ড্রেইক | |
---|---|
জন্ম | অব্রে ড্রেইক গ্রাহাম ২৪ অক্টোবর ১৯৮৬ |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ২০০১–বর্তমান |
সন্তান | ১[১] |
পুরস্কার | List of awards and nominations |
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
ধরন | |
লেবেল | |
ওয়েবসাইট | drakeofficial |
অব্রে ড্রেইক গ্রাহাম (জন্ম অক্টোবর ২৪, ১৯৮৬)[৩] হলেন একজন কানাডীয় র্যাপার, গায়ক, গীতিকার, রেকর্ড প্রযোজক, অভিনেতা এবং উদ্যোক্তা।[৪] তিনি বিশ্বের সেরা আনন্দদানকারী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন, এবং ২১শ শতকের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যেও একজন। সঙ্গীত পরিচালনায় ড্রেইকের অবদানের কারণে তিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং অনুশীলনীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন।
ড্রেইক ২০০০ সালের প্রথম ভাগে, কানাডীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিটিভি-এ প্রচারিত তরুন-তরুনীদের কাহিনী সমৃদ্ধ ধারাবাহিক ডেগ্রেসি: দ্য নেক্সট জেনারেশন-এ অভিনয়ের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে একজন অভিনেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।একজন র্যাপার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করার অভিপ্রায়ে, তার আত্বপ্রকাশকারী মিক্সটেপ রুম ফর ইমপ্রুভমেন্ট প্রকাশের পরবর্তী সময়ে, ২০০৭ সালে তিনি ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করা ছেড়ে দেন। এছাড়াও, তিনি ২০০৯ সালে জুন মাসে জনপ্রিয় মার্কিন র্যাপার লিল ওয়েইন-এর ইয়ং মানি ইন্টারটেিনমেন্ট নামক রেকর্ড লেবেলের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে, আরো দুটি স্বাধীন কাজ কামবেক সিজন এবং সো ফার গন প্রকাশ করেন।[৫]
২০১০ সালে, ড্রেইক তার প্রথম আত্বপ্রকাশকারী স্টুডিও অ্যালবাম থেংক মি লেটার প্রকাশ করেন,[৬] যেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেরা ২০০ অ্যালবামের তালিকা বিলবোর্ড ২০০-এ আত্বপ্রকাশ করে এবং খুব কম সময়ে "রেকর্ডিং ইনডাট্রি এসোসিয়েশন অব আমেরিকা" আরাআইএএ-দ্বারা প্লাটিনাম-এ প্রত্যয়িত হয়। ২০১১ সালে তার পরবর্তী প্রকাশটি হল, টেইক কেয়ার এবং ২০১৩ সালের প্রকাশটি হল নাথিং ওয়াজ দ্য সেইম,[৭][৮] যেগুলো, সমালোচকদের মন্তব্য এবং বাণিজ্যিকভাবে সফল ছিলো; পুরোনো অ্যালবামটি তাকে, সেরা র্যাপ অ্যালবামের জন্য গ্রামি অ্যাওয়ার্ড বিভাগে তাকে প্রথম গ্রামি পুরস্কার জিততে সাহায্য করে। ২০১৫ সালে, তিনি আরো দুটি মিক্সটেপ প্রকাশ করেন, যেগুলো ট্রাপ-এর প্রভাবসম্পন্ন, সেগুলো হল ইফ ইউ আর রিডিং দিস ইটস ট্যু লেইট এবং আরেকটি মার্কিন র্যাপার ফিউচার-এর সাথে নিয়ে করা সাহায্যকারী গায়ক হিসেবে করা, যেটির নাম ওয়াট এ্য টাইম টুবি এলাইভ—এই দুটি এককই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্লাটিনাম-এ প্রত্যয়িত হয়।[৯]
