নিয়াস পম্পেয়াস ম্যাগনাস | |
---|---|
রোমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রতিনিধি | |
কাজের মেয়াদ ৫২ খ্রিস্টপূর্ব – ৫১ খ্রিস্টপূর্ব সাথে ছিলেন কুইন্টাসক্যসিলিয়াস মেটেলাস পিয়াস সিপিও | |
পূর্বসূরী | মার্কাস ভ্যালেরিয়াস ম্যাসাল্লা রাফাস ও নিয়াস ডুমিটিয়াস ক্যালভিনাস |
উত্তরসূরী | মার্কাস ক্লাউডিয়াস মার্সিলাস ও স্যারভিয়াস সালপিসিয়াস রাফাস |
রোমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রতিনিধি | |
কাজের মেয়াদ ৫৫ খ্রিস্টপূর্ব – ৫৪ খ্রিস্টপূর্ব সাথে ছিলেন মার্কাস লিসিনিয়াস ক্র্যাসাস | |
পূর্বসূরী | নিয়াস কর্নেলিয়াস ল্যান্টালাস মার্সেলিনাস ও লুসিয়াস মার্সিয়াস ফিলিয়াস |
উত্তরসূরী | এপিয়াস ক্লাউডিয়াস পালচের ও লুসিয়াস ডুমিটিয়াস আহেনোবার্বাস |
হিস্পানিয়া আল্টেরিয়রের গভর্নর | |
কাজের মেয়াদ ৫৮ খ্রিস্টপূর্ব – ৫৫ খ্রিস্টপূর্ব | |
রোমান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রতিনিধি | |
কাজের মেয়াদ ৭০ খ্রিস্টপূর্ব – ৬৯ খ্রিস্টপূর্ব সাথে ছিলেন মার্কাস লিসিনাস ক্র্যাসাস | |
পূর্বসূরী | পাব্লিকাস কর্নেলিয়াস লেন্থোলাস সুরা ও নিয়াস আফিডিয়াস ওরেস্টেস |
উত্তরসূরী | কুইন্টাস ক্যাসিলিয়াস মেটেল্লাস ক্র্যাটিকাস ও কুইন্টাস হরটেনসিয়াস |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | সেপ্টেম্বর ২৯, ১০৬ খ্রিস্টপূর্ব পিসেনাম (ইতালি), রোমান প্রজাতন্ত্র |
মৃত্যু | সেপ্টেম্বর ২৮, ৪৮ খ্রিস্টপূর্ব (৫৮ বছর) পেলুজিয়াম, টলমাইক মিশর |
দাম্পত্য সঙ্গী | অ্যান্টিসটিয়া (?- ৮২ খ্রিস্টপূর্ব) অ্যামেলিয়া সাউরা (৮২ খ্রিস্টপূর্ব - ৭৯ খ্রিস্টপূর্ব) মাসিয়া টেরটিয়া (৭৯ খ্রিস্টপূর্ব - ৬১ খ্রিস্টপূর্ব) জুলিয়া (৫৯ খ্রিস্টপূর্ব - ৫৪ খ্রিস্টপূর্ব) কর্নেলিয়া ম্যাটিলা (৫২ খ্রিস্টপূর্ব - ৪৮ খ্রিস্টপূর্ব) |
সন্তান | নিয়াস পম্পেয়াস পম্পেয়া ম্যাগনা সেক্সটাস পম্পেয়াস |
পেশা | রাজনীতিবিদ ও সামরিক কমান্ডার |
ধর্ম | রোমান পৌত্তলিকতা |
নিয়াস পম্পেয়াস ম্যাগনাস (সরকারী নামকরণ CN·POMPEIVS·CN·F·SEX·N·MAGNVS;[১] ২৯শে সেপ্টেম্বর ১০৬ বিসি – ২৮শে সেপ্টেম্বর ৪৮ বিসি) পশ্চিমা দেশগুলোতে যিনি পম্পে /ˈpɒmpiː/ বা পম্পে দ্য গ্রেট,[২] নামে পরিচিত, ছিলেন সাবেক রোমান প্রজাতন্ত্রের একজন সামরিক ও রাজনৈতিক নেতা। তিনি ধনী ইতালীয় প্রাদেশিক নেপাথ্য থেকে এসেছিলেন ও তার পিতা প্রথম তৎকালীন রোমান আভিজাত্য পরিবার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যুবক থাকা অবস্থাও জেনারেল হিসেবে পম্পের অসাধারণ সাফল্য তাকে সরকারি গতানুগতিক প্রক্রিয়ার বাইরে সরাসরি রাষ্ট্রপ্রতিনিধির পদ পেতে সহয়তা করেছিল। সাল্লার দ্বিতীয় গৃহযুদ্ধে তার সাফ্যলের জন্য তিনি ম্যাগনাস, দ্য গ্রেট হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেন। তিনি তিনবার রাষ্ট্রপতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ও তিনবার বিজয় উদ্যাপন করেছিলেন।
