স্থানাঙ্ক | ২২°৫৭′৭″ দক্ষিণ ৪৩°১২′৩৮″ পশ্চিম / ২২.৯৫১৯৪° দক্ষিণ ৪৩.২১০৫৬° পশ্চিম |
---|---|
অবস্থান | রিউ দি জানেইরু, ব্রাজিল |
ধরন | মূর্তি |
উচ্চতা | ৩০ মিটার (৯৮ ফু) |
শুরুর তারিখ | ১৯২২ |
সম্পূর্ণতা তারিখ | ১২ই অক্টোবর, ১৯৩১ তারিখে উৎসর্গীকৃত |
১২ই অক্টোবর, ২০০৬ উৎসর্গীকৃত বিশ্বের সাতটি নতুন বিস্ময় ৭ই জুলাই, ২০০৭ |
ত্রাণকর্তা যিশুখ্রিস্ট বা Christ the Redeemer(পর্তুগিজ: Cristo Redentor, ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: স্থানীয় ভাষায়: Error: {{আধ্বব}}: অস্বীকৃত ভাষা ট্যাগ: ) ব্রাজিলের, রিউ দি জানেইরুতে যিশু খ্রিস্টের একটি মূর্তি যা বিশ্বের বৃহত্তম আর দেকো মূর্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মূর্তিটি তার স্তম্ভের ভিত্তি ৮ মিটার (২৬ ফু) ছাড়া, ৩০ মিটার (৯৮ ফু) লম্বা এবং তার দুই পাশে প্রসারিত এক একটি হাতের দৈর্ঘ্য ২৮ মিটার (৯২ ফু)।[১] এটি তিজুকা ফরেস্ট ন্যাশনাল পার্কে শহরকে আড়াল করে রাখা ৭০০ মি (২২৯৬ ফুট) উচ্চতার কর্কোভাদো পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত।[২] ব্রাজিলীয় খ্রিস্টধর্মের একটি প্রতীক যা রিউ দি জানেইরু এবং ব্রাজিলের জন্য একটি প্রতিমায় পরিণত হয়েছে।[৩] এটি ভিতরে ইস্পাতশলাকা জল ব্যবহার করে দৃঢ়ীভূত কংক্রিট ও সোয়াপস্টোন দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এবং একে একজন ফরাসি ভাস্কর পল ল্যান্ডোস্কি ১৯২২ এবং ১৯৩১ মধ্যে নির্মিত করেছিল।[৪][৫] এটি বিশ্বের নতুন সপ্তাশ্চর্যের একটি।
কর্কোভাদো উপরে একটি বড় মূর্তিনির্মাণ করার ধারণা প্রথম ১৮৫০ সালে প্রস্তাবিত হয়েছিল, যখন ক্যাথলিক ধর্মযাজক পেড্রো মারিয়া বস একটি বড় ধর্মীয় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য রাজকুমারী ইসাবেলের কাছে আর্থিক সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছিল। যখন ব্রাজিল একটি প্রজাতন্ত্র হয়ে ওঠে তখন গির্জা এবং রাষ্ট্র বিচ্ছেদ আইন প্রয়োগ করা হয়েছিল, তখন রাজকুমারী ইসাবেল কোনো চিন্তা-ভাবনা না করেই ১৮৮৯ সালে এটি বাতিল করেন।[৬] পাহাড়ের উপরে একটি ল্যান্ডমার্ক মূর্তির দ্বিতীয় প্রস্তাব ১৯২০ সালে রিও এর ক্যাথলিক সার্কেলরা করেন।[৭]
ব্রাজিলের দক্ষিণপূর্ব শহর রিউ দি জানেইরুতে যিশুর এই বিশাল মূর্তিটি রয়েছে। পাহাড়ের চূড়ায় দুই হাত প্রসারিত করে দাড়িয়ে আছেন যিশু। যে পাহাড়টির উপর এর অবস্থান তার নাম কর্কোভাদো। পাহাড়টি উচ্চতা ৭১৩ মিটার বা ২৩৪০ ফুট। যেতে হয় সড়কপথে নয়তো কেবল রেলে চড়ে। মূর্তিটি তৈরি করেছেন ফরাসি ভাস্কর পল ল্যান্ডোস্কি। ১৯২১ সালে তাকে মূর্তিটি তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়। উদ্দেশ্য পর্তুগালের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের প্রথম শতবার্ষিকী উদ্যাপন। ১৯৩১ সালে শেষ হয় এর নির্মানকাজ। গ্রানাইটের তৈরি এই মূর্তিটি ৩০ মিটার বা ১০০ ফুট উঁচু। যে বেদীটির উপর মূর্তিটি স্থাপন করা হয় তারই উচ্চতা ৬ মিটার বা ২০ ফুট। মূর্তিটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন যিশু তার দুই হাত প্রসারিত করে শহরটিকে আলিঙ্গন করছেন। পাহাড় আর পানি দিয়ে ঘেরা রিও ডি জেনিরো শহরের সবচাইতে দর্শনীয় জায়গাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)