তার চতুর্থ অ্যালবাম, ভিউস (২০১৬), কয়েকটি তালিকার রেকর্ড ভঙ্গ করে।[১০] জামাইকান ধারার সঙ্গীত ডেনচেল-প্রভাবসম্পন্ন অ্যালবামটি, বিলবোর্ড হট ২০০ এর তালিকায় পরপর ১৩ সপ্তাহ সেরা ১ নম্বরে অবস্থান করে,[১১] যেটি একজন পুরুষ একক শিল্পী দ্বারা ১০ বছরের মধ্যে প্রথম অ্যালবাম হিসেবে তা করতে পারার ইতিহাস। অ্যালবামটির দ্বিতীয় একক, "ওয়ান ড্যান্স", কয়েকটি দেশের তালিকায় সেরা এক নম্বরে উঠে আসে, দেশগুলোর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, এবং কানাডা অন্যতম, যেখানে এটি একজন মূখ্য শিল্পী হিসেবে তার এককটি প্রথম বারের এক নম্বরে চলে আসে। ঐ বছরে ড্রেইক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তালিকা বিলবোর্ড হট ১০০ এবং বিলবোর্ড হট ২০০-এর তালিকায় একসঙ্গে আট সাপ্তাহ ধরে সবার উপরের অবস্থানটি ধরে রাখে।[১২] ভিউস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বমোট চার বার প্লাটিনাম পাওয়ার মর্যাদা অর্জন করে, এবং অ্যালবামটি প্রথম প্রকাশের মাত্র প্রথম সপ্তাহতেই এক মিলিয়নেরও বেশি সমমানের বিক্রয় হয়।[১৩][১৪] এটির প্রথম একক "হটলাইন ব্লিং" "সেরা গাওয়া র্যাপ গান" এবং সেরা র্যাপ গানের বিভাগে গ্রামি পুরস্কার জিতে নেয়।[১৫] ২০১৭ সালে, তিনি মোর লাইফ নামে একটি মিক্সটেপ প্রকাশ করেন। যেটিকে ড্রেইক একটি প্লেলিস্ট হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন,[১৬][১৭] যেটিও বিলবোর্ড হট ২০০-এর তালিকায় পরপর সপ্তম বারের মত, সেরা এক নম্বরে উঠে আসে, এবং যেটি কয়েকটি স্ট্রিমিং রেকর্ড সৃষ্টি করে।[১৮] এক বছর পর, তিনি যুগল অ্যালবাম স্করপিয়ন প্রকাশ করেন, যেটিও কয়েকটি স্ট্রিমিং রেকর্ড ভঙ্গ করে,[১৯] এবং এক নম্বর একক হিসেবে "গড'স প্লান", এবং "নাইস ফর হোয়াট", এছাড়াও "ইন মাই ফিলিংস"-কে প্রতিস্থাপিত করে।
অব্রে ড্রেইক গ্রাহামের জন্ম হয়েছিলো, ১৯৮৬ সালের ২৪ অক্টোবর, কানাডার অন্টারিও রাজ্যের টরন্টো শহরে। তার বাবা, ডেনিস গ্রাহাম ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি রাজ্যের মেম্পিস শহর থেকে আগত একজন আফ্রিকান মার্কিন, এবং তিনি মার্কিন কান্ট্রি গায়ক এবং গীতিকার জেরি লি লুইস-এর সাথে একজন ড্রাম বাদক, এবং গান পরিবেশক হিসেবেও কাজ করেছেন।[২০][২১] ড্রেইকের মা, সেন্ড্রা "সেন্ডি" গ্রাহাম (বিবাহ পূর্ব নাম শের), হলেন একজন আশকেনাজি কানাডীয় ইহুদি, যিনি একজন ইংরেজির শিক্ষক এবং একজন ফুল চাষী হিসেবেও কাজ করেছেন।[২২][২৩][২৪][২৫][২৬] তার পিতা-মাতা প্রথমবারের মত মিলিত হয়, টরন্টো শহরের "ক্লু ব্লুনোট"-এ ডেনিসের সঙ্গীত পরিবেশনার পর, যেখানেই তিনি প্রথম বারের মত সেন্ড্রার সাথে মিথস্ক্রিত হন, এবং তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।[২১] তরুন বয়সে, ড্রেইক একটি ইহুদি দিবা স্কুলে পড়াশোনা করেন, এবং একটি বার মিটজভাহ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলো।[২৭][২৮][২৯][৩০][৩১] এছাড়াও তিনি কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিকত্ব-এর অধিকারী। [৩২]
ড্রেইকের বয়স মাত্র পাচঁ বছর, তখন তার পিতা-মাতার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। বিবাহ বিচ্ছেদটির পরবর্তী সময়ে তিনি এবং তার মা টরান্টো শহরেই থেকে যান, যদিও তার বাবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেম্পিস শহরে ফিরে যান, যেখানে তিনি মাদক সংক্রান্ত অভিযোগে কয়েক বছর কারাবরণ করেন।[৩৩] ডেনিসের, সীমিত অর্থ এবং আইনি সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়াদির কারণে, তিনি ড্রেইকের প্রাথমিক প্রাপ্তবয়স্ক বয়স সমহের সময়ে তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে হয়।[২৭][২৮][২৯] তার গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পযন্ত, তিনি প্রত্যেক গ্রীষ্মে টরান্টোতে যেয়ে ড্রেইককে মেম্পিসে নিয়ে আসতেন। [৩৪][৩৫][৩৬] তার বাবা পরবর্তীতে কানাডিয়ান সঙ্গীতঙ্গ দল আর্কেলস-এর সাথে এর সাথে "ড্রেইক ডেড" শিরোনামিক একটি গানের জন্য বানানো ভিডিওতে তাদের সাথে কাজ করেন।[৩৭]
