শিল্প | ