ডিজিটাল অবজেক্ট আইডেন্টিফায়ার (ইংরেজি: Digital Object Identifier) বা ডিওআই (DOI) হচ্ছে একটি নিখুত রাশিমালা যা ইলেকট্রনিক ডকুমেন্ট বা প্রকাশনাকে নির্দেশিত করতে ব্যবহৃত হয়। বিষয় সম্পর্কিত বিভিন্ন মেটাডেটা ডিওআই নম্বরে সংযুক্ত থাকে। এসকল মেটাডেটার মধ্যে থাকে বিষয়বস্তুটির অবস্থান, যেমন: যে ইউআরএল বা ওয়েব ঠিকানায় গেলে বিষয়টি পাওয়া যাবে ইত্যাদি। কোনো ডকুমেন্টের ডিওআই নম্বর অপরির্তনযোগ্য, যদিও এর মেটাডেটা পরিবর্তিত হতে পারে। কোনো ডকুমেন্ট (যেমন: বই বা প্রকাশনা) ডিওআই নম্বর দ্বারা শনাক্ত করা বা নির্দেশ করা শুধু একটি ইউআরএল দ্বারা নির্দেশ করার চেয়ে অনেক নির্ভরযোগ্য। কারণ ইউআরএল সহজেই পরিবর্তিত হতে পারে, এবং তখন বিষয়টি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে। কিন্তু ডিওআই নম্বর থাকলে, প্রকাশককে শুধু ডিওআই নম্বরের মেটাডেটা থেকে ইউআরএলটি হালনাগাদ করলেই কাজ হয়ে যায়।[১][২][৩]
ইউআরএল-এর মতো ডিওআই ব্যবস্থা সবার জন্য উন্মুক্ত নয়। ডিওআই সংগঠনের সাথে চুক্তি সহকারে সংযুক্তরাই কেবল ডিওআই নম্বর দেওয়ার অধিকার রাখে। আর এই সংযুক্তির জন্য নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধ করে সদস্যপদ গ্রহণ করতে হয়।[৪] আন্তর্জাতিক ডিওআই ফাউন্ডেশন এরকম বেশ কিছু সংস্থাকে রক্ষণাবেক্ষণ ও দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে,[৫] এরা এই ব্যবস্থার উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে। ২০০০ সালের শেষ দিক থেকে প্রকাশনার ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা তৈরি ও এর প্রসার হয়ে আসছে। ২০০৯ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী প্রায় ৪,০০০ সংগঠন প্রায় ৪ কোটি ৩০ লক্ষ ডিওআই নম্বর প্রদান করেছে।[৬]
Assuming the publishers do their job of maintaining the databases, these centralized references, unlike current Web links, should never become outdated or broken.
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) .