হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমাবর্ষণ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ | |||||||
পারমাণবিক বোমাবর্ষনের ধোঁয়া হিরোশিমা (বামে) এবং নাগাসাকি (ডানে) | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুক্তরাজ্য | জাপান | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
উইলিয়াম স্টার্লিং পার্সনস Paul W. Tibbets, Jr. | Shunroku Hata | ||||||
জড়িত ইউনিট | |||||||
Manhattan District: 50 U.S., 2 British 509th Composite Group: 1,770 U.S. |
Second General Army: Hiroshima: 40,000 Nagasaki: 9,000 | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
২০ মার্কিন, ডাচ, ব্রিটিশ যুদ্ধবন্ধি মৃত |
৯০,০০০–১৬৬,০০০ হিরোশিমায় মৃত ৩৯,০০০–৮০,০০০ নাগাসাকিতে মৃত মোট: ১২৯,০০০–২৪৬,০০০+ মৃত |
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট সকালে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী জাপানের হিরোশিমা শহরের ওপর লিটল বয় নামের নিউক্লীয় বোমা ফেলে এবং এর তিন দিন পর নাগাসাকি শহরের ওপর ফ্যাট ম্যান নামের আরেকটি নিউক্লীয় বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
অনুমান করা হয় যে ১৯৪৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণের ফলে হিরোশিমাতে প্রায় ১৪০,০০০ লোক মারা যান।[১][২] নাগাসাকিতে প্রায় ৭৪,০০০ লোক মারা যান এবং পরবর্তীতে এই দুই শহরে বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরও ২১৪,০০০ জন।[৩][৪] জাপানের আসাহি শিমবুন-এর করা হিসাব অনুযায়ী বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগসমূহের ওপর হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য গণনায় ধরে হিরোশিমায় ২৩৭,০০০ এবং নাগাসাকিতে ১৩৫,০০০ লোকের মৃত্যু ঘটে। দুই শহরেই মৃত্যুবরণকারীদের অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ।
জাপান আত্মসমর্পণের পেছনে এই বোমাবর্ষণের ভূমিকা এবং এর প্রতিক্রিয়া ও যৌক্তিকতা নিয়ে প্রচুর বিতর্ক হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে অধিকাংশের ধারণা এই বোমাবর্ষণের ফলে যুদ্ধ অনেক মাস আগেই সমাপ্ত হয়, যার ফলে পূর্ব-পরিকল্পিত জাপান আক্রমণ (invasion) সংঘটিত হলে উভয় পক্ষের যে বিপুল প্রাণহানি হত, তা আর বাস্তবে ঘটেনি।[৫] অন্যদিকে জাপানের সাধারণ জনগণ মনে করে এই বোমাবর্ষণ অপ্রয়োজনীয় ছিল, কেননা জাপানের বেসামরিক নেতৃত্ব যুদ্ধ থামানোর জন্য গোপনে কাজ করে যাচ্ছিল। [৬]