এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |
ডাচি অফ আঞ্জু ( ইউকে: /ˈɒ̃ʒuː,
১২০৫ এবং ১২৪৬ সালের মধ্যে আঞ্জু প্রদেশ রাজকীয় শাসনের আওতায় একত্রিত হয়। তখন এই অঞ্চল রাজার ভাই চার্লস(আঞ্জু -এর প্রথম চার্লস নামে পরিচিত)- এর অধিনস্থ একটি সামান্তরাজ্য ছিল। এই অঞ্চলে ততকালীন শাসণকারী দ্বিতীয় অ্যাঞ্জেভিন রাজবংশ ছিল ক্যাপেটিয়ান রাজবংশের একটি শাখা যারা নেপলস এবং সিসিলির সিংহাসনে এবং ক্রোয়েশিয়া ও হাঙ্গেরির যৌথ সিংহাসনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল।[২][৩] ১৩২৮ সালে আঞ্জু অঞ্চল পুনরায় শক্তিশালী শাসনের আওতায় সুসংহত হয়, কিন্তু ১৩৬০ সালে রাজার পুত্র লুই (আনজু-এর লুই প্রথম)- এর কারনে এই অঞ্চল মূল রাজ্য থেকে বিছিন্ন হয়ে ডাচি অফ আঞ্জু হিসাবে পরিচিত হয়েছিল। তৃতীয় অ্যাঞ্জেভিন রাজবংশ, হাউস অফ ভ্যালোইসের একটি শাখা যারা একসময় নেপলস রাজ্য শাসন করেছিল।
১৭ ফেব্রুয়ারী ১৩৩২ সালে,ষষ্ঠ ফিলিপ তার পুত্র জন দ্য গুডকে এই অঞ্চলের দায়ভার প্রদান করেন। তিনি পর্বরতীকালে এই অঞ্চলের রাজা হয়েছিলেন (২২ আগস্ট ১৩৫০) এবং তার দ্বিতীয় পুত্র লুই প্রথম কে কাউন্ট হিসাবে ঘোষনা করেন। ২৫ অক্টোবর ১৩৬০ এ লুই প্রথম নেপলসের রাজা হন। তিনি ১৩৮৪ সালে মারা যান এবং তার পুত্র লুই দ্বিতীয় রাজা হন। তিনি তার বেশিরভাগ খমতা তার নেপলসের আঞ্চলিক প্রসারের উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য নিবেদিত করেছিলেন এবং আঞ্জু অঞ্চলের প্রশাসনকে প্রায় সম্পূর্ণরূপে তার স্ত্রী, আরাগনের ইয়োল্যান্ডের হাতে ছেড়ে দিয়েছিলেন । তার মৃত্যুতে (২৯ এপ্রিল ১৪১৭), তিনি তাদের অল্পবয়সী পুত্র লুই তৃতীয়ের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেন এবং ইংরেজদের বিরুদ্ধে ডাচিকে রক্ষা করেন। লুই তৃতীয়, নেপলস জয়ের জন্যও আত্মনিয়োগ করেছিলেন। ১৫ নভেম্বর ১৪৩৪-এ তিনি সন্তানহীন অবস্থায় মারা যান। তারপর অঞ্জুর শাসনব্যবস্থা তার ভাই রেনের কাছে চলে যায় যিনি লুই দ্বিতীয় এবং এবং আরাগনের ইয়োল্যান্ডের কনিষ্ঠ পুত্র ছিলেন। [৪]
তার পূর্বসূরিরা আঞ্জু অঞ্চলে খুব কম সময়ের জন্য অধিবাস করলেও রেনে ১৪৪৩ সাল থেকে বহুবার এই অঞ্চল দীর্ঘ পরিদর্শন করেছিলেন এবং অ্যাঙ্গার্সে তার দরবার ফ্রান্সে বহুল খ্যাতি পায় হয়ে ওঠে। কিন্তু ১৪৭০ সালের ডিসেম্বরে তার ছেলে জনের আকস্মিক মৃত্যুর পর, রেনে তার বাসস্থান স্থানান্তরিত করেন এবং আঞ্জু ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। তার সমস্ত সম্পত্তির একটি তালিকা তৈরি করার পর, তিনি ১৪৭১ সালের অক্টোবরে তার সবচেয়ে মূল্যবান ধনসম্পদ নিয়ে ডাচি ছেড়ে চলে যান। ২২ জুলাই ১৪৭৪-এ তিনি একটি উইল তৈরি করেন যার মাধ্যমে তিনি তার নাতি দ্বিতীয় লোরেনের এবং তার ভাগ্নে চার্লস দ্বিতীয় -এর মধ্যে মেইনের মধ্যে উত্তরাধিকার ভাগ করে রেখে যান। এই খবর পাওয়ার পর, রাজা লুই একাদশ, যিনি রাজা রেনের বোনদের একজনের পুত্র ছিলেন, তিনি তার প্রত্যাশা অনুযায়ী সম্পত্তির মালিকানা না পেয়ে সম্পূর্ণ হতাশ হয়ে পড়েন এবং আঞ্জুর ডাচি অঞ্চল দখল করে নেয়। তিনি খুব বেশি দিন এই অঞ্চল অধিকার করে রাখেননি। ১৪৭৬ সালে রেনের সাথে তার পুনর্মিলন ঘটে এবং তিনি, সম্ভবত, রেনেকে নতুন উইল বানাতে শর্ত দেন। যাইহোক, পরবর্তীকালে (১০ জুলাই ১৪৮০) তার মৃত্যুর পর আবার আঞ্জু অঞ্চল রাজকীয় শাসনের আওতায় যুক্ত হন। [৪]
পরবর্তীতে, রাজা ফ্রান্সিস প্রথম ৪ ফেব্রুয়ারী ১৫১৫-এ তার মা লুইস অফ স্যাভয়কে ডাচির অধিকার আবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পর ১৫৩১ সালের সেপ্টেম্বরে, ডাচি পুনরায় জার অধিকারে চলে আসে। ১৫৫২ সালে হেনরি দ্বিতীয় দ্বারা তার পুত্র হেনরি অফ ভ্যালোইসকে এই অঞ্চলের সামন্ত হিসাবে নিযুক্ত করে এর শাসনভার দেন, যিনি ১৫৭৪ সালে রাজা হওয়ার পর, হেনরি তৃতীয় -এর উপাধি গ্রহন করেন এবং বিউলিউ চুক্তির মাধ্যমে তার ভাই ফ্রান্সিস, যিনি অ্যালেনকোনের ডিউক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন তার হাতে এই অঞ্চলের ভার তুলে দেন।ফ্রান্সিস ১৫৮৪ সালের ১০ জুন তিনি মারা যান এবং খালি এই অঞ্চল পুনরায় রাজকীয় শাসনের অংশ হয়ে ওঠে। [৪]