এই নিবন্ধটি ইংরেজি উইকিপিডিয়া হতে অনুবাদের মাধ্যমে অমর একুশে নিবন্ধ প্রতিযোগিতা ২০২৪ উপলক্ষ্যে মানোন্নয়ন করা হচ্ছে। নিবন্ধটিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নিবন্ধকার কর্তৃক সম্প্রসারণ করে অনুবাদ শেষ করা হবে; আপনার যেকোন প্রয়োজনে এই নিবন্ধের আলাপ পাতাটি ব্যবহার করুন। আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। |
বিশ্ব শক্তি সরবরাহ এবং ব্যবহার বলতে বিশ্বব্যাপী প্রাথমিক শক্তি উৎপাদন, শক্তি রূপান্তর ও বাণিজ্য এবং শক্তির চূড়ান্ত খরচ বোঝায়। শক্তি বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার করা যেতে পারে যেমন প্রক্রিয়াজাত জ্বালানি হিসাবে, পরিবহন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ইত্যাদি। শক্তি উৎপাদন এবং ব্যবহার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শক্তি উৎপাদন এবং খরচ সংক্রান্ত একটি গুরুতর সমস্যা হল গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন।[১] বিশ্বব্যাপী বার্ষিক মোট প্রায় ৫০ বিলিয়ন টন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের মধ্যে ২০২১ সালে (সব জীবাশ্ম জ্বালানি উৎস থেকে) ৩৬ বিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়েছিল।[২]
জলবায়ু পরিবর্তন সীমিত করার জন্য প্যারিস চুক্তিতে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে তা অর্জন করা কঠিন হবে।[৩] গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর জন্য ২০৫০ সালের মধ্যে গড় শূন্য নামে অনেক পরিস্থিতি কল্পনা করা হয়েছে। ২০২২ সালের হিসাবে, জীবাশ্ম জ্বালানী থেকে শক্তি খরচ এখনও প্রায় ৮০%।[৪] উপসাগরীয় রাষ্ট্র এবং রাশিয়া হল প্রধান শক্তি রপ্তানিকারক এবং এর উল্লেখযোগ্য গ্রাহক দেশসমূহ হল ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীন। এইসমস্ত গ্রাহকগুলোতে শক্তির চাহিদা মেটানোর জন্য অভ্যন্তরীণভাবে পর্যাপ্ত শক্তি উৎপাদিত হয় না। সৌর এবং বায়ুশক্তি বাদে সাধারণত শক্তি খরচ প্রতি বছর প্রায় ১-২% বৃদ্ধি পায়,[৫] যা ২০১০-এর দশকে প্রতি বছর গড়ে ২০% ছিল।[৬][৭]
জীবাশ্ম জ্বালানির মতো যে শক্তি উৎপন্ন হয়, তা মাঠ পর্যায়ের গ্রাহকদের ব্যবহারের উপযোগী করার জন্য প্রক্রিয়া করা হয়। প্রাথমিক উৎপাদন এবং চূড়ান্ত ব্যবহার থেকে শক্তি সরবরাহ অনেক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়, ফলে শেষ পর্যন্ত দরকারী শক্তির ক্ষতি হয়।[৮]
যেখানে আমেরিকা, কানাডার মত উন্নত দেশগুলোর মাথাপিছু শক্তি খরচ অনেক বেশি, সেখানে স্বল্পোন্নত দেশগুলিতে তা কম এবং সাধারণত বেশি নবায়নযোগ্য।[৯][১০] এর মাধ্যমে মাথাপিছু শক্তি খরচ এবং মাথাপিছু জিডিপির মধ্যে একটি স্পষ্ট সংযোগ দেখা যায়।[১১]