৬০ খ্রিস্টপূর্বের মাঝামাঝি সময়ে তিনি মার্কাস লিসিনিয়াস ক্র্যাসুস ও জুলিয়াস সিজারের বেসরকারী সামরিক রাজনৈতিক জোটে যোগদান করেন যা প্রথম তিন ব্যক্তির সমন্বয় জোট বলে পরিচিত ছিল। সেখানে তিনি সিজারের কন্যা জুলিয়াকে বিয়ে করেন। ক্র্যাসুস ও জুলিয়ার মৃত্যুর পর পম্পে রোমান সিনেটের সংরক্ষণবাদিদের সাথে যোগদান করেন। পরবর্তীতে পম্পে ও সিজার রোমান সিনেটের নেতৃত্ত্বের প্রতিযোগিতা করেন যা গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। যখন পম্পে পারসালাসের যুদ্ধে পরাজিত হগন তখন তিনি মিশরে আশ্রয় গ্রহণ করেন ও সেখানেই তিনি খুন হন। তার কর্মজীবন ও পরাজয় প্রজাতন্ত্র থেকে রোমকে সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদে রুপান্তরে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল।
পম্পের পিতা নিয়াস পম্পেয়াস স্ট্রাবো পিসেনামের একজন ধনী ব্যক্তি ছিলেন যিনি ইতালির প্রাদেশিক অঞ্চলে স্থানান্তরিত হওয়া প্রথমদিককার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। পম্পেয়াস স্ট্রাবো ঐতহ্যগতভাবে কারসাস সম্মান, ১০৪ খ্রিস্টপূর্বে বিচারক, ৯২ খ্রিস্টপূর্বে প্রাচীন রোমের ম্যাজিসট্রেট, ৮৯ খ্রিস্টপূর্বে দূত হিসেবে নির্বাচিত হন এবং লোভ, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক দিক দিয়ে পরিচিত হয়ে উঠেন। তার সামরিক নির্মমতার জন্যও তিনি মাঝে মাঝে সমালোচিত হয়েছিলেন। মারিয়ান-সাল্লার যুদ্ধের সময় তিনি সাল্লার ঐতিহ্যগত আশাবাদীদেরকে সমর্থন করেছিলেন।[৩]
তিনি ৮৭ খ্রিস্টপূর্বে মারিয়ানার রোম অবরোধের সময় মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যু সম্পর্কে কয়েকটি কারণ প্রচোলিত। প্রচলিত মতানুসারে তিনি হয় রোগে আক্রান্ত হয়ে, বা বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে অথবা দুটিতেই মৃত্যুবরণ করেন।[৩] তার মৃতদেহ মবদের দ্বারা শবাধার থেকে টেনে উঠানো হয়েছিল।[৪] তার ২০ বছর বয়সী পুত্র পম্পে তার সম্পত্তি, রাজনৈতিক ধারা, ও তার পিতার বাহিনীর আনুগত্য উত্তরাধিকারসূত্রে পান। পম্পের রোমার মূর্তি ইতালির মিলানে অবস্থিত। মূর্তিটি ১৬২৭ সালে গ্যালাজো অ্যার্কোনাটি দ্বারা রোম থেকে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
পম্পে তার পিতার অধীনে দুবছর সামরিক বাহিনীতে কাজ কজ করেছিলেন ও ইতালীয়দের বিরুদ্ধে মার্সিক সোস্যাল যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি রোমে ফিরে আসেন ও লুটতরাজের অভিযোগে অভিযুক্ত হন: বিচারকের মেয়ে অ্যান্টিসটিয়াকে বিয়ে করে তিনি বিচারের হাত থেকে রক্ষা পান।[৫] পরবর্তী কয়েকবছর মারিয়ানরা ইতালি দখলে রেখেছিল।[৬] যখন সাল্লা মিথ্রিডেটের বিরুদ্ধে একটি ক্যাম্পেইন থেকে ৮৩ খ্রিস্টপূর্বে ফিরে আসেন তখন পম্পে পিসেনীয় কয়েকটি গোত্রকে সংগঠিত করে সাল্লার পক্ষে ও মারিয়ানার নিয়াস পাপিরিয়াস কার্বোর বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করেন।[৭]
সাল্লা ও তার মিত্ররা মারিয়ানাদের রোম ও ইতালি থেকে বিতাড়িত করেন: রোমের প্রধান ডিক্টেটর হিসেবে সাল্লা অভিষিক্ত হন ও তিনি যুবক পাম্পের আত্মবিশ্বাসে খুশি হন। তিনি পাম্পেকে তার সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ করেন ও তার পালিত কন্যা এমিলিয়া কাউড়াকে বিবাহের প্রস্তাব দেন। কাউড়া তখন বিবাহিত, গর্ভবতী ছিলেন ও তার স্বামীকে তালাক দিয়েছিলেন। পম্পে তার প্রথম স্ত্রী অ্যান্টিসটিয়াকে তালাক দেন ও কাউড়াকে বিয়ে করেন।[৮] যদিও সন্তান জন্মের সময় কাউড়া মৃত্যুবরণ করেন তবুও পম্পের আনুগত্য ও অসাধারণ কর্মজীবন এটি নিশ্চিত করেছে।[৯]