ড্রেইক টরন্টো শহরের কাছাকাছি দুটি আলাদা স্থানে লালিত পালিত হন; তিনি ষষ্ঠ গ্রেড পড়ার আগ পযন্ত, টরন্টো শহরের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত শহরের কর্ম শ্রেণীর মানুষের আবাসস্থল ওয়েস্টন রোড-এ বসবাস করতেন।[৩৫] তার শৈশব কালীন সময়ে তিনি ওয়েস্টন রেড উইংগস দলের সাথে মাইনর হকি খেলেছেন।
ড্রেইক, ২০১২ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালির্ফোনিয়া রাজ্যের হিডেন হিলস [৩৮] শহরে বসবাস করে আসছেন।[৩৯][৪০] এছাড়াও তিনি টরন্টো শহরে একটি নিজেস্ব সম্পত্তির মালিক, যেটির ২০১৭ সালে ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হয়ে তৈরী করা হচ্ছে।[৪১][৪২]
ড্রেইক এডোনিসের বাবা, যে ২০১৭ সালের ১১ই অক্টোবরে ফরাসী তারকা এবং সাবেক প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সোফি ব্রুসাওক্সের ঘরে,[৪৩][৪৪] জন্মগ্রহণ [৪৫][৪৬] করে।[৪৫][৪৭]
সাল | চলচ্চিত্র | ভূমিকা | মন্তব্য |
---|---|---|---|
২০০৮ | চার্লি বার্টলেট | এ/ভি জোনাস | নামমাত্র চরিত্রে |
২০০৮ | মোকিস ল্যো | চেট ওয়েল্টার্স | সংক্ষিপ্ত চলচ্চিত্র |
২০১১ | ব্রেকওয়ে[৪৮][৪৯] | নিজ চরিত্রে | ক্যামেও |
২০১২ | আইস এইজ: কন্টিনেন্টার ড্রিফ্ট | ইথান | কন্ঠ ভূমিকায় |
২০১৩ | এন্ছোম্যান ২:দ্য লেজেন্ড কন্টিনিউস | রন র্বাগুন্ডে ফ্যান | ক্যামেও |
২০১৪ | আই থিংক লাইক এ্য ম্যান ট্যু | নিজ চরিত্রে | ক্যামেও |
২০১৭ | দ্য কার্টার ইফেক্ট | হিমসেলফ | তথ্যচিত্র, এছাড়াও নির্বাহী প্রযোজক |
সাল | শিরোনাম | ভূমিকা | মন্তব্য |
---|---|---|---|
২০০১ | ব্লু মার্ডার | জোয়ী টামারিয়ান | পর্ব: "আউট-অব-টনার্স: পর্ব ১" |
২০০১–২০০৭ | ডেগ্রেসি: দ্য নেক্সট জেনারেশন | জিমি ব্রুকস | ১৪৫ টি পর্ব |
২০০২ | সওল ফুড | ফ্রেডরিক | পর্ব: "ফ্রম ড্রিমস ট্যু নাইটমেয়ারস" |
২০০২ | কনভিকশন | টিন ফিশ | ছোট পর্দার চলচ্চিত্র |
২০০৫ | বেস্ট ফ্রেন্ডস ডেইট | ডেটকারী | পর্ব: "সিজন ফিনালে" |
২০৯৫ | ইনস্টান্ট স্টার | নিজ চরিত্রে | পর্ব: "পার্সোনালিটি ক্রাইসিস" |
২০০৮ | দ্য বর্ডার | পিএফসি গর্ডন হার্ভে | পর্ব: "স্টপ লস" |
২০০৯ | বিয়িং এরিকা | কেন | পর্ব: "ওয়াট আই এম ইজ ওয়াট আই এম" |
২০০৯ | সোফি | কেন | পর্ব: "এন আউটিং উইথ সোফি" |
২০০৯ | বিয়ন্ড দ্য ব্রেক | নিজ চরিত্রে | পর্ব: "ওয়ান 'এলে' অব এ্য পার্টি" |
২০১১ | সেটারডে নাইট লাইভ | নিজ চরিত্রে (সঙ্গীতঙ্গ অতিথি) | পর্ব: "এনা ফ্যারিস/ড্রেইক" |
২০১২ | পাংক'ড | নিজ চরিত্রে | পর্ব: "ড্রেইক/কিম কার্দেশিয়ান" |
২০১৪ | সেটারডে নাইট লাইভ | নিজ চরিত্রে (উপস্থাপক/সঙ্গীতঙ্গ অতিথি) | পর্ব: "ড্রেইক"[৫০] |
২০১৬ | সেটারডে নাইট লাইভ | নিজ চরিত্রে (উপস্থাপক/সঙ্গীতঙ্গ অতিথি) | পর্ব: "ড্রেইক" |
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Complex
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি