ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ | |
---|---|
উত্তর ইউরোপে ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের ভৌগোলিক অবস্থান (বৃত্তাবদ্ধ) | |
ডেনমার্ক রাজ্যের (লাল) ভৌগোলিক অবস্থান, যা ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ (বৃত্তাবদ্ধ), গ্রিনল্যান্ড এবং ডেনমার্ক নিয়ে গঠিত। | |
রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি | টোর্সহাভন ৬২°০০′ উত্তর ০৬°৪৭′ পশ্চিম / ৬২.০০০° উত্তর ৬.৭৮৩° পশ্চিম |
সরকারি ভাষা | ফ্যারো,[১] ডেনীয় |
নৃগোষ্ঠী | ফ্যারো দ্বীপবাসী |
ধর্ম | ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের গির্জা |
জাতীয়তাসূচক বিশেষণ |
|
সার্বভৌম রাষ্ট্র | Kingdom of Denmark |
সরকার | ক্ষমতা হস্তান্তরিত সরকার, সংসদীয় সাংবিধানিক রাজতন্ত্র-এর আওতায় |
• রাজা | ফ্রেডরিক দশম |
লেনে মোয়াইয়েল ইয়োহানসেন | |
আকসেল ইয়োহানসেন | |
আইন-সভা | লোগটিং |
গঠন | |
আনু. ১০৩৫ | |
১৪ই জানুয়ারি ১৮১৪ | |
• স্বশাসন লাভ | ১লা এপ্রিল ১৯৪৮ |
• অধিকতর স্বায়ত্বশাসন | ২৯শে জুলাই ২০০৫[২] |
আয়তন | |
• মোট | ১,৩৯৯ কিমি২ (৫৪০ মা২) (unranked) |
• পানি (%) | ০.৫ |
জনসংখ্যা | |
• অক্টোবার ২০১৭ আনুমানিক | 50,322[৩] (২০৬তম) |
• ২০১১ আদমশুমারি | 48,346[৪] |
• ঘনত্ব | ৩৫.২/কিমি২ (৯১.২/বর্গমাইল) |
জিডিপি (পিপিপি) | 2008 আনুমানিক |
• মোট | $1.642 billion |
• মাথাপিছু | $33,700 |
জিডিপি (মনোনীত) | 2017 আনুমানিক |
• মোট | $3.09 billion[৫] |
• মাথাপিছু | $61,325 |
জিনি (2015) | 23.3[৬] নিম্ন · 2 |
মানব উন্নয়ন সূচক (2008) | 0.950[৭] অতি উচ্চ |
মুদ্রা | Faroese króna (DKK) |
সময় অঞ্চল | ইউটিসি (WET) |
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) | ইউটিসি+1 (WEST) |
গাড়ী চালনার দিক | right |
কলিং কোড | +298 |
ইন্টারনেট টিএলডি | .fo |
ওয়েবসাইট www.faroeislands.fo | |
|
ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ (Faroe Islands) (ফ্যারো: Føroyar) নরওয়েজীয় সাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত একটি দ্বীপপুঞ্জ। এটি নরওয়ে ও আইসল্যান্ডের মাঝামাঝি অবস্থানে এবং স্কটল্যান্ড থেকে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে ৩২০ কিলোমিটার (২০০ মাইল) দূরত্বে অবস্থিত। দ্বীপপুঞ্জটি ডেনমার্ক রাজ্যের অধীন একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রশাসনিক অঞ্চল।[৮][৯][১০] এর মোট আয়তন প্রায় ১,৪০০ বর্গকিলোমিটার (৫৪১ বর্গমাইল)। ২০১৭ সালে এর মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৫০ হাজার।[৩] ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের ভূপ্রকৃতি অত্যন্ত রুক্ষ। এগুলিতে উপমেরুদেশীয় মহাসাগরীয় জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়, অর্থাৎ ঝড়ো, আর্দ্র, মেঘাচ্ছন্ন ও শীতল। উচ্চ অক্ষাংশে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও উষ্ণ উপসাগরীয় সমুদ্রস্রোতের কারণে এখানকার তাপমাত্রা সারা বছর ধরেই বরফাংকের উপরে থাকে। ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জটি ১১শ থেকে ১৯শ শতকের শুরু পর্যন্ত নরওয়ে রাজ্যের অংশ ছিল। ১৮১৪ সালে কিল চুক্তির মাধ্যমে ডেনমার্ক নরওয়ের শাসনাধীন গ্রিনল্যান্ড ও আইসল্যান্ডের সাথে ফ্যারো দ্বীপগুলিরও দখল পায়। ১৯৪৮ সাল থেকে ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জটি ডেনমার্ক রাজ্যের ভেতরে অবস্থান করে একটি স্বায়ত্বশাসিত দেশ হিসেবে বিদ্যমান।[১১] ফ্যারো দ্বীপবাসীরা বেশির ভাগ আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ন্ত্রণ করে। তবে সামরিক প্রতিরক্ষা, পুলিশ, বিচার ব্যবস্থা, মুদ্রা এবং বৈদেশিক সম্পর্কের মতো বিষয়গুলি ডেনমার্কের দায়িত্ব।[১২] তবে ফ্যারো দ্বীপগুলি ডেনমার্কের শুল্ক এলাকার মধ্যে পড়ে না, এদের নিজস্ব বাণিজ্য নীতি আছে এবং এগুলি অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্যিক চুক্তিস্থাপন করতে পারে। নর্ডীয় কাউন্সিলে ডেনীয় প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া কিছু কিছু ক্রীড়া প্রতিযোগিতাতে ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ নিজস্ব জাতীয় দল পাঠিয়ে থাকে।
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; Embargo2014
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি