স্থানীয় নাম:
| |
---|---|
ভূগোল | |
অবস্থান | ফিলিপাইন |
দ্বীপপুঞ্জ | ফিলিপাইন |
সংলগ্ন জলাশয় | |
প্রধান দ্বীপসমূহ | |
আয়তন | ৯৭,৫৩০ বর্গকিলোমিটার (৩৭,৬৬০ বর্গমাইল)[১] |
আয়তনে ক্রম | ১৯ংশ তম |
সর্বোচ্চ উচ্চতা | ২,৯৫৪ মিটার (৯,৬৯২ ফুট) |
সর্বোচ্চ বিন্দু | মাউন্ট এপো |
প্রশাসন | |
অঞ্চল | |
প্রদেশ | তালিকা |
বৃহত্তর বসতি | দাভাও শহর (জনসংখ্যা ১,৭৭৬,৯৪৯) |
জনপরিসংখ্যান | |
বিশেষণ |
|
জনসংখ্যা | ২৭,০২১,০৩৬ (২০২১) (মিন্দানাও দ্বীপমালা) [২] |
জনঘনত্ব | ২৪৩ /বর্গ কিমি (৬২৯ /বর্গ মাইল) |
জাতিগত গোষ্ঠীসমূহ | তালিকা |
মিন্দানাও (/ˌmɪndəˈnaʊ/ (ⓘ) MIN-də-NOW) (Jawi:مندنو) লুজোনের পরে ফিলিপাইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ এবং বিশ্বের সপ্তম-জনবহুল দ্বীপ। দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত এই দ্বীপটি একই নামের একটি দ্বীপ গোষ্ঠীর অংশ যা এর সংলগ্ন দ্বীপগুলিও অন্তর্ভুক্ত, বিশেষ করে সুলু দ্বীপপুঞ্জের। ২০২০ সালের আদমশুমারি অনুসারে মিন্দানাওয়ের জনসংখ্যা ২৬,২৫২,৪৪২ জন, যেখানে ২০২১ সালের আদমশুমারি অনুসারে সমগ্র দ্বীপ গোষ্ঠীর আনুমানিক জনসংখ্যা ২৭,০২১,০৩৬ জন।
মিন্দানাও ছয়টি প্রশাসনিক অঞ্চলে বিভক্ত: জাম্বোয়াঙ্গা উপদ্বীপ, উত্তর মিন্দানাও, কারাগা অঞ্চল, দাভাও অঞ্চল, সোকস্কসারজেন এবং বাংসামোরোর স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল। ২০২০ সালের আদমশুমারি অনুসারে ১,৭৭৬,৯৪৯ জন অধিবাসী বিশিষ্ট দাভাও হল দ্বীপটির সবচেয়ে জনবহুল শহর, তারপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে জাম্বোয়াঙ্গা শহর (জনসংখ্যা ৯৭৭,২৩৪ জন), কাগায়ান দে ওরো (জনসংখ্যা ৭২৮,৪০২ জন), জেনারেল সান্তোস (জনসংখ্যা ৬৯৭,৩১৫ জন), বুটুয়ান (জনসংখ্যা ৩৭২,৯১০ জন), ইলিগান (জনসংখ্যা ৩৬৩,১১৫ জন) এবং কোটাবাটো শহর (জনসংখ্যা ৩২৫,০৭৯ জন)।[৩] এখানকার প্রায় ৭০% বাসিন্দা খ্রিস্টান এবং ২৪% মুসলিম। মিন্দানাও ফিলিপাইনের প্রধান রুটির বাস্কেট হিসাবে বিবেচিত হয়।[৪][৫]
মিন্দানাও নামটি এসেছে মাগুইন্দানাও জনগোষ্ঠীর নামের স্প্যানিশ অপভ্রংশ হতে, যারা স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক আমলে দক্ষিণ-পশ্চিম মিন্দানাওয়ের মাগুইন্দানাও সালতানাত শাসনকারী প্রভাবশালী নৃগোষ্ঠী ছিলো। এই নামের অর্থ "হ্রদের অধিবাসী", যদিও আধুনিক উৎসগুলোতে সাধারণত একে "প্লাবন ভূমিতে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী" হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
এই দ্বীপে প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত প্রমাণাদি দ্বারা একথাই স্বীকার করে নিতে হয় যে, এখানে দশ হাজার বছর আগে মানব বসতি গড়ে উঠেছিলো। খ্রীস্টপূর্ব ১,৫০০ বছর আগে অস্ট্রোনেশিয় জনগোষ্ঠী ফিলিপাইনে ছড়িয়ে গিয়েছিলো।
মিন্দানাওয়ের অর্থনীতি দেশটির মোট স্থূল দেশজ উৎপাদনের ১৪%-এর সমান। লুজনের ৫.৫% এবং ভিসায়াশের ৯.১%-এর বিপরীতে ২০১৬ সালে এই অঞ্চলটিতে উৎপাদিত হয় সমগ্র দেশের ৪.৯%।
দেশটির আনারস এবং কলার মতো প্রধান ফসলগুলোর সর্ববৃহৎ সরবরাহকারী হিসাবে পরিচিত মিন্দানাওয়ের বাজারের ৪০ শতাংশের ওপর দখল করে রেখেছে কৃষিজ উৎপাদন, বনজ সম্পদ সংগ্রহ এবং মৎস্য সম্পদ আহরণ করা।
৯৭,৫৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট মিন্দানাও ফিলিপাইনের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ এবং পৃথিবীর ৭ম জনবহুল দ্বীপ। এই দ্বীপটি পার্বত্যময় এবং এখানেই দেশটির সর্বোচ্চ পর্বত মাউন্ট এপো অবস্থিত। চারটি সমুদ্র দ্বারা বেষ্টিত মিন্দানাওয়ের পূর্বে ফিলিপাইন সাগর, পশ্চিমে সুলু সাগর, উত্তরে মিন্দানাও সাগর এবং দক্ষিণে সেলেবেস সাগর।
২০১৭ সালের হিসাব অনুসারে, মিন্দানাওয়ের লোকসংখ্যা ২৫ মিলিয়নের অধিক; যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ২২.১% বহন করে।
মিন্দানাওয়ের প্রধান ধর্মীয় অনুসারীরা খ্রিস্টান মতাদর্শে বিশ্বাসী, যারা মোট জনসংখ্যার ৬৫.৯০%। এখানকার অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মুসলমানগণ; মোট জনসংখ্যার ২৩.৩৯% তারা।
সমগ্র মিন্দানাও জুড়ে রয়েছে হোটেল, রেস্তোরাঁ, অবকাশ যাপন কেন্দ্র প্রভৃতি।