পূর্ণ নাম | লিভারপুল ফুটবল ক্লাব | |||
---|---|---|---|---|
ডাকনাম | দ্য রেডস | |||
প্রতিষ্ঠিত | ৩ জুন ১৮৯২[১] | |||
মাঠ | অ্যানফিল্ড | |||
ধারণক্ষমতা | ৫৭,৩৩২[২] | |||
সভাপতি | টম ওয়ার্নার | |||
ম্যানেজার | ইয়ুর্গেন ক্লপ | |||
লিগ | প্রিমিয়ার লিগ | |||
২০২২–২৩ | ৫ম | |||
ওয়েবসাইট | ক্লাব ওয়েবসাইট | |||
| ||||
লিভারপুল ফুটবল ক্লাব (ইংরেজি: Liverpool F.C.; সাধারণত লিভারপুল এফসি এবং সংক্ষেপে লিভারপুল নামে পরিচিত) হচ্ছে লিভারপুল ভিত্তিক একটি ইংরেজ পেশাদার ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবটি বর্তমানে ইংল্যান্ডের শীর্ষ স্তরের ফুটবল লিগ প্রিমিয়ার লিগে প্রতিযোগিতা করে। এটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল ক্লাব। এই ক্লাবটি ১৮৯২ সালের ৩রা জুন তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৫৭,৩৩২ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট অ্যানফিল্ডে দ্য রেডস নামে পরিচিত ক্লাবটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে।[৩] বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন জার্মান সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় ইয়ুর্গেন ক্লপ এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন টম ওয়ার্নার।[৪] বর্তমানে ওলন্দাজ রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ফিরজিল ফন ডাইক এই ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।[৫][৬]
ঘরোয়া ফুটবলে, লিভারপুল এপর্যন্ত ৫৭টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে উনিশটি প্রিমিয়ার লিগ, আটটি এফএ কাপ এবং ষোলোটি এফএ কমিউনিটি শিল্ড শিরোপা রয়েছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, এপর্যন্ত ১৩টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে ছয়টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, তিনটি উয়েফা ইউরোপা লিগ এবং চারটি উয়েফা সুপার কাপ শিরোপা রয়েছে। ইয়ান ক্যালাহান, জেমি ক্যারাঘার, স্টিভেন জেরার্ড, ইয়ান রাশ এবং রজার হান্টের মতো খেলোয়াড়গণ লিভারপুলের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
ইয়ান ক্যালাহান লিভারপুলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪৮টি ম্যাচ খেলেছেন ১৯৫৮-৭৮ পর্যন্ত ১৯টি মৌসুমে। ৬৪০টি লিগ খেলার রেকর্ডও তার দখলে। বর্তমান একাদশে ৪১৯ ম্যাচ খেলার রেকর্ড আছে জেমি ক্যারেঘার এর (১৯ আগস্ট, ২০০৬ পর্যন্ত)। ক্যারেঘারের ২৯০টি প্রিমিয়ার লিগ খেলাও একটি ক্লাব রেকর্ড।
লিভারপুলের হলে সব সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন ইয়ান রাশ, যিনি ৩৪৬টি গোল করেছেন ১৯৮০-১৯৮৭ ও ১৯৮৮-১৯৯৬ মৌসুমগুলোতে। ১৯৮৩-৮৪ তে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৪৭ গোল দেয়ার রেকর্ডও তার। যদিও রাশ সর্বোচ্চ লিগ গোল দেয়ার রেকর্ড গড়তে পারেননি। এ রেকর্ড গড়েছেন রজার হান্ট ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ২৪৫ গোল দিয়ে। ১৯৬১-৬২ মৌসুমে ৪১ গোল দিয়ে হান্ট এক মৌসুমে সর্বোচ্চ লিগ গোল দেন। গর্ডন হজ্সন ক্লাবের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা ১৭টি হ্যাট্রিক করে সর্বোচ্চ হ্যাট্রিকের রেকর্ডধারী। এক খেলায় সর্বোচ্চ ৫ গোল করেছেন এন্ডি ম্যাকগিগান, জন ইভানস, ইয়ান রাশ ও রবি ফাউলার। রবি ফাউলার ক্লাব ও প্রিমিয়ার লিগের রেকর্ড করেছেন দ্রুততম ৪ মিনিট, ৩২ সেকেন্ডে হ্যাট্রিক করে (আর্সেনাল এর বিপক্ষে)।
লিভারপুলের সবচেয়ে বড় জয় ১১-০ ব্যবধানে ১৯৭৪ সালে। গোলকীপার ছাড়া দশজনের মধ্যে নয়জনই এতে গোল করেন - একটি লিভারপুল রেকর্ড। ১৯৮৯ সালে ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথে লিভারপুল সবচেয়ে বড় ব্যবধানে লিগ খেলা জিতে ৯-০ তে। লেস্টারের সাথে জয়ের পর অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের অপরাজিত থাকার ধারা বর্তমানে ঠেকেছে ৬৪-তে। ক্লাবের ইতিহাসে যেটা নতুন রেকর্ড।[৭] ১৯৮১ সালে এই লেস্টার সিটির আকছে হেরেই বব পেইসলির লিভারপুলের অ্যানফিল্ডের ৬৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার ধারায় ছেদ পড়েছিল।[৭]
টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।
|
|
টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।
|
ম্যানেজার | ইয়ুর্গেন ক্লপ |
প্রথম সহকারী ম্যানেজার | জ়েলিয়েকো বুভাচ |
দ্বিতীয় সহকারী ম্যানেজার | পিটার ক্রাউইটজ় |
প্রথম দলের গোলরক্ষক কোচ | জন আখটারবার্গ |
হেড ফিজিও | আন্দ্রে কর্নমায়ের |
নাম | জাতীয়তা | দায়িত্ব শুরু | দায়িত্ব শেষ | রেকর্ড | |||
---|---|---|---|---|---|---|---|
খেলা | জয় | ড্র | পরাজয় | ||||
ডব্লিউ. ই. বার্কলে ও জন ম্যাককেনা[৮] | আগস্ট ১৮৯২ | জুলাই ১৮৯৬ | ১০১ | ৫৮ | ১৭ | ২৬ | |
টম ওয়াটসন | আগস্ট ১৮৯৬ | মে ১৯১৫ | ৭৪০ | ৩২৭ | ১৪১ | ২৭২ | |
ডেভিড এশওর্থ | ডিসেম্বর ১৯২০ | ফেব্রুয়ারি ১৯২৩ | ৫৮ | ২৫ | ২৪ | ৯ | |
ম্যাট ম্যাককুইন | ফেব্রুয়ারি ১৯২৩ | ফেব্রুয়ারি ১৯২৮ | ২২৯ | ৯৪ | ৬১ | ৭৪ | |
জর্জ প্যাটারসন | ফেব্রুয়ারি ১৯২৮ | মে ১৯৩৬ | ৩৭০ | ১৩৯ | ৮৬ | ১৪৫ | |
জর্জ কে | মে ১৯৩৬ | ফেব্রুয়ারি ১৯৫১ | ৩৫৯ | ১৪৩ | ৯৩ | ১২৩ | |
ডন ওয়েলস | মার্চ ১৯৫১ | মে ১৯৫৬ | ২৩৪ | ৮২ | ৬০ | ৯২ | |
ফিল টেইলর | মে ১৯৫৬ | নভেম্বর ১৯৫৯ | ১৫৩ | ৭৭ | ৩২ | ৪৪ | |
বিল শ্যাঙ্কলি | ডিসেম্বর ১৯৫৯ | ১৯৭৪ | ৭৫৩ | ৩৯৩ | ১৮৫ | ১৭৫ | |
বব পেইসলি | জুলাই ১৯৭৪ | মে ১৯৮৩ | ৪৯০ | ২৭৫ | ১২৪ | ৯১ | |
জো ফ্যাগান | মে ১৯৮৩ | মে ১৯৮৫ | ১২২ | ৬৫ | ৩৪ | ২৩ | |
কেনি ড্যালগ্লিশ | মে ১৯৮৫ | ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ | ২৯৭ | ১৮০ | ৭৬ | ৪১ | |
রনি মোরান[৯] | ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ | এপ্রিল ১৯৯১ | ১০ | ৪ | ১ | ৫ | |
গ্রায়েম সাউনেস | এপ্রিল ১৯৯১ | জানুয়ারি ১৯৯৪ | ১৫৭ | ৬৫ | ৪৭ | ৪৫ | |
রয় ইভানস | জানুয়ারি ১৯৯৪ | জুলাই ১৯৯৮ | ২২৬ | ১১৬ | ৫৭ | ৫৩ | |
রয় ইভানস ও জেরার্ড হাউলির[৮] | / | জুলাই ১৯৯৮ | নভেম্বর ১৯৯৮ | ১৮ | ৭ | ৬ | ৫ |
জেরার্ড হাউলির[১০] | নভেম্বর ১৯৯৮ | মে ২০০৪ | ৩০৭ | ১৬০ | ৭৩ | ৭৪ | |
রাফায়েল বেনিটেজ | জুন ২০০৪ | জুন ২০১০ | ৩৫০ | ১৯৭ | ৭৪ | ৭৯ | |
রয় হডসন | জুলাই ২০১০ | জানুয়ারি ২০১১ | ৩১ | ১৩ | ৮ | ১০ | |
কেনি ডালগ্লিস | জানুয়ারি ২০১১ | মে ২০১২ | ৭৪ | ৩৫ | ১৭ | ২২ | |
ব্রেন্ডান রজারস্ | মে ২০১২ | অক্টোবর ২০১৫ | ১৬৬ | ৮৫ | ৩৯ | ৪২ | |
ইয়ুর্গেন ক্লপ | অক্টোবর ২০১৫ | বর্তমান | ৯৯ | ৫০ | ২৮ | ২১ |
রানার আপ: ২০২০
Liverpool F.C. was born on 3 June 1892. It was at John Houlding's house in Anfield Road that he and his closest friends left from Everton FC, formed a new club.