ইলিয়াড গ্রিক মহাকাব্য। প্রাচীন গ্রিসের ইলিওন শহরের নামানুসারে এই মহাকাব্যের নামকরণ করা হয়। মহাকবি হোমার এই মহাকাব্যের রচয়িতা। এটি গ্রিক ভাষায় রচিত ও ২৪ টি সর্গে বিভক্ত। এর বিষয় ট্রয়ের যুদ্ধ। এতে ১৬,০০০ পঙ্ক্তি কবিতা আছে। যুদ্ধ সংঘটিত হয় এক নারীকে কেন্দ্র করে যার নাম হেলেন। যুদ্ধে গ্রীকদের সেরা বীর ছিল অ্যাকিলিস আর ট্রয় পক্ষে ছিল হেক্টর। যুদ্ধ যখন শেষ পর্যায় তখন হেক্টর অ্যাকিলিস কর্তৃক নিহত হন এবং এর মাধ্যমে মূলত ট্রয়বাসীর পরাজয় নিশ্চিত হয়। যুদ্ধ শেষে গ্রিক সেনারা সুরক্ষিত ও সাজানো নগরী ট্রয় জ্বালিয়ে দেয়।
ইলিয়াড কাব্যের পরবর্তী খণ্ড হিসেবে ওডিসির উল্লেখ করা হয়। এটিও হোমারের রচনা বলে ধারণা করা হয়। এই দুটি কাব্য পাশ্চাত্য সাহিত্যের সবচেয়ে পুরাতন রচনা হিসেবে গণ্য এবং এর লিখিত রূপ খ্রিস্টপূর্ব ৮ম শতাব্দীর বলে ধারণা করা হয়।[১] আধুনিক গ্রহণযোগ্য সংস্করণে ইলিয়াডের ১৫,৬৯৩টি ছত্র রয়েছে। এটি আইওনিক গ্রিক ও অন্যান্য উপভাষার সংমিশ্রণে গঠিত হোমারীয় গ্রিক ভাষায় রচিত। মাইকেল এন ন্যাগলারের মতে, ইলিয়াড ওডিসির থেকেও জটিলতর মহাকাব্য।[২]
প্রধান চরিত্রাবলি
গ্রিক বাহিনী
আগামেনন - মাইসিনির রাজা ও গ্রিক বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। অ্যাট্রিউসের পুত্র, মেনেলাউসের ভাই ও ক্লাইটেমনেস্ট্রার স্বামী।
অ্যাকিলিস - মর্তের রাজা পেলেউস ও সাগরদেবী থেটিসের পুত্র, বীর যোদ্ধা, ফিদিয়ার মারমিডন জাতির নেতা।
আফ্রোদিতি - প্রেমের দেবী। তিনি ট্রয় বাহিনীর সমর্থন করেন।
আরেস - তিনি প্রথমে গ্রিক ও পরে ট্রয় বাহিনীর সমর্থন করেন।
অ্যাথিনা - জ্ঞান বিজ্ঞান, যুদ্ধ ও চারুকলার দেবী। তিনি গ্রিক বাহিনীর সমর্থন করেন।
হার্মিস - দেবতাদের সংবাদ বহনকারী। তিনি প্রথমে নির্দলীয় ও পরে ট্রয় বাহিনীর সমর্থন করেন।
পসেইডন - সমুদ্র দেবতা। তিনি গ্রিক বাহিনীর সমর্থন করেন।
হেফাইস্তোস - দেব কারিগর ও অগ্নিদেবতা। তিনি গ্রিক বাহিনীর সমর্থন করেন।
অপ্রধান দেবদেবী:
এরিস - তিনি ট্রয় বাহিনীর সমর্থন করেন।
আইরিস - রঙধনুর দেবী। নির্দলীয়।
থেটিস - আকিলিসের মাতা। তিনি গ্রিক বাহিনীর সমর্থন করেন।
লেটো - অ্যাপোলো ও আর্টেমিসের মাতা। তিনি ট্রয় বাহিনীর সমর্থন করেন।
প্রটেউস - তিনি গ্রিক বাহিনীর সমর্থন করেন।
স্ক্যামেন্ডার - তিনি ট্রয় বাহিনীর সমর্থন করেন।
ফোবোস - তিনি ট্রয় বাহিনীর সমর্থন করেন।
ডেইমোস - তিনি ট্রয় বাহিনীর সমর্থন করেন।
হাইপনোস - তিনি গ্রিক বাহিনীর সমর্থন করেন।
তথ্যসূত্র
↑Vidal-Naquet, Pierre (২০০০)। "Le monde d'Homère" (হোমারের জগত)। পেরিন। পৃ. ১৯।
↑মিরসিয়াডিস, কোসটাস (১৯৮৭)। "Approaches to teaching Homer's Iliad and Odyssey"। নিউ ইয়র্ক: মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা। ISBN 0873524993. OCLC 14932229.
বহিঃসংযোগ
উইকিমিডিয়া কমন্সে ইলিয়াড সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।
ইংরেজি ভাষার উইকিসংকলনে এই নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদ সম্পর্কিত মৌলিক রচনা রয়েছে: