ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | এভার ম্যাক্সিমিলিয়ানো দেভিদ বানেগা | |||||||||||||
জন্ম | ২৯ জুন ১৯৮৮ | |||||||||||||
জন্ম স্থান | রোজারিও, আর্জেন্টিনা | |||||||||||||
উচ্চতা | ১.৭৪ মিটার (৫ ফুট ৮+১⁄২ ইঞ্চি) | |||||||||||||
মাঠে অবস্থান | মিডফিল্ডার | |||||||||||||
ক্লাবের তথ্য | ||||||||||||||
বর্তমান দল | সেভিয়া | |||||||||||||
জার্সি নম্বর | ১০ | |||||||||||||
যুব পর্যায় | ||||||||||||||
নুয়েভো হরিজন্তে | ||||||||||||||
আলিয়াঞ্জা স্পোর্ট | ||||||||||||||
২০০০–২০০৭ | বোকা জুনিয়র্স | |||||||||||||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | ||||||||||||||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) | |||||||||||
২০০৭ | বোকা জুনিয়র্স | ২৮ | (০) | |||||||||||
২০০৮– | ভালেনসিয়া | ১২৯ | (৯) | |||||||||||
২০০৮–২০০৯ | → অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ (ধার) | ২৪ | (১) | |||||||||||
জাতীয় দল‡ | ||||||||||||||
২০০৭ | আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব ২০ | ১৪ | (০) | |||||||||||
২০০৮ | আর্জেন্টিনা অলিম্পিক | ৬ | (০) | |||||||||||
২০০৮– | আর্জেন্টিনা | ২৪ | (২) | |||||||||||
অর্জন ও সম্মাননা
| ||||||||||||||
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ২১ আগস্ট ২০১৩ তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৪ আগস্ট ২০১৩ তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
এভার ম্যাক্সিমিলিয়ানো দেভিদ বানেগা (জন্ম ২৯ জুন ১৯৮৮) একজন আর্জেন্টিনীয় পেশাদার ফুটবলার স্পেনীয় ক্লাব ভালেনসিয়ার হয়ে প্রধানত একজন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলেন।
বানেগা জন্মগ্রহণ করেন রোজারিওতে। তিনি বোকা জুনিয়র্সের যুব দল থেকে উঠে এসেছেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি মূল দলে খেলার সুযোগ পান। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে সতীর্থ ফেরন্যান্দো গ্যাগো রিয়াল মাদ্রিদে চলে গেলে, অল্প বয়স হওয়া সত্ত্বেও বানেগাকে তার উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[১]
২০০৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি, বানফিল্ডের বিপক্ষে বোকার ৪–০ গোলে জয়ের খেলায় বানেগার পেশাদার অভিষেক হয়। ১ জুন, একটি খেলায় জয়ের পর যখন তিনি মাঠ ছাড়েন, তখন তাকে দাড়িয়ে সম্মান জানানো হয়।[২]
২০০৮ সালের ৫ জানুয়ারি, প্রায় ১৮ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে বানেগা স্পেনীয় ক্লাব ভালেনসিয়ার সাথে সাড়ে পাঁচ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেন।[৩] লিগের ১৩তম রাউন্ডে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলায় তার অভিষেক হয়। দ্বিতীয়ার্ধে তিনি বদলি হিসেবে নামেন। খেলায় ভালেনসিয়া ০–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়।[৪]
২০০৮–০৯ মৌসুমে বানেগাকে ধার হিসেবে নেয় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।[৫] চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের খেলায় পিএসভি এইন্ডহোভেনের বিপক্ষে তার দাপ্তরিক অভিষেক হয়। খেলায় অ্যাটলেটিকো ৩–০ গোলে জয় লাভ করে।[৬] অবশ্য, অ্যাটলেটিকোতে দলের প্রথম একাদশে জায়গা করে নিতে তিনি ব্যর্থ হন। এছাড়া ভিয়ারিয়াল[৭] এবং আলমেরিয়ার[৮] বিপক্ষে তাকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়।
অ্যাটলেটিকো থেকে ফেরার পর মনে করা হয়েছিল বানেগা ইংরেজ দল এভারটনে যোগ দেবেন,[৯] কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে তা আর হয়নি। ২০০৯–১০ মৌসুমে লিগের প্রথম খেলায় সেভিয়ার বিপক্ষে ভালেনসিয়া ২–০ গোলে জয় লাভ করে। উভয় গোলেই সহায়তা করেন বানেগা।[১০] ২০১০ সালের ১৭ জানুয়ারি, বানেগা ভালেনসিয়ার হয়ে প্রথম গোল করেন। খেলায় ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে তারা ৪–১ গোলের ব্যবধানে জয় লাভ করে।[১১]
২০১০–১১ মৌসুমে বানেগা ২৮টি খেলায় মাঠে নামেন। এর মধ্যে ১৯টিতে প্রথম একাদশে জায়গা পান এবং দুইটি গোল করেন। ভালেনসিয়া তৃতীয় অবস্থানে থেকে লিগ শেষ করে এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, তার পায়ের উপর দিয়ে নিজেরই গাড়ি চলে যাওয়ায় তিনি ইনজুরি আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তার বাম পায়ের গোড়ালি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পায়ের টিবিয়া ও ফিবুলা ভেঙ্গে যায়। তার গোড়ালির অস্ত্রোপচার করানোর প্রয়োজন হয়, ফলে মৌসুমের অবশিষ্ট অংশে তিনি আর মাঠে নামতে পারেননি।[১২]
কানাডায় ২০০৭ অনূর্ধ্ব-২০ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য সার্জিও অ্যাগুয়েরোর সাথে দলে জায়গা পান বানেগা। প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনার সবকয়টি খেলায় তিনি মাঠে নামেন।
২০০৮ সালের জানুয়ারিতে ভালেনসিয়ায় যোগদানের পর আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে বানেগার অভিষেক হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি, গুয়েতেমালার বিপক্ষে ঐ খেলায় আর্জেন্টিনা ৫–০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় লাভ করে।[১৩]
২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে আর্জেন্টিনার হয়ে অংশগ্রহণ করেন বানেগা। প্রতিযোগিতায় আর্জেন্টিনা স্বর্ণপদক জিতে।
ভালেনসিয়ার সাথে দূর্দান্ত একটি মৌসুম কাটানোর পরও ২০১০ বিশ্বকাপের জন্য ঘোষিত আর্জেন্টিনা দলে জায়গা পাননি বানেগা।
২০১৩ সালের ২৬ মার্চ, বলিভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হয়ে প্রথম গোল করেন বানেগা। খেলাটি ১–১ গোলে ড্র হয়।[১৪]
৬ অক্টোবর ২০১৩ অনুসারে।[১৫][১৬]
ক্লাব | মৌসুম | লিগ | কাপ | মহাদেশীয় | মোট | ||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | উপস্থিতি | গোল | ||
ভালেনসিয়া | ২০০৭–০৮ | ১২ | ০ | ২ | ০ | ০ | ০ | ১৪ | ০ |
মোট | ১২ | ০ | ২ | ০ | ০ | ০ | ১৪ | ০ | |
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ | ২০০৮–০৯ | ২২ | ১ | ৪ | ০ | ৩ | ০ | ৩১ | ১ |
মোট | ২৪ | ১ | ৪ | ০ | ৩ | ০ | ৩১ | ১ | |
ভালেনসিয়া | ২০০৯–১০ | ৩৬ | ২ | ২ | ০ | ৭ | ০ | ৪৫ | ২ |
২০১০–১১ | ২৭ | ২ | ২ | ১ | ৪ | ০ | ৩৩ | ৩ | |
২০১১–১২ | ১৪ | ০ | ৮ | ১ | ৪ | ০ | ২৬ | ১ | |
২০১২–১৩ | ২৯ | ৪ | ৬ | ০ | ৫ | ০ | ৪০ | ৪ | |
২০১৩–১৪ | ১১ | ১ | ০ | ০ | ১ | ০ | ১২ | ১ | |
মোট | ১১৭ | ৯ | ১৮ | ২ | ২৩ | ০ | ১৫৮ | ১১ | |
ক্যারিয়ারে সর্বমোট | ১৫৩ | ১০ | ২৪ | ২ | ২৬ | ০ | ২০৩ | ১২ |
# | তারিখ | মাঠ | প্রতিপক্ষ | স্কোর | ফলাফল | প্রতিযোগিতা |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২৬ মার্চ ২০১৩ | ইস্তাদিও হেরন্যান্দো সিলেস, লা পাজ, বলিভিয়া | বলিভিয়া | ১–১ | ১–১ | ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব |
২ | ১৪ আগস্ট ২০১৩ | ইস্তাদিও অলিম্পিকো, রোম, ইতালি | ইতালি | ২–০ | ২–১ | প্রীতি খেলা |
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)