সের্গেই আইজেনস্টাইন | |
---|---|
Сергей Михайлович Эйзенштейн | |
জন্ম | সের্গেই মিখাইলোভিচ আইজেনস্টাইন ২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৮ |
মৃত্যু | ২৩ জুলাই ১৯৪৮ | (বয়স ৫০)
কর্মজীবন | ১৯২৩-১৯৪৬ |
দাম্পত্য সঙ্গী | পেরা আতাসেভা (১৯৩৪–১৯৪৮; তার মৃত্যু) |
পুরস্কার | স্তালিন পুরস্কার (১৯৪১, ১৯৪৬) |
সের্গেই আইজেনস্টাইন (রুশ: Сергей Михайлович Эйзенштейн; ২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৮ - ১১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৮) সোভিয়েত চলচ্চিত্র পরিচালক এবং চলচ্চিত্র তাত্ত্বিক। তার বিখ্যাত চলচ্চিত্র হচ্ছে ব্রনিয়েনোসেৎস পটিয়োমকিন, অক্টোবর: দিসিত দিনি কাতরয় পুত্রিস্লি মির, আলেক্সান্দ্র নেভ্স্কি এবং ইভান গ্রোজ্নি। তার চলচ্চিত্রে মন্তাজের অসাধারণ ব্যবহার দেখা যায়। মাত্র আটটি ছবি করে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ 'চিত্র পরিচালক আখ্যায়িত হন তিনি। যদিও তিনি চিত্রনাট্য ও প্রকল্প রচনা করেছেন প্রায় পঞ্চাশের ওপর যেগুলোর একটিও বাস্তবের মাটিতে পা রাখেনি।
আইজেনস্টাইন ১৮৯৮ সালের ২৩ জানুয়ারি লাটভিয়ার রিগায় (তৎকালীন রুশ সাম্রাজ্যের অন্তর্গত লিভোনিয়া গভর্নরেট) এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু তার পরিবার তার শৈশবে বেশ ক'বার বসতি পরিবর্তন করেন, আইজেনস্টাইন নিজেও পরবর্তীতে এই ধারা বজায় রাখেন। তার পিতা মিখাইল ওসিপোভিচ আইজেনস্টাইন জার্মান ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ওসিপোভিচের পিতা ওসিপ আইজেনস্টাইন পরে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেন এবং তার মাতা ছিলেন সুইডিশ বংশোদ্ভূত।[১][২] সের্গেইয়ের মাতা জুলিয়া ইভানোভ্না কনেৎস্কায়া রুশ গোঁড়া পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৩][৪] অন্য একটি সূত্র মতে তার দাদা-দাদী দুজনেই বাল্টিক জার্মান বংশোদ্ভূত ছিলেন।[৫] আইজেনস্টাইনের পিতা ছিলেন একজন স্থাপত্যশিল্পী এবং মাতা ছিলেন একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর কন্যা।[৬] জুলিয়া ১৯০৫ সালে রুশ বিপ্লবের সময় সের্গেইকে নিয়ে রিগা ছেড়ে সেন্ট পিটার্সবার্গে চলে যান।[৭] আইজেনস্টাইন মাঝে মাঝে তার পিতার সাথে দেখা করতে আসত। তার পিতা ১৯১০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গে যান।[৮] তার পিতা মাতার বিচ্ছেদের পর তার মাতা জুলিয়া ফ্রান্সে চলে যান।[৯] আইজেনস্টাইন গোঁড়া খ্রিস্টান হিসেবে বেড়ে ওঠেন, কিন্ত পরে তিনি নিজেকে নাস্তিক দাবী করেন।[১০][১১]
আইজেনস্টাইন পেত্রোগ্রাদ ইনস্টিটিউট অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্থাপত্য ও প্রকৌশল বিষয়ে অধ্যয়ন করেন।[১২] ১৯১৮ সালে তিনি স্কুল ত্যাগ করে বলশেভিক বিপ্লবে যোগ দিতে রেড আর্মিতে যোগ দেন, যদিও তার পিতা মিখাইল বিরোধী দলকে সমর্থন করতেন।[১৩] এই বিপ্লবে জারতন্ত্রের পতন হলে তার পিতা জার্মানিতে চলে যান এবং সের্গেই পেত্রোগ্রাদ থেকে ভলগ্দা ও দিভিনস্কে যান।[১৪] ১৯২০ সালে অক্টোবর বিপ্লবের প্রচারণামূলক সাফল্যের পর সের্গেইকে মিন্স্কে কমান্ড পজিশনে স্থানান্তরিত করা হয়। এই সময়ে তিনি কাবুকি থিয়েটারে যোগ দেন এবং জাপানি ভাষা শিখেন। সেখানে তিনি ৩০০ কাঞ্জি বর্ণ শিখেন, যা তাকে তার চিত্র উন্নয়নের কাজে অনুপ্রেরণা জোগিয়েছে বলে উল্লেখ করেন।[৩][১৫][১৬] এই শিক্ষার ফলে তিনি জাপানেও ভ্রমণ করেন।
As a committed Marxist, Eisenstein outwardly turned his back on his Orthodox upbringing, and took pains in his memoirs to stress his atheism.
My atheism is like that of Anatole France -- inseparable from adoration of the visible forms of a cult.