত এলাকাটি এখন বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য নামে পরিচিত। ১৪২৪ সালে, স্মার্না উসমানীয় দ্বারা জয়লাভ হয়েছিল। যাইহোক, এর দখলের আগে এবং পরে, ভেনিসিয়ান এবং জেনোস এটিকে তাদের প্রজাতন্ত্রে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছিল।
১৪৭২ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর, পিয়েত্রো মোসেনিগোর অধীনে ভেনিসিয়ানরা একটি সফল প্রচেষ্টায় শহরটি দখল করে এবং ধ্বংস করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর, প্রদেশটি গ্রিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়ছিল, কিন্তু তুরস্কের স্বাধীনতা যুদ্ধে মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের বাহিনী নেতৃত্বে এটি পুনরায় তুর্কিরা দখল করে নেয়।
১৯২৩ সালের লোজান চুক্তির ফলস্বরূপ, এই প্রদেশের গ্রীস এবং তুরস্কের মধ্যে জনসংখ্যা বিনিময় হয়েছিল, এবং ইজমির প্রদেশকে তুরস্কের আধুনিক প্রজাতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর একটি ভূমিকম্পে ওই এলাকায় ১১৭ জন নিহত হয়।
২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেমন্দিরের এবং এর আশেপাশে অন্যান্য জায়গায়
অনুসনাধ্যমেের মধ্যে, তারা একটি মূর্তির টুকরো খুঁজে পান যা একজন মহিলাকে চিত্রিত করে, একটি পোড়ামাটির মহিলার মাথা এবং একটি শিলালিপি যাতে লেখা ছিল, " এটি একটি পবিত্র এলাকা "। ২০১৬ সালে প্রথম খনন করে মন্দিরের চিহ্ন পাওয়া যায়।[৩][৪][৫][৬]
বছর | জন. | ব.প্র. ±% |
---|---|---|
১৯২৭ | ৫,৩১,৫৭৯ | — |
১৯৩৫ | ৫,৯৬,৮৫০ | +১.৪৬% |
১৯৪০ | ৬,৪০,১০৭ | +১.৪১% |
১৯৫০ | ৭,৬৮,৪১১ | +১.৮৪% |
১৯৬০ | ১০,৬৩,৪৯০ | +৩.৩% |
১৯৭০ | ১৪,২৭,১৭৩ | +২.৯৯% |
১৯৮০ | ১৯,৭৬,৭৬৩ | +৩.৩১% |
১৯৯০ | ২৬,৯৪,৭৭০ | +৩.১৫% |
২০০০ | ৩৪,৩১,২০৪ | +২.৪৫% |
২০১০ | ৩৯,৪৮,৮৪৮ | +১.৪২% |
২০২০ | ৪৩,৯৪,৬৯৪ | +১.০৮% |
Source:Turkstat[১][৭][৮] |
বৃহত্তর ইজমির অঞ্চলটি বায়ু টারবাইন থেকে তুরস্কের ২০% বায়ু শক্তি উৎপাদন করে। এটি প্রায় ১,৩০০ মেগাওয়াট এর বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম।"[৯]