ফ্রেডরিখ হুন্ড | |
---|---|
জন্ম | ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৬ কার্লসরুহ |
মৃত্যু | ৩১ মার্চ ১৯৯৭ (বয়স ১০১) গটিঙেন |
জাতীয়তা | জার্মান |
পুরস্কার | মাক্স প্লাংক পদক (১৯৪৩) রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় অটো হান পদক (১৯৭৪) |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | পদার্থবিজ্ঞান |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | মাক্স বর্ন |
ডক্টরেট শিক্ষার্থী | হ্যারি লেম্যান কার্ল ফ্রিডরিখ ফন ভাইৎস্যেকার ইয়ুর্গেন শ্নাকেনবার্গ এডওয়ার্ড টেলার |
ফ্রেডরিখ হারমান হুন্ড (৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৬ - ৩১ মার্চ ১৯৯৭) একজন জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী। তিনি পরমাণু ও অণু সংক্রান্ত তার কাজের জন্য বিখ্যাত।[১]
ফ্রেডরিখ হুন্ড জীবদ্দশায় রস্টক, লিপজিগ, জেনা, ফ্রাঙ্কফুর্ট ও গটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
তিনি শ্রোডিঙার, পল ডিরাক, হাইর্জেনবের্গ, মাক্স বর্ন ও ভাল্টার বোটের মতো নামকরা পদার্থবিদদের সাথে কাজ করেছেন। সেই সময়, তিনি বর্নের সহকারী হিসেবে, দ্বি-পারমাণবিক অণুর বর্ণালির কোয়ান্টাম ব্যাখা নিয়ে কাজ করেছেন।
মারবার্গ এবং গটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান এবং ভূগোল বিষয়ে পড়াশোনা শেষে তিনি গটিঙেনে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে (১৯২৫) এবং রস্টক (১৯২৭), লিপজিগ (১৯২৯), জেনা (১৯৪৬), ফ্রাঙ্কফুর্ট (১৯৫১) এবং ১৯৫৭ থেকে আবারও গটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও, তিনি নিলস বোর এর সাথে কোপেনহেগেনে থেকেছেন (১৯২৬) এবং হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পরমাণুর ওপর বক্তৃতা দিয়েছেন। তিনি মোট ২৫০টির বেশি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন। হুন্ড কোয়ান্টাম তত্ত্বের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছেন - বিশেষত পরমাণুর কাঠামো এবং আণবিক বর্ণালীর বিষয়ে।
এমনকি, রবার্ট সেন্ডারসন মুল্লিকেন, যাকে আণবিক কক্ষপথ তত্ত্বের জন্য ১৯৬৬ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল, নিজের কাজের ওপর হুন্ডের দুর্দান্ত প্রভাব স্বীকার করতেন এবং তিনি স্বাচ্ছন্দ্যে হুন্ডের সাথে নোবেল পুরস্কার ভাগ করে নিতে রাজি আছেন বলে সর্বদা ঘোষণা করতেন।হুন্ডের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ, তত্ত্বটিকে হুন্ড-মুল্লিকেন তত্ত্ব হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। হুন্ডের নীতি, তার নামের আরেকটি স্বীকৃতি, এবং ১৯২৬ সালে হুন্ড টানেল প্রভাব বা কোয়ান্টাম টানেলিং আবিষ্কার করেন।
বর্ণালীবীক্ষণ ও কোয়ান্টাম রসায়নে হুন্ডের ঘটনা (হুন্ডস কেস), যা হলো দ্বি-আণবিক কৌণিক গতিবেগ সংযোগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অঞ্চলসমূহ এবং হুন্ডের নীতি, যা পরমাণুর ইলেকট্রন বিন্যাস পরিচালনা করে, এগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ। রসায়নে, হুন্ডের প্রথম নীতিটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং একে সাধারণভাবে হুন্ডের নীতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
হুন্ডের ১০০ তম জন্মদিনে, ফ্রেডরিখ হুন্ড: ভৌত ধারণার ইতিহাস (হাইডেলবার্গ, বার্লিন, অক্সফোর্ড), স্পেকট্রাম, একাডেমিয়া ভার্লাগ ১৯৯৬, আইএসবিএন ৩-৮২৭৪-০০৮৩-X, বইটি প্রকাশিত হয়। ভার্নার কুটজেলনিগ এর একটি পর্যালোচনা লেখেন।[২]
এইসব সম্মাননা ছাড়াও ফ্রেডরিখ হুন্ড জেনা / সালের সম্মানসূচক নাগরিক ছিলেন এবং তাঁর নামে জেনার একটি রাস্তার নামকরণ হয়েছিলো। ২০০৪ সালের জুনে, গটিঙেনের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নতুন ভবনের একটি অংশের ঠিকানা হিসেবে লেখা হয়েছিলো, ফ্রেডরিখ-হুন্ড-প্লাটজ-১। গটিঙেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের জন্যও একই নাম বাছাই করা হয়েছিলো।
তিনি ইন্টারন্যাশনাল একাডেমী অফ কোয়ান্টাম মলিকিউলার সাইন্স-এর একজন সদস্য ছিলেন। দাবা খেলোয়াড় এবং গণিতবিদ জেরার্ড হুন্ড তার সন্তান।