অ্যালেন গিন্সবার্গ | |
---|---|
স্থানীয় নাম | Allen Ginsberg |
জন্ম | আরউইন অ্যালেন গিন্সবার্গ ৩ জুন ১৯২৬ নেওয়ার্ক, নিউ জার্সি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | এপ্রিল ৫, ১৯৯৭ নিউ ইয়র্ক সিটি, নিউ ইয়র্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র | (বয়স ৭০)
পেশা | লেখক, কবি |
ভাষা | ইংরেজি |
জাতীয়তা | মার্কিন |
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান | |
সাহিত্য আন্দোলন | বিট সাহিত্য, হিপি |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড ১৯৭৪ |
সঙ্গী | পিটার অর্লোবস্কি ১৯৫৪–১৯৯৭ (গিন্সবার্গের মৃত্যু পর্যন্ত) |
স্বাক্ষর |
আরউইন অ্যালেন গিন্সবার্গ (/ˈɡɪnzbərɡ/; জুন ৩, ১৯২৬ – এপ্রিল ৫, ১৯৯৭) ছিলেন মার্কিন কবি, লেখক, গীতিকার যিনি ১৯৫০-এর দশকের বিট প্রজন্ম এবং বিপরীত সংস্কৃতি আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। তিনি সামরিকতন্ত্র, অর্থনৈতিক বস্তুবাদ এবং যৌন নিপীড়ন বিষয়ের জোরালোভাবে বিরোধিতা করেন। শুরুতে গিন্সবার্গ তার "হাউল" (১৯৫৬) মহাকাব্যের জন্য সর্বাধিক পরিচিত হন; যেখানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাদের ধ্বংসাত্মক শক্তিকে নিন্দা করেন।[১][২][৩] এই কবিতাটি লিখেছিলেন তার বিট প্রজন্মের বন্ধুদের বরণ করে নিয়ে এবং বস্তুবাদের ধ্বংসাত্মক শক্তিকে আক্রমণ করে।
গিন্সবার্গ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতীয় সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশী শরণার্থী শিবিরগুলোতে ঘুরে বেরিয়েছিলেন। এসময় যশোরের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি কবিতা লিখেন যার নাম সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গিয়ে তার বন্ধু বব ডিলান ও অন্যদের সহায়তায় এই কবিতাটিকে তিনি গানে রূপ দিয়েছিলেন। কনসার্টে এই গান গেয়ে তারা বাংলাদেশী শরণার্থীদের সহায়তার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন।[৪]
গিন্সবার্গ একটি ইহুদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নিউ জার্সির প্যাটারসন এলাকায় বেড়ে ওঠেন।[৫] ১৯৪৩ সালে তিনি ইস্টসাইড হাই স্কুল থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরবতীর্তে মন্টক্লেয়ার কলেজে কিছুদিন অধ্যয়নের পর কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৪৫ সালে তিনি পড়ালেখার খরচ যোগাবার জন্য একটি চাকুরীতে যোগদান করেন। তিনি সেসময় কলম্বিয়া থেকে প্রকাশিত জেস্টার হিউমার ম্যাগাজিনে কিছুদিন কাজ করেন এবং ফিলোলেক্সান সোসাইটির সভাপতি নির্বাচিত হন।
তার বিভন্ন কর্মকাণ্ডের মধ্যে সমকামিতা বিষয়ক কর্মকাণ্ডগুলো ছিলো সবচেয়ে প্রভাবশালী ও বিতর্কিত। তিনি সমকামীদের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় আন্দোলন করেছিলেন। ১৯৪৩ সালে তিনি নিজেকে "সমকামীতার পর্বত" রূপে নিজেকে আবিষ্কার করেন। এই ইচ্ছাটি তিনি খোলামেলাভাবে তার কথাবার্তা ও কবিতায় প্রকাশ করেন। সমকামী বিয়ের ব্যাপারে নিদর্শন রাখতে তিনি তার বন্ধু ও কবি পিটার অরলোভস্কিকে বিয়ে করেন। পরবর্তীতে সমকামী লেখকরা সমকামিতা বিষয়ক তার খোলামেলা কথাবার্তার সৎসাহস প্রত্যক্ষ করেছেন, যা আগে দেখা যেতো শুধু কবরের ফলকেই।[৬]
অ্যালেন গিন্সবার্গ ভারতবর্ষে থাকাকালীন সর্বাধিক সময় কাটিয়েছিলেন কলকাতায়, ১৯৬২-১৯৬৩ সালে এবং তিকি পশ্চিমবাংলার কবিদের ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন । তার সঙ্গে হাংরি আন্দোলন এর কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ও মলয় রায়চৌধুরীর হৃদ্যতা গড়ে ওঠে এবং তিনি আমেরিকায় ফিরে গিয়ে হাংরি আন্দোলনএর কবিদের রচনা সেখানকার প্রখ্যাত পত্রিকাগুলিতে প্রকাশের ব্যবস্থা করেছিলেন । অ্যালেন গিন্সবার্গের বিখ্যাত কবিতা 'হাউল' এবং 'ক্যাডিশ' বাংলায় অনুবাদ করেছেন মলয় রায় চৌধুরী ।