বিবরণ | |
---|---|
স্বাগতিক দেশ | রাশিয়া |
তারিখ | ১২ মার্চ ২০১৫ – ১৪ নভেম্বর ২০১৭ |
দল | ২১০ (৬টি কনফেডারেশন থেকে) |
পরিসংখ্যান | |
ম্যাচ | ৮৭২ |
গোল সংখ্যা | ২৪৫৪ (ম্যাচ প্রতি ২.৮১টি) |
দর্শক সংখ্যা | ১,৮৭,২০,৬৯১ (ম্যাচ প্রতি ২১,৪৬৯ জন) |
শীর্ষ গোলদাতা | রবের্ত লেওয়ানদস্কি মোহাম্মদ আল-সাহলাউই আহমেদ খলিল (প্রত্যেকে ১৬ গোল করে) |
২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ছিল রাশিয়ায় আয়োজিত ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য যোগ্য দল নির্ধারণী বাছাইপর্ব। এই বাছাইপর্বে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের ৩২টি দলের মধ্যে ৩১টি দল খেলার জন্য উত্তীর্ণ হয়েছে। বাকি ১টি দল ছিল রাশিয়া, যারা স্বাগতিক হিসেবে পূর্বেই ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বাকি ২১০টি ফিফার অন্তর্ভুক্ত দল বাছাইপর্বের এই প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে, এবং ফিফার ইতিহাসে এইবারই প্রথমবারের মতো ফিফার সকল দল বাছাইপর্বের প্রাথমিক পর্যায়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল,[১] কিন্তু জিম্বাবুয়ে এবং ইন্দোনেশিয়া তাদের প্রথম খেলার পূর্বেই বাতিল হয়ে গিয়েছিল।[২][৩] ভুটান, দক্ষিণ সুদান, জিব্রাল্টার এবং কসোভো এই বারের বাছাইপর্বে তাদের অভিষেক করেছিল।[৪][৫][৬][৭][৮] ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ওমানের বিরুদ্ধে এক হোম ম্যাচে দর্শকদের দ্বারা সৃষ্ট সমস্যার জন্য মায়ানমারের সকল খেলার নিষিদ্ধ করা হয়। অতঃপর মায়ানমার এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আপিল করে, যার ফলে তারা তাদের সকল হোম ম্যাচ দেশের বাইরে খেলার অনুমতি পায়।[৯]
যদিও ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই সেন্ট পিটার্সবার্গের স্ট্রেলনাতে মূল বাছাইপর্বের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল,[১০][১১] তার পূর্বেই বাছাইপর্বের বেশ কয়েকটি খেলা সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল।[১২] ২০১৫ সালের ১২ মার্চ এএফসির বাছাইপর্বের খেলার মাধ্যমে এই আসরের বাছাইপর্বের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছিল,[১৩] উক্ত খেলায় পূর্ব তিমুর খেলোয়াড় চিকুইটো দো কারমো বাছাইপর্বের প্রথম গোল করেন। মূল ড্রয়ের পূর্বে কনকাকাফের খেলা-ও অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দল | অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যম |
অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার তারিখ |
চূড়ান্ত পর্বে উপস্থিতি |
সর্বশেষ উপস্থিতি |
ধারাবাহিক চূড়ান্ত পর্বে উপস্থিতি |
পূর্ববর্তী সেরা সাফল্য |
---|---|---|---|---|---|---|
রাশিয়া | স্বাগতিক | ২ ডিসেম্বর ২০১০ | ১১তম১ | ২০১৪ | ২ | ৪র্থ স্থান (১৯৬৬)২ |
