নোভালিশ | |
---|---|
জন্ম | জর্জ ফিলিপ ফ্রেড্রিক ফ্রেইহার ফণ হার্ডেনবার্গ ২ মে ১৭৭২ Oberwiederstedt, Electorate of Saxony |
মৃত্যু | ২৫ মার্চ ১৮০১ Weißenfels, Electorate of Saxony | (বয়স ২৮)
ছদ্মনাম | নোভালিশ |
পেশা | কবি, দার্শনিক, প্রকৌশলী |
জাতীয়তা | জার্মান |
সাহিত্য আন্দোলন | Romanticism |
'নোভালিশ ছিলেন জর্জ ফিলিপ ফ্রেড্রিক ফ্রেইহার ফণ হার্ডেনবার্গের(মে ২, ১৭৭২ – মার্চ ২৫, ১৮০১) ছদ্ম নাম। তিনি ছিলেন কবি, লেখক, দার্শনিক।[১]
ফিলিপ ফ্রেড্রিক ফ্রেইহার ফণ হার্ডেনবার্গ জন্ম গ্রহণ করেন ১১৭২ সালে, পারিবারিক ধারা জার্মান। শৈশবে বেড়ে উঠেন হার্য পাহাড়ের কাছে পারিবারিক পরিবেশে। চার্চে তার নাম লিপিবদ্ধ আছে জর্জ ফিলিপ ফ্রেড্রিক নামে। নোভালিশের পিতা ছিলেন একজন ধর্মভীরু এবং চার্চের সক্রিয় সদস্য। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর গর্ভে ১১ জন শিশুর জন্ম হয়, তাদের মধ্যে নোভালিশ দ্বিতীয়। প্রাথমিক দিকে নোভালিশ গৃহ শিক্ষকের কাছে শিক্ষা লাভ করেন এবং পরবর্তী কালে লুথারান গ্রামার স্কুলে স্থানতরিত হন। এখানে তিনি বিশেষ করে প্রাচীন সাহিত্য সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ করেন। এসময়ে তিনি তার চাচা উইলহে্ম ফ্রেইহার ফণ হার্ডেনবার্গের তত্বাবধনে ছিলেন। নোভালিশ ১৭৯০ থেকে ১৭৯৪ সাল পর্যন্ত আইন অধ্যয়ন করেন যথাক্রমে যেনা, লিপজিগ এবং ভয়টেনবার্গে। আইনে তিনি চমকপ্রদ ফলাফল করেন। আইন অধ্যয়ন কালে তিনি শিইলারের ইতিহাস ক্লাসে যোগদান করেন। এসময়ে তিনি আরও পরিচিত হন গোটে, হার্ডার এবং জন পলের সাথে। অক্টোবর ১৭৯৪ সালে, নোভালিশ কাজ করতে থাকেন অগাস্টাস কলেস্টিনের সাথে। যিনি ছিলেন নোভালিশের প্রদর্শক এবং পরবর্তীতে বন্ধুতে রূপান্তরিত হন এবং আরও পরে তার জীবনী লেখক। এই সময়ে নোভালিশ পরিচিত হন সোফি ফণ কুন্ এর সাথে। মার্চ ১৫, ১৭৯৫ সালে সোফির বয়স ছিল মাত্র ১৩। পরবর্তিত্র তারা বিবাহ বন্ধনের প্রতিজ্ঞা করেন। ১৭৯৫ থেকে ১৭৯৬ সালের মধ্যবর্তী সময়ে নোভালিশ বিজ্ঞান শিক্ষায় মনোনিবেশ শুরু করেন জোহান গতলিইব ফিতশের কাছে। এখানে তিনি জোহানের দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হন এবং জোহানকে পরবর্তী কাজের উৎসাহ প্রদান করেন। যা পরবর্তী সময়ে নোভালিশের religion of love এর কাজের সূচনা ধরা হয়। যা পরবর্তীতে রোমাটিক আন্দোলনের ভূমিকা পালন করে। ১৭৯৬ সালে সোফির মৃত্যুতে নোভালিশ মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হন, তখন সোফির বয়স ছিল ১৫। তারা তখনও বিয়েতে আবদ্ধ হননি এমন সময়ে।
নোভালিশের একাধারে জ্ঞান ছিল বিজ্ঞান, আইন, দর্শন, রাজনীতি এবং রাজনৈতিক অর্থনীতিতে। তার পুরো কাজের মূলনীতি ছিল "We are on a mission: we are called upon to educate the earth."। যা তাকে পরবর্তীতে জার্মান রোমান্টিসিজমের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব রূপের প্রতিষ্ঠাতা করে।[২]