ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ভিনিসিউস জোসে পাইশাও দে ওলিভেইরা জুনিয়র[১] | ||
জন্ম | ১২ জুলাই ২০০০ | ||
জন্ম স্থান | সাও গোনসালো, ব্রাজিল[২] | ||
উচ্চতা | ১.৭৬ মিটার (৫ ফুট ৯+১⁄২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | আক্রমণভাগের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | রিয়াল মাদ্রিদ | ||
জার্সি নম্বর | ৭ | ||
যুব পর্যায় | |||
২০০৫–২০১৭ | ফ্লামেঙ্গো | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১৭–২০১৮ | ফ্লামেঙ্গো | ৩৭ | (৭) |
২০১৮ | রিয়াল মাদ্রিদ বি | ৫ | (৪) |
২০১৮– | রিয়াল মাদ্রিদ | ১৫৩ | (৩৫) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০১৫–২০১৬ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৫ | ১০ | (৭) |
২০১৬–২০১৭ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৭ | ১৯ | (১৭) |
২০১৮–২০১৯ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ | ৪ | (০) |
২০১৯– | ব্রাজিল | ২৩ | (৩) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ২১:৩০, ২৫ আগস্ট ২০২৩ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ২৩:১৩, ২০ জুন ২০২৩ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
ভিনিসিউস জোসে পাইশাও দে ওলিভেইরা জুনিয়র (পর্তুগিজ: Vinícius Júnior, ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: ;[৩] জন্ম: ১২ জুলাই ২০০০; ভিনিসিউস জুনিয়র নামে সুপরিচিত) হলেন একজন ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে স্পেনের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর লা লিগার ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।[৪][৫] তিনি মূলত বাম পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে ডান পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
২০০৫–০৬ মৌসুমে, ব্রাজিলীয় ফুটবল ক্লাব ফ্লামেঙ্গোর যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে ভিনিসিউস ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দলের হয়ে খেলার মাধ্যমেই তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০১৭ সালে, ফ্লামেঙ্গোর মূল দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি ২ মৌসুম অতিবাহিত করেছেন; ফ্লামেঙ্গোর হয়ে তিনি ৩৭ ম্যাচে ৭টি গোল করেছেন। অতঃপর ২০১৮–১৯ মৌসুমে তিনি প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে স্পেনীয় ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে যোগদান করলেও উক্ত মৌসুমে তিনি রিয়াল মাদ্রিদ কাস্তিয়ার হয়ে খেলেছেন।
২০১৫ সালে, ভিনিসিউস ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ৪ বছর যাবত ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০১৯ সালে ব্রাজিলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; ব্রাজিলের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ৫ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি ব্রাজিলের হয়ে এপর্যন্ত ২০২১ কোপা আমেরিকায় অংশগ্রহণ করেছেন, যেখানে তিতের অধীনে কোপা আমেরিকার রানার-আপ হয়েছেন।
ব্যক্তিগতভাবে, ভিনিসিউস বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৭ দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা খেলোয়াড় এবং শীর্ষ গোলদাতার জয় অন্যতম।[৬] দলগতভাবে, ভিনিসিউস এপর্যন্ত ৫টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২টি ব্রাজিলের হয়ে এবং ৩টি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে জয়লাভ করেছেন।
ভিনিসিউস জোসে পাইশাও দে ওলিভেইরা জুনিয়র ২০০০ সালের ১২ই জুলাই তারিখে ব্রাজিলের সাও গোনসালো জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। ২০০৬ সালে তিনি ব্রাজিলের অন্যতম ব্যাস্ততম নগরী রিউ দি জানেইরুর পৌরসভা সাও গোনসালোর উপকন্ঠে মুতুয়ায় বসবাস করেছেন।
২০০৬ সালে, মুতুয়ায় বসবাসকালীন তাকে ব্রাজিলীয় ফুটবল ক্লাব ফ্লামেঙ্গোর একজন শাখা কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গরীব পরিবারের সন্তান হওয়ায়, ভিনিসিউস তার চাচাদের একজনের সাথে আবলিচাও নামক স্থানে অবস্থিত নিনহো দু উরুবু নামক ফ্লামেঙ্গোর একটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রের নিকটবর্তীতে থাকার জন্য স্থানান্তরিত হয়েছিলেন।[৭]