ব্রাজিল | কনমেবল রাউন্ড রবিন বিজয়ী | ২৮ মার্চ ২০১৭ | ২১তম | ২০১৪ | ২১ | বিজয়ী (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪, ২০০২) |
ইরান | এএফসি তৃতীয় পর্ব গ্রুপ এ বিজয়ী | ১২ জুন ২০১৭ | ৫ম | ২০১৪ | ২ | গ্রুপ পর্ব (১৯৭৮, ১৯৯৮, ২০০৬, ২০১৪) |
জাপান | এএফসি তৃতীয় পর্ব গ্রুপ বি বিজয়ী | ৩১ আগস্ট ২০১৭ | ৬ষ্ঠ | ২০১৪ | ৬ | রাউন্ড অফ ১৬ (২০০২, ২০১০) |
মেক্সিকো | কনকাকাফ পঞ্চম পর্ব বিজয়ী | ১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১৬তম | ২০১৪ | ৭ | কোয়াটার-ফাইনাল (১৯৭০, ১৯৮৬) |
বেলজিয়াম | উয়েফা গ্রুপ এইচ বিজয়ী | ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১৩তম | ২০১৪ | ২ | ৪র্থ স্থান (১৯৮৬) |
দক্ষিণ কোরিয়া | এএফসি তৃতীয় পর্ব গ্রুপ এ রানার-আপ | ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১০ম | ২০১৪ | ৯ | ৪র্থ স্থান (২০০২) |
সৌদি আরব | এএফসি তৃতীয় পর্ব গ্রুপ বি রানার-আপ | ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ৫ম | ২০০৬ | ১ | রাউন্ড অফ ১৬ (১৯৯৪) |
জার্মানি | উয়েফা গ্রুপ সি বিজয়ী | ৫ অক্টোবর ২০১৭ | ১৯তম৩ | ২০১৪ | ১৭ | বিজয়ী (১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০, ২০১৪) |
ইংল্যান্ড | উয়েফা গ্রুপ এফ বিজয়ী | ৫ অক্টোবর ২০১৭ | ১৫তম | ২০১৪ | ৬ | বিজয়ী (১৯৬৬) |
স্পেন | উয়েফা গ্রুপ জি বিজয়ী | ৬ অক্টোবর ২০১৭ | ১৫তম | ২০১৪ | ১১ | বিজয়ী (২০১০) |
নাইজেরিয়া | ক্যাফ তৃতীয় পর্ব গ্রুপ বি বিজয়ী | ৭ অক্টোবর ২০১৭ | ৬ষ্ঠ | ২০১৪ | ৩ | রাউন্ড অফ ১৬ (১৯৯৪, ১৯৯৮, ২০১৪) |
কোস্টা রিকা | কনকাকাফ পঞ্চম পর্ব রানার-আপ | ৭ অক্টোবর ২০১৭ | ৫ম | ২০১৪ | ২ | কোয়াটার-ফাইনাল (২০১৪) |
পোল্যান্ড | উয়েফা গ্রুপ ই বিজয়ী | ৮ অক্টোবর ২০১৭ | ৮ম | ২০০৬ | ১ | ৩য় স্থান (১৯৭৪, ১৯৮২) |
মিশর | ক্যাফ তৃতীয় পর্ব গ্রুপ ই বিজয়ী | ৮ অক্টোবর ২০১৭ | ৩য় | ১৯৯০ | ১ | প্রথম পর্ব (১৯৩৪), গ্রুপ পর্ব (১৯৯০) |
আইসল্যান্ড | উয়েফা গ্রুপ ই বিজয়ী | ৯ অক্টোবর ২০১৭ | ১ম | — | ১ | — |
সার্বিয়া | উয়েফা গ্রুপ ডি বিজয়ী | ৯ অক্টোবর ২০১৭ | ১২তম৪ | ২০১০ | ১ | ৪র্থ স্থান (১৯৩০, ১৯৬২)৫ |
পর্তুগাল | উয়েফা গ্রুপ বি বিজয়ী | ১০ অক্টোবর ২০১৭ | ৭ম | ২০১৪ | ৫ | ৩য় স্থান (১৯৬৬) |
ফ্রান্স | উয়েফা গ্রুপ এ বিজয়ী | ১০ অক্টোবর ২০১৭ | ১৫তম | ২০১৪ | ৬ | বিজয়ী (১৯৯৮) |
উরুগুয়ে | কনমেবল রাউন্ড রবিন রানার-আপ | ১০ অক্টোবর ২০১৭ | ১৩তম | ২০১৪ | ৩ | বিজয়ী (১৯৩০, ১৯৫০) |
আর্জেন্টিনা | কনমেবল রাউন্ড রবিন ৩য় স্থান | ১০ অক্টোবর ২০১৭ | ১৭তম | ২০১৪ | ১২ | বিজয়ী (১৯৭৮, ১৯৮৬) |
কলম্বিয়া | কনমেবল রাউন্ড রবিন ৪র্থ স্থান | ১০ অক্টোবর ২০১৭ | ৬ষ্ঠ | ২০১৪ | ২ | কোয়াটার-ফাইনাল (২০১৪) |
পানামা | কনকাকাফ পঞ্চম পর্ব ৩য় স্থান | ১০ অক্টোবর ২০১৭ | ১ম | — | ১ | — |
সেনেগাল | ক্যাফ তৃতীয় পর্ব গ্রুপ ডি বিজয়ী | ১০ নভেম্বর ২০১৭ | ২য় | ২০০২ | ১ | কোয়াটার-ফাইনাল (২০০২) |
মরক্কো | ক্যাফ তৃতীয় পর্ব গ্রুপ সি বিজয়ী | ১১ নভেম্বর ২০১৭ | ৫ম | ১৯৯৮ | ১ | রাউন্ড অফ ১৬ (১৯৮৬) |
তিউনিসিয়া | ক্যাফ তৃতীয় পর্ব গ্রুপ এ বিজয়ী | ১১ নভেম্বর ২০১৭ | ৫ম | ২০০৬ | ১ | গ্রুপ পর্ব (১৯৭৮, ১৯৯৮, ২০০২, ২০০৬) |
সুইজারল্যান্ড | উয়েফা দ্বিতীয় পর্ব বিজয়ী | ১২ নভেম্বর ২০১৭ | ১১তম | ২০১৪ | ৪ | কোয়াটার-ফাইনাল (১৯৩৪, ১৯৩৮, ১৯৫৪) |
ক্রোয়েশিয়া | উয়েফা দ্বিতীয় পর্ব বিজয়ী | ১২ নভেম্বর ২০১৭ | ৫ম | ২০১৪ | ২ | ৩য় স্থান (১৯৯৮) |
সুইডেন | উয়েফা দ্বিতীয় পর্ব বিজয়ী | ১৩ নভেম্বর ২০১৭ | ১২তম | ২০০৬ | ১ | রানার-আপ (১৯৫৮) |
ডেনমার্ক | উয়েফা দ্বিতীয় পর্ব বিজয়ী | ১৪ নভেম্বর ২০১৭ | ৫ম | ২০১০ | ১ | কোয়াটার-ফাইনাল (১৯৯৮) |
অস্ট্রেলিয়া | কনকাকাফ বনাম এএফসি প্লে-অফ বিজয়ী | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ | ৫ম | ২০১৪ | ৪ | রাউন্ড অফ ১৬ (২০০৬) |
পেরু | ওএফসি বনাম কনমেবল প্লে-অফ বিজয়ী | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ | ৫ম | ১৯৮২ | ১ | কোয়াটার-ফাইনাল (১৯৭০), দ্বিতীয় পর্ব (১৯৭৮)৬ |
এই বাছাইপর্বের শেষে চূড়ান্ত পর্বে সর্বমোট ৩২টি অংশগ্রহণ করেছে। ২০১৫ সালের ৩০ শে জুন তারিখে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে প্রতিটি কনফেডারেশনের জন্য ফিফা্র এক নির্বাহী কমিটির দ্বারা অনুষ্ঠিত ফিফা কংগ্রেসের পর আলোচনার আয়োজন করা হয়েছিল, কিন্তু এর পূর্বে ২০১৫ সালের মার্চ মাসেই বাছাইপর্বের খেলা শুরু হয়েছিল।[১৪] ২০১৪ সালের মতো একইভাবে বরাদ্দের মাধ্যমে ২০১৮ এবং ২০২২ সালের টুর্নামেন্টের জন্য আয়োজন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল।[১৫]
২০১৩ সালের অক্টোবরে উয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাতিনি প্রস্তাব করেন যে, ২০১৮ সালে থেকে ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলা দলের সংখ্যা ৩২ থেকে ৪০-এ উন্নীত করা উচিত। তিনি আর বলেন যে, খেলার বিন্যাস একই থাকে, কিন্তু প্রতি গ্রুপে ৪ দলের পরিবর্তে ৫ দল থাকবে।[১৬] অতঃপর ফিফার প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটারের এক সাক্ষাৎকারে বলেন যে, ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলো বেশি স্থান অধিকারী, পক্ষান্তরে আফ্রিকা এবং এশিয়ার দলগুলো বেশ কম স্থান পেয়ে থাকে। তাই আফ্রিকা এবং এশিয়ার দলগুলোও বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে অধিক স্থান লাভ করার যোগ্যতা রাখে।[১৭] তবে ফিফার সাধারণ সম্পাদক জেরোম ভ্যালকি বলেন যে, ২০১৮ সালে এই সম্প্রসারণের কোন সম্ভাবনা নেই, অন্যদিকে রাশিয়ার ক্রীড়া মন্ত্রী ভিটালি মুটকো বলেন যে, "আমাদের দেশে ৩২টি দলের অংশগ্রহণের ওপর ভিত্তি করে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে"।