সর্বজার্মানবাদ (ইংরেজি pan-germanism; ত্রুটি: {{Lang-xx}}: text has italic markup (সাহায্য)) হল একটি সর্ব-জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক ধারণা। সর্ব-জাতীয়তাবাদীরা চায় সমস্ত জার্মানদের ঐক্যবদ্ধ করে এবং সম্ভব হলে জার্মান ভাষী সমস্ত মানুষকে নিয়ে একটি একক জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে, যার নাম হবে গ্রবডয়েচল্যান্ড।
উনিশ শতকে জার্মান একীকরণের সময় সর্বজার্মানবাদ মতবাদ জার্মানির রাজনীতিতে অনেক প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলো, যখন জার্মান সাম্রাজ্য অস্ট্রিয়াকে ছাড়াই ১৮৭১ সালে নিজেকে জাতি-রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলো।[১] এই প্রভাব বিংশ শতাব্দীর প্রথম অর্ধাংশে অস্ট্রিয়-হাঙ্গেরীয় সাম্রাজ্যে এবং জার্মান সাম্রাজ্যেও ছিলো। উনিশ শতকের শেষ দিকে সর্ব-জার্মান লীগ প্রতিষ্ঠার সময় থেকে উক্ত মতবাদের দার্শনিকগণ ইথনোসেন্ট্রিজম ও বর্ণবাদী আদর্শ গ্রহণ করে, যা ১৯৩৮ সাল থেকে অস্ট্রিয়ান বংশোদ্ভুত এডলফ হিটলারের নাৎসী জার্মানির প্রবর্তিত হাইম ইন্স রেইখ পররাষ্ট্রনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। পৃথিবীকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেওয়ার পেছনে অন্যতম প্রভাবক ছিলো এই নীতি।[২][৩][৪][৫] দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ ফলাফলের প্রেক্ষিতে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে পশ্চিম ও পূর্ব জার্মানিতে সর্বজার্মানবাদ একটি নিষিদ্ধ মতবাদ হিসেবে পরিগণিত হতে থাকে। বর্তমান সময়ে উক্ত মতবাদ জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার কিছু জাতীয়তাবাদী দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
ইংরেজি Pan শব্দটি গ্রীক শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ, "সকল, প্রত্যেক, সম্পূর্ণ, ব্যাপক"। আর জার্মান বা German শব্দটি এই প্রেক্ষাপটে ল্যাটিন ভাষার শব্দ "Germani" থেকে এসেছে। শব্দটি জুলিয়াস সিজার কর্তৃক ব্যবহৃত হত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় গল দেশে বসবাসকারী উপজাতি বা একক জাতি বুঝাতে। মধ্যযুগের শেষ দিকে শব্দটি এই অর্থ হারাতে শুরু করে এবং নতুন অর্থে জার্মান ভাষী (পাশাপাশি 'Almain' এবং 'Teuton') ব্যক্তিদের বুঝাতে ব্যবহৃত হয়, যাদের অধিকাংশের মাতৃভাষা ছিল আধুনিক জার্মান ভাষার পৈতৃক উপভাষা। ইংরেজিতে "Pan-German" শব্দটি সর্ব প্রথম ১৮৯২ সালে প্রত্যায়িত হয়। জার্মান ভাষায় এর সমার্থক শব্দ হলো "Alldeutsche Bewegung", যা গ্রীক ও ল্যাটিনের পরিবর্তে জার্মান ভাষার শব্দমূলীয় অনুবাদ।[৬]
সর্বজার্মানবাদ মতবাদের উদ্ভব শুরু হয় নেপোলিয়ানের যুদ্ধের সময় সৃষ্ট রোমান্টিক জাতীয়তাবাদের জন্মের সঙ্গে, যার প্রথম যুগের প্রবক্তা ছিলেন ফ্রিড্রিশ লুডউইগ জন এবং আর্নেস্ট মরিজ আর্নড। জার্মানরা, অধিকাংশ অঞ্চলে সংস্কারের সময় শিথিল এবং বিচ্ছিন্ন ছিলো, যখন মহান রোমান সাম্রাজ্য তিরিশ বছর ধরে চলা বিভিন্ন যুদ্ধের ফলে জোড়াতালি দেওয়া যুক্ত রাষ্ট্রে বিভক্ত হয়ে যাচ্ছিলো।
গ্রুস্ডয়েশ্ল্যান্ড বা বৃহত্তর জার্মানির সমর্থকেরা ইউরোপের সমস্ত জার্মান-ভাষী জনগনকে অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্যের অস্ট্রিয়ান জার্মানদের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানায়। সর্বজার্মানবাদ ১৮৪৮ সালের বিপ্লবীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পরে, বিশেষ করে রিচার্ড ওয়েনার এবং গ্রিমের ভ্রাতাদের মধ্যে। [৪] ফ্রেডরিখ লিস্ট ও পল এন্থন লেগার্ডির মত লেখকগণ মধ্য ও পূর্ব ইউরোপে জার্মান কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যুক্তি উপস্থাপন করেন, যেখানে কিছু জিছু এলাকায় অস্টিডলেং দের সাথে জার্মানদের অধিকার প্রায় নবম শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত হয়। সর্বজার্মানবাদ মতবাদকে ‘ড্র্যাং ন্যাচ অস্টেন’ বা ‘পূর্ব দিকের প্রতি লিপ্সা’ হিসেবে দেখা হয়, যেখানে জার্মানরা স্বাভাবিক ভাবেই পূর্ব দিকে নতুন বাসস্থান খুঁজতে ও সেখানকার সংখ্যালঘু জার্মানদের সাথে একত্রিত হতে আগ্রহী ছিল।
১৮৪১ সালে হফম্যান ভন ফলার্সলেবেন কর্তৃক লিখিত ডয়েশ্ল্যান্ডলিড (জার্মানির সঙ্গীত) এর প্রথম স্তবকে বলা হয় ডয়েশ্ল্যান্ড এর সীমা মিউজ থেকে মেমেল বা আডিজে থেকে বেল্ট পর্যন্ত, যেমন যুক্ত আছে পূর্ব প্রুশিয়া ও দক্ষিণ টিরোল।
১৮৪৮ সালের প্রথম সুয়েচওয়েগ যুদ্ধের অনুধ্যায়ী কার্ল মার্ক্স লক্ষ্য করেন যে ‘জার্মান ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ানরা, তাদের নিজেদের মধ্যে সন্ধি করার পরিবর্তে কলহ করে এমন একটি পথ তৈরী করছে,যেখানে উভয়েই ঐ রাস্তার পথিক হবে, যা তাদের পরস্পরকে বংশানুক্রমিক শত্রু ও দাসে পরিনত করবে।’[৭]
There is, in political geography, no Germany proper to speak of. There are Kingdoms and Grand Duchies, and Duchies and Principalities, inhabited by Germans, and each separately ruled by an independent sovereign with all the machinery of State. Yet there is a natural undercurrent tending to a national feeling and toward a union of the Germans into one great nation, ruled by one common head as a national unit.
১৮৬০ এর দশক থেকে অভিজাত জার্মান-ভাষীদের প্রভাবে প্রুশিয়া সাম্রাজ্য ও অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্য অনেক প্রভাবশালী হয়ে উঠতে থাকে। তারা উভয়েই তাদের প্রভাব ও রাজ্য সীমা বাড়ানোর দাবী করে। অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্যে অনেকটা রোমান সাম্রাজ্যের মত বহুজাতিক রাজ্য ছিলো। কিন্তু সেখানে জার্মান-ভাষী নাগরিকরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন না। এই সাম্রাজ্য পরবর্তীতে অস্ট্রো-হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যে পরিবর্তিত হয়। এর কারণ হলো সাম্রাজ্যের ভেতরে বিভিন্ন জাতীর মধ্যে জাতীয়তাবোধ প্রকট হয়ে উঠেছিলো, বিশেষ করে হাঙ্গেরিয়ানদের ভেতরে। প্রুশিয়ানদের নেতৃত্বে অটো ভন বিসমার্ক জাতীয়তাবাদের আদর্শকে ভিত্তি করে উত্তর জার্মানির ভূমিকে একত্রিত করতে