২০০৭ সালে, ব্রাজিলের সাও গোনসালো পৌরসভায় অবস্থিত ফ্লামেঙ্গোর অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি তিনি রিউ দি জানেইরুর আরেক পৌরসভা নিতেরোইয়ের ক্লাব কান্তো দো রিউয়ে ফুটসালের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছিলেন। সেখানে তিনি ২০১০ সালের পূর্ব পর্যন্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন।[৭] ২০০৯ সালে মাত্র ৯ বছর বয়সে তখন তার বাবা-মা তাকে ফ্লামেঙ্গোর হয়ে ফুটসালের একটি প্রতিযোগিতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। ক্লাবটি তার মধ্যে সম্ভাবনা দেখতে পেয়েছিল এবং তাকে ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হবার পর তাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেছিল। তবে তিনি ফুটসাল খেলায় ফিরে না গিয়ে ফ্লামেঙ্গোর জন্য পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন।[৭]
২০১৭ সালের ২৩শে মে তারিখে, স্পেনীয় ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ ভিনিসিউসকে তাদের দলে নেওয়ার জন্য একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল, যেটি ২০১৮ সালের ১২ই জুলাই তার ১৮তম জন্মদিনের পর কার্যকর হয়েছে (যেহেতু আন্তর্জাতিকভাবে এক ক্লাব থেকে অন্য ক্লাবে যেতে হলে সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর হতে হয়)।[৮] তিনি প্রায় ৪৬ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগদান করেছেন, যেটি তখনকার সময়ে ব্রাজিলীয় ফুটবল ইতিহাসে নেইমারে পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্থানান্তর ফি ছিল।[৯][১০]
২০১৮ সালের ২০শে জুলাই তারিখে, রিয়াল মাদ্রিদ ভিনিসিউসকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাবটির একজন খেলোয়াড় হিসেবে উপস্থাপন করেছে।[১১]
ভিনিসিউস ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৫, ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৭ এবং ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১৫ সালের ৩০শে অক্টোবর তারিখে তিনি ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন। ২০১৫ সালে তিনি ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে ২০১৫ দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়লাভ করেছেন, উক্ত প্রতিযোগিতার ফাইনালে তার দল উরুগুয়ে অনূর্ধ্ব-১৫ দলকে পেনাল্টি শুট-আউটে ৫–৪ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে উক্ত প্রতিযোগিতার ইতিহাসে চতুর্থ বারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল। দুই বছর পর, ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে ২০১৭ দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়লাভ করার মাধ্যমে তিনি সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করেছেন,[১২][১৩] এবার চূড়ান্ত পর্বে তার দল ৫ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ইতিহাসে দ্বাদশবারের মতো শিরোপা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছিল; উক্ত প্রতিযোগিতায় তিনি ৮ ম্যাচে ৭টি গোল করে তিনি আসরের শীর্ষ গোলদাতার পাশাপাশি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়লাভ করেছেন।[১৪][১৫][১৬] ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি ৩৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ২৪টি গোল এবং ২টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন।
২০১৯ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর তারিখে, মাত্র ১৯ বছর ১ মাস ৩০ দিন বয়সে, ডান পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী ভিনিসিউস পেরুর বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলের হয়ে অভিষেক করেছেন। উক্ত ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় রিচার্লিসনের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে প্রবেশ করেন;[১৭] ম্যাচে তিনি ১৯ নম্বর জার্সি পরিধান করে ডান পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।[১৮] ম্যাচটিতে ব্রাজিল ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।[১৯] ব্রাজিলের হয়ে অভিষেকের বছরে ভিনিসিউস মাত্র ১ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
ব্রাজিল | ২০১৯ | ১ | ০ |
২০২১ | ৪ | ০ | |
সর্বমোট | ৫ | ০ |