[১৮][১৯] অতঃপর শেষ পর্যন্ত ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারীতে আয়োজিত এক ফিফা কাউন্সিলে সকলের সম্মতিতে ভোটের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় যে, ২০২৬ সাল হতে ফিফা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে ৪৮টি দল অংশগ্রহণ করবে।[২০]
এই বাছাইপর্বে ফিফার সকল সদস্য প্রবেশ করলেও সকলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। ২০১৫ সালে ১২ মার্চে, জিম্বাবুয়ে জাতীয় ফুটবল দলকে এই প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কার করা হয়, কারণ তাদের প্রাক্তন কোচ হোসে ক্লাউডিনেই একটি বিভক্তি ফি পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছিল এবং ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ তারিখে ফিফা কর্তৃক তাদের ফুটবল সংস্থাকে স্থগিত করায় ইন্দোনেশিয়া জাতীয় ফুটবল দলকেও এই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হয়।[৩] কুয়েত জাতীয় ফুটবল দলও তাদের একাধিক খেলা থেকে একই রকমভাবে স্থগিতাদেশ প্রাপ্ত হয়েছিল যখন বাছাইপর্বে তাদের খেলা চলমান অবস্থায় ছিল,[২১] যার ফলে তারা এই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ে যায়। ২০১৭ সালের ৩ মার্চ তারিখে ব্রাজিল প্যারাগুয়েকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জনকারী প্রথম দলে পরিণত হয়।[২২] প্রথম দল হিসেবে ব্রাজিল উত্তীর্ণ হওয়ার ২৩৩ দিন পর ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর তারিখে পেরু ৩২তম এবং চূড়ান্ত দল বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার জন্য যোগ্যতা অর্জন করে, তারা ওএফসি–কনমেবল প্লে-অফে নিউজিল্যান্ডকে ২–০ গোলে পরাজিত করে এই যোগ্যতা অর্জন করে।[২৩]
কনফেডারেশন | চূড়ান্ত পর্বে প্রাপ্য স্থান | শুরুতে দল | বাদ পরা দল | উত্তীর্ণ দল | বাছাইপর্ব শুরুর তারিখ | বাছাইপর্ব শেষের তারিখ | |||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
এএফসি | ৪.৫ | ৪৬ | ৪১ | ৫ | ১২ মার্চ ২০১৫ | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ | |||
ক্যাফ | ৫ | ৫৪ | ৪৯ | ৫ | ৭ অক্টোবর ২০১৫ | ১৪ নভেম্বর ২০১৭ | |||
কনকাকাফ | ৩.৫ | ৩৫ | ৩২ | ৩ | ২২ মার্চ ২০১৫ | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ | |||
কনমেবল | ৪.৫ | ১০ | ৫ | ৫ | ৮ অক্টোবর ২০১৫ | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ | |||
ওএফসি | ০.৫ | ১১ | ১১ | ০ | ৩১ আগস্ট ২০১৫ | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ | |||
উয়েফা | ১৩+১ | ৫৪+১ | ৪১ | ১৩+১ | ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ | |||
সর্বমোট | ৩১+১ | ২১০+১ | ১৭৯ | ৩১+১ | ১২ মার্চ ২০১৫ | ১৫ নভেম্বর ২০১৭ |
নোট ১: এএফসি, কনকাকাফ, কনমেবল এবং ওএফসি থেকে একটি দল করে ২০১৭ সালের ১০–১৫ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত আন্ত-কনফেডারেশন প্লে-অফে খেলেছে। একটি খেলা কনকাকাফ বনাম এএফসি এবং অন্যটি ওএফসি বনাম কনমেবল-এর দলের মধ্যে সংগঠিত হয়েছে।
নোট ২: উয়েফার সর্বমোট দলের সাথে "+১" হয়েছে; কারণ রাশিয়া এই আসরের স্বাগতিক দল।
এই বাছাইপর্বের প্রতিযোগিতার পদ্ধতি প্রতিটি কনফেডারেশনের উপর নির্ভর করে (নিচে দেখুন)। প্রতিটি পর্বের খেলা নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসারে হতে হবে:[২৪]
লীগ পদ্ধতিতে, প্রত্যেক গ্রুপে প্রতি দলের র্যাঙ্কিং অথবা অবস্থান নিম্নে বর্ণিত নিয়ম অনুসারে হয়ে থাকে (ধারা ২০.৬ এবং ২০.৭):[২৪]
যেসব ক্ষেত্রে বিভিন্ন দলের মধ্যে একই পয়েন্টে থাকা দলগুলোর মধ্যে পরবর্তী পর্বে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দল নির্ধারণ করা হয়, সেসকল ক্ষেত্রে কনফেডারেশন কর্তৃক নির্ধারিত মানদণ্ড প্রয়োগ করা হয় এবং একই সাথে সেখানে ফিফার অনুমোদন প্রয়োজন হয় (ধারা ২০.৮)।[২৪]
নকআউট পদ্ধতিতে, দুই লেগে যে দল সামগ্রিক স্কোরে সর্বাধিক গোল করে সেই দলটি পরবর্তী পর্বে অগ্রসর হয়ে থাকে। যদি খেলার শেষ পর্যায়ে সামগ্রিক স্কোর সমান থাকে তখন অ্যাওয়ে গোল নিয়ম প্রয়োগ করা হয়, যেমন জেই দল দুই লেগের খেলায় সর্বাধিক অ্যাওয়ে গোল করে সেই দল পরবর্তী পর্বে অগ্রসর হয়। যদি দুই দলের অ্যাওয়ে গোল সমান থাকে তখন ৩০ মিনিটের অতিরিক্ত সময় খেলা হয়ে থাকে, যেখানে উভয় অর্ধে ১৫ মিনিট করে খেলা হয়। অতিরিক্ত সময়ের পর পুনরায় অ্যাওয়ে গোল নিয়ম প্রয়োগ করা হয়, যেমন, যদি অতিরিক্ত সময়ে উভয় দল গোল করে এবং পরিশেষে উভয় দলের সামগ্রিক স্কোর একই থাকে, তখন সফরকারী দল অধিক অ্যাওয়ে গোল থাকায় পরবর্তী পর্যায়ে খেলার জন্য উন্নীত হয়। যদি অতিরিক্ত সময়ে কোন দলই গোল করতে না পারে তবে পেনাল্টি শুট-আউটের মাধ্যমে উক্ত সমতার নির্ধারণ হয়ে থাকে (ধারা ২০.৯)।[২৪]
২০১৪ সালে ১৬ এপ্রিলে এএফসি নির্বাহী কমিটির বৈঠকটি ফিফা বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের প্রারম্ভিক অবস্থা এবং এএফসি এশিয়ান কাপের প্রাথমিক অবস্থানের প্রস্তাব অনুমোদন করে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে ২০১৯ এএফসি এশিয়ান কাপ হতে ২৪টি দল অংশগ্রহণ করা শুরু করবে:[২৫]
সর্বমোট ২৪টি দল এই বারের দ্বিতীয় পর্বের খেলা হতে বাদ পড়েছে, যারা ২০১৯ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের তৃতীয় পর্বে (যা এই আসরের বাছাইপর্বের তৃতীয় পর্ব থেকে সম্পূর্ণ আলাদা) অংশগ্রহণ করবে। সেখানে তারা ৪টি দল করে ৬টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করবে। উক্ত প্রতিযোগিতার তৃতীয় পর্বে অংশগ্রহণকারী ২৪টি দলের মধ্য হতে ১টি দল বাদ পড়বে, এবং শীর্ষ ৮টি দল ২০১৯ এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করবে যেখানে বাদ পড়া ১২টি দল দ্বিতীয় পর্বে প্রতিযোগিতা করবে।[২৬]