চেয়েছিলেন। ১৮৬৬ সালের জার্মান যুদ্ধে ( এবং পরবর্তী সময়ে আরো কিছু ঘটনার কারণে) অটো ভন বিসমার্ক জার্মানি থেকে অস্ট্রিয়া ও অস্ট্রিয়ান জার্মানদের বের করে দিলে ১৮৭১ সালে জার্মানির একীকরন একটি প্রুশিয়ান প্রাভাবিত জার্মান সাম্রাজ্যে (দ্বিতীয় রিখ) রূপ লাভ করে। উইলহেম প্রথমকে জার্মান-ভাষী রাষ্ট্র সংঘের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর মাধ্যমে অসংখ্য অ-জার্মানদের অশ্রদ্ধা করা হয় যারা জার্মান শাসনের বাইরে এসে নিজস্ব জাতিগত অধিকারে বিশ্বাস করতো। প্রথম বিশেযুদ্ধের পর এডলফ হিটলারের উত্থানের সময় সর্বজার্মানবাদ মতবাদের দার্শনিকগণ নিজেদের মতবাদ বহুলাংশে পরিবর্তিত করে। তাদের প্রধান দাবি ছিলো ইউরোপের সমস্ত জার্মান-ভাষী নাগরিককে একটি একক জাতি রাষ্ট্রে সংঘবদ্ধ করা। তারা সেই রাষ্ট্রের নাম দিয়েছিলো গ্রবডয়েচল্যান্ড বা বৃহত্তর জার্মানি। অনেক সময় এরা জার্মান-ভাষী ও জার্মানির ভাষায় কথা বলে এমন নাগরিকদের সমার্থক মনে করতো, এর অন্তর্ভুক্ত ছিল স্ক্যান্ডিনেভিয়া ও পশ্চিম ইউরোপের সমুদ্রতটবর্তী দেশসমূহের ফিনিশীয় ও ডাচ ভাষী লোকজন।
যদিও বিসমার্ক ১৮৭১ সালে অস্ট্রিয়ানদের তার ক্লাইডুয়েচল্যান্ড থেকে রোধ করে রেখেছিলেন, অস্ট্রিয়ান জার্মানদের একীভূত করার ইচ্ছা অনেক জার্মান ও অস্ট্রিয়ানদের ছিল না, তাদের মধ্যে বিশেষ করে লিবারেল, সামাজিল গণতন্ত্রী ও ক্যাথলিক ( যারা দ্বিতীয় রিখের আমলে সংখ্যালঘু ছিলো)। জর্জ স্কোনারার (১৮৪২-১৯২১) এবং কার্ল হারম্যান ওলফ (১৮৬২-১৯৪১) অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরীতে সর্বজার্মানবাদ চেতনাকে গ্রন্থিবদ্ধ করেন। সেখানে রোম থেকে রোমান ক্যাথলিজম রদ করার বিষয়ও ছিলো। এই আন্দোলন (১৯০০ সালের পরে) ডাকা হয়েছিলো জার্মান-ভাষীদের লুথেরান ও পুরনো ক্যাথলিক চার্চের সাথে পরিচয় করানোর উদ্দেশ্যে। সর্বজার্মানবাদ মতবাদের আন্দোলন ১৮৯১ সালে এসে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করে, যখন লিপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রিখস্টাগ সদস্য অধিক জাতীয়তাবাদী আর্নেস্ট হাস সর্বজার্মানবাদ লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। রাজনীতি সচেতন সংগঠন হিসেবে এটি সাম্রাজ্যবাদ, এন্টি-সেমিটিজম ও অন্যান্য রাষ্ট্রে জার্মান-ভাষী সংখ্যালঘুদের সমর্থন করতো। উক্ত সংগঠনটি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে। দলটি জার্মান জাতীয়তাবাদ প্রচার করতো, বিশেষ করে সেই সমস্ত জার্মানদের মধ্যে যারা কিনা জার্মানির বাইরে বসবাস করে। হাসের লেখা তিন খন্ডের বই "Deutsche Politik" (১৯৫০ সাল) এ তিনি গোটা ইউরোপে জার্মান সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের দাবী করেন। মিউনিখের অধ্যাপক কার্ল হাউসোফার, ওয়াল্ড বান্স ও হান্স গ্রিম ( Volk ohne Raum উপন্যসের লেখক) একই ধরনের মতবাদ প্রচার করেছেন।
১৮৪৮/৪৯ সালের বিপ্লবের পর, যখন লিবারেল জাতীয়তাবাদী বিপ্লবীরা বৃহত্তর জার্মানি প্রতিষ্ঠার দাবি তুলে, তখন অস্ট্রিয়ানরা অস্ট্রো-প্রুশিয়ান যুদ্ধে পরাজিত হয় (১৮৬৬), ফলে অস্ট্রিয়া জার্মানি থেকে পৃথক হয়ে যায় এবং হাবসবার্গ রাজ্যে বিভিন্ন জাতিগত দ্বন্দ বৃদ্ধি পায়। অস্ট্রিয়ায় জার্মান জাতীয় আন্দোলন গজিয়ে উঠে।[৯] তৃণমূলীয় জার্মান জাতীয়তাবাদী ও এন্টি-সেমেটিক জর্জ ভন স্কোনারার এর নেতৃত্বে কিছু দল যেমন প্যান-জার্মান সোসাইটি দানিউব রাজ্যের সমস্ত জার্মানভাষী মানুষের সাথে জার্মান রাজত্বের সম্পর্ক স্থাপনের দাবী তুলে। তারা অস্ট্রিয়ান দেশপ্রেম বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। স্কোনারার ভলকিশ ও বর্ণবাদী জার্মান জাতীয়তাবাদ ছিল হিটলারের আদর্শ।[১০]
১৯৩৩ সালে অস্ট্রিয়ান নাৎসি বাহিনী এবং ন্যাশনাল লিবারেল গ্রেটার জার্মান পিপল পার্টি মিলে একটি শক্তি প্রয়োগ করার মত দল গঠন করে। তারা একত্রে অস্ট্রোফেসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ফলে অস্ট্রিয়ান জাতীয় পরিচয়ের সাথে একটি পার্থক্য তৈরী হয়ে যায় এবং এ অনুযায়ী বলা হয় যে অস্ট্রিয়ানরা “অধিক উত্তম জার্মান” ছিল। অস্ট্রিয়ায় জন্ম নেওয়া হিটলারের থার্ড রিখের সাথে “অস্ট্রিয়ার ভুক্তি” নীতি, যা ‘অস্ট্রিয়া হলো অধিক উত্তম জার্মান রাষ্ট্র’ নামে পরিচিত হয়, প্রশমনের জন্য কার্ট শাসনিগ একটি প্রশমন নীতি প্রণয়ন করেন। তিনি চেষ্টা করেন অস্ট্রিয়াকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে রাখতে। ১৯৩৮ সালে অস্ট্রিয়ার এংসলুজ এর সাথে অস্ট্রিয়ার জার্মান জাতীয়তাবাদীদের ঐতিহাসিক লক্ষ্য অর্জিত হয়।[১১] ১৯৪৫ সালের পরে, ফেডারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট ও অস্ট্রিয়ার ফ্রিডম পার্টিতে জার্মান ন্যাশনাল ক্যাম্প পর্যালোচিত হয়।[১২]
উত্তর জার্মানভাষী স্ক্যান্ডিনেভিয়ানদের প্যান-জার্মান রাষ্ট্রে যুক্ত করার ধারনাকে অনেক সময় সর্বজার্মানবাদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, যা প্যান-জার্মান রাষ্ট্র চিন্তার মূলধারার পাশাপাশি চলতে থাকে। জ্যাকব গ্রিম মাঞ্চের এন্টি-ড্যানিশ সর্বজার্মানবাদ গ্রহণ করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের ফলে সর্বজার্মানবাদ মতবাদের সমাপ্তি ডেকে আনে, যেমনটা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ সর্ব-দাসত্ব মতবাদ ধংসে নেতৃত্ব দিয়েছিলো। জার্মানির অংশ নিজেই বিধ্বস্ত হয়েছিল, দেশ বিভক্ত হয়ে পড়েছিলো, প্রথমত সোভিয়েত, ফরাসি, আমেরিকান এবং ব্রিটিশ অঞ্চল এবং তারপর পশ্চিম জার্মানি ও পূর্ব জার্মানিতে। এই দুর্ভোগ লাভ করার জন্য জার্মানিকে অনেক ভুক্তভোগী হতে হয়েছে, এমনকি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আঞ্চলিক ক্ষতির তুলনায় এটি ছিল বৃহত্তর। পূর্ব জার্মানির বিশাল অংশ সরাসরি সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পোল্যান্ড এর সাথে সংযুক্ত হয়ে যায়। জার্মানদের পরাজয়ের মাপকাঠি ছিল অভূতপূর্ব। সর্বজার্মানবাদ ক্রমশ নিষিদ্ধ হতে থাকে, কারণ এই মতবাদটি নাৎসি পার্টির মাধ্যমে "অভিজাত জাতী" ও "নর্ডিজম" এর বর্ণবাদের সাথে জড়িয়ে যায়। ১৯৯০ সালে পুরানো বিতর্ক পুনর্জাগরিত করে জার্মানিকে পুনরেকত্রীকরণ করা হয়।[১৪][তথ্যসূত্র প্রয়োজন]