২০১৩ সালের ১২ এপ্রিলে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল হোটেলে তৃতীয় পর্বের জন্য ড্র অনুষ্ঠিত হয়।[২৭]
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ইরান | ১০ | ৬ | ৪ | ০ | ১০ | ২ | +৮ | ২২ | ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য উত্তীর্ণ | — | ১–০ | ২–২ | ২–০ | ১–০ | ২–০ | |
২ | দক্ষিণ কোরিয়া | ১০ | ৪ | ৩ | ৩ | ১১ | ১০ | +১ | ১৫ | ০–০ | — | ১–০ | ২–১ | ৩–২ | ৩–২ | ||
৩ | সিরিয়া | ১০ | ৩ | ৪ | ৩ | ৯ | ৮ | +১ | ১৩ | চতুর্থ পর্বের জন্য অগ্রসর | ০–০ | ০–০ | — | ১–০ | ২–২ | ৩–১ | |
৪ | উজবেকিস্তান | ১০ | ৪ | ১ | ৫ | ৬ | ৭ | −১ | ১৩ | ০–১ | ০–০ | ১–০ | — | ২–০ | ১–০ | ||
৫ | চীন | ১০ | ৩ | ৩ | ৪ | ৮ | ১০ | −২ | ১২ | ০–০ | ১–০ | ০–১ | ১–০ | — | ০–০ | ||
৬ | কাতার | ১০ | ২ | ১ | ৭ | ৮ | ১৫ | −৭ | ৭ | ০–১ | ৩–২ | ১–০ | ০–১ | ১–২ | — |
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | জাপান | ১০ | ৬ | ২ | ২ | ১৭ | ৭ | +১০ | ২০ | ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য উত্তীর্ণ | — | ২–১ | ২–০ | ১–২ | ২–১ | ৪–০ | |
২ | সৌদি আরব | ১০ | ৬ | ১ | ৩ | ১৭ | ১০ | +৭ | ১৯ | ১–০ | — | ২–২ | ৩–০ | ১–০ | ১–০ | ||
৩ | অস্ট্রেলিয়া | ১০ | ৫ | ৪ | ১ | ১৬ | ১১ | +৫ | ১৯ | চতুর্থ পর্বের জন্য অগ্রসর | ১–১ | ৩–২ | — | ২–০ | ২–০ | ২–১ | |
৪ | সংযুক্ত আরব আমিরাত | ১০ | ৪ | ১ | ৫ | ১০ | ১৩ | −৩ | ১৩ | ০–২ | ২–১ | ০–১ | — | ২–০ | ৩–১ | ||
৫ | ইরাক | ১০ | ৩ | ২ | ৫ | ১১ | ১২ | −১ | ১১ | ১–১ | ১–২ | ১–১ | ১–০ | — | ৪–০ | ||
৬ | থাইল্যান্ড | ১০ | ০ | ২ | ৮ | ৬ | ২৪ | −১৮ | ২ | ০–২ | ০–৩ | ২–২ | ১–১ | ১–২ | — |
তৃতীয় পর্বের প্রতিটি গ্রুপ থেকে ৩য় স্থান অধিকারী দলগুলো একে অপরের বিপক্ষে দুই লেগের হোম-এন্ড-অ্যাওয়ে খেলায় বিজয়ী দল আন্তঃ-কনফেডারেশন প্লে-অফে অংশগ্রহণ করেছে।
দল ১ | সমষ্টি | দল ২ | ১ম লেগ | ২য় লেগ |
---|---|---|---|---|
সিরিয়া | ২–৩ | অস্ট্রেলিয়া | ১–১ | ১–২ (অ.স.প.) |
The CAF Executive Committee approved the format for the qualifiers of the 2018 FIFA World Cup on 14 January 2015.[২৮] However, on 9 July 2015 FIFA officially announced that only three rounds would be played instead of four.[২৯]
Zimbabwe, even though they entered the competition, were expelled on 12 March 2015 for their failure to pay former coach José Claudinei a severance fee.[২] Therefore, only 53 African teams were involved in the draw.
The draw for the third round was held on 24 June 2016 at the CAF headquarters in Cairo, Egypt.[৩০]
Group A টেমপ্লেট:2018 FIFA World Cup qualification – CAF Third Round Group A table
Group B টেমপ্লেট:2018 FIFA World Cup qualification – CAF Third Round Group B table
Group C টেমপ্লেট:2018 FIFA World Cup qualification – CAF Third Round Group C table
Group D টেমপ্লেট:2018 FIFA World Cup qualification – CAF Third Round Group D table
Group E টেমপ্লেট:2018 FIFA World Cup qualification – CAF Third Round Group E table
An amendment to the qualification process for this tournament had been suggested,[৩১] which would see the first three rounds played as knockout rounds, with both the fourth round and the final round (referred to as 'The Hex') played as group stages. The first round would be played during the FIFA international dates of 23–31 March 2015.[৩২] CONCACAF announced the full details on 12 January 2015:[৩৩][৩৪]
The draw for the fifth round (to decide the fixtures) was held on 8 July 2016 at the CONCACAF headquarters in Miami Beach, United States.[৩৫] টেমপ্লেট:2018 FIFA World Cup qualification – CONCACAF Fifth Round table
The qualification structure was the same as the previous five editions. The ten teams played in a league of home-and-away round-robin matches. The top four teams qualified for the 2018 FIFA World Cup, and the fifth-placed team advanced to the inter-confederation play-offs, playing the winners of the Oceania Football Confederation qualifying competition.
Unlike previous qualifying tournaments where the fixtures were pre-determined, the fixtures were decided by a draw held on 25 July 2015, at the Konstantinovsky Palace in Strelna, Saint Petersburg, Russia.[৩৬]
অব | দল | ম্যাচ | জয় | ড্র | হার | স্বগো | বিগো | গোপা | পয়েন্ট | যোগ্যতা অর্জন | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ব্রাজিল | ১৮ | ১২ | ৫ | ১ | ৪১ | ১১ | +৩০ | ৪১ | ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য উত্তীর্ণ | — | ২–২ | ৩–০ | ২–১ | ৩–০ | ৩–০ | ৩–০ | ২–০ | ৫–০ | ৩–১ | |
২ | উরুগুয়ে | ১৮ | ৯ | ৪ | ৫ | ৩২ | ২০ | +১২ | ৩১ | ১–৪ | — | ০–০ | ৩–০ | ১–০ | ৩–০ | ৪–০ | ২–১ | ৪–২ | ৩–০ | ||
৩ | আর্জেন্টিনা | ১৮ | ৭ | ৭ | ৪ | ১৯ | ১৬ | +৩ | ২৮ | ১–১ | ১–০ | — | ৩–০ | ০–০ | ১–০ | ০–১ | ০–২ | ২–০ | ১–১ | ||
৪ | কলম্বিয়া | ১৮ | ৭ | ৬ | ৫ | ২১ | ১৯ | +২ | ২৭ | ১–১ | ২–২ | ০–১ | — | ২–০ | ০–০ | ১–২ | ৩–১ | ১–০ | ২–০ | ||
৫ | পেরু | ১৮ | ৭ | ৫ | ৬ | ২৭ | ২৬ | +১ | ২৬ | আন্ত-কনফেডারেশন প্লে-অফের জন্য অগ্রসর | ০–২ | ২–১ | ২–২ | ১–১ | — | ৩–৪ | ১–০ | ২–১ | ২–১ | ২–২ | |
৬ | চিলি | ১৮ | ৮ | ২ | ৮ | ২৬ | ২৭ | −১ | ২৬ | ২–০ | ৩–১ | ১–২ | ১–১ | ২–১ | — | ০–৩ | ২–১ | ৩–০'"`UNIQ--ref-০০০০০০৩৬-QINU`"' | ৩–১ | ||
৭ | প্যারাগুয়ে | ১৮ | ৭ | ৩ | ৮ | ১৯ | ২৫ | −৬ | ২৪ | ২–২ | ১–২ | ০–০ | ০–১ | ১–৪ | ২–১ | — | ২–১ | ২–১ | ০–১ | ||
৮ | ইকুয়েডর | ১৮ | ৬ | ২ | ১০ | ২৬ | ২৯ | −৩ | ২০ | ০–৩ | ২–১ | ১–৩ | ০–২ | ১–২ | ৩–০ | ২–২ | — | ২–০ | ৩–০ | ||
৯ | বলিভিয়া | ১৮ | ৪ | ২ | ১২ | ১৬ | ৩৮ | −২২ | ১৪ | ০–০ | ০–২ | ২–০ | ২–৩ | ০–৩'"`UNIQ--ref-০০০০০০৩৮-QINU`"' | ১–০ | ১–০ | ২–২ | — | ৪–২ | ||
১০ | ভেনেজুয়েলা | ১৮ | ২ | ৬ | ১০ | ১৯ | ৩৫ | −১৬ | ১২ | ০–২ | ০–০ | ২–২ | ০–০ | ২–২ | ১–৪ | ০–১ | ১–৩ | ৫–০ | — |
The qualification structure was as follows:[২৯][৩৮]
The OFC had considered different proposals of the qualifying tournament.[৩৯] A previous proposal adopted by the OFC in October 2014 would have the eight teams divided into two groups of four teams to play home-and-away round-robin matches in the second round, followed by the top two teams of each group advancing to the third round to play in a single group of home-and-away round-robin matches to decide the winners of the 2016 OFC Nations Cup which would qualify to the 2017 FIFA Confederations Cup and advance to the inter-confederation play-offs.[৪০] However, it was later reported in April 2015 that the OFC had reversed its decision, and the 2016 OFC Nations Cup was played as a one-off tournament similar to the 2012 OFC Nations Cup.[৪১]
The draw for the third round was held on 8 July 2016 at the OFC headquarters in Auckland, New Zealand.[৪২]
Group A টেমপ্লেট:2018 FIFA World Cup qualification – OFC Third Round Group A table
Group B টেমপ্লেট:2018 FIFA World Cup qualification – OFC Third Round Group B table
Final
The draw for the final (which decided the order of legs) was held on 15 June 2017 at the OFC headquarters in Auckland, New Zealand.[৪৩] The winners of the final advanced to inter-confederation play-offs.
2018 FIFA World Cup qualification – OFC Third Round
Russia qualified automatically as hosts. The qualifying format for the remaining FIFA-affiliated UEFA teams was confirmed by the UEFA Executive Committee meeting on 22–23 March 2015 in Vienna.[৪৪][৪৫]
The draw for the first round was held on 25 July 2015, at the Konstantinovsky Palace in Strelna, Saint Petersburg, Russia.[২৯]
টেমপ্লেট:Legend4 টেমপ্লেট:Legend4
In deciding the eight best runners-up, the matches against the sixth-placed team in each group were discarded.[৪৬] টেমপ্লেট:2018 FIFA World Cup qualification – UEFA Runners-up table
The draw for the second round (play-offs) was held on 17 October 2017 at the FIFA headquarters in Zürich, Switzerland.[৪৭] The winners of each tie qualified for the World Cup. 2018 FIFA World Cup qualification – UEFA Second Round
There were two inter-confederation playoffs to determine the final two qualification spots for the finals. The first legs were played on 10 and 11 November 2017, and the second legs were played on 15 November 2017.[৪৮][৪৯]
The matchups were decided at the preliminary draw which was held on 25 July 2015, at the Konstantinovsky Palace in Strelna, Saint Petersburg, Russia.[২৯]
2018 FIFA World Cup qualification (inter-confederation play-offs)
2018 FIFA World Cup qualification (inter-confederation play-offs)
For each confederation and inter-confederation play-offs, see sections in each article:
Completing the tournament's qualifying contenders will be the next 16 highest ranked teams, with the remaining 12 sides battling it out in play-off matches to claim the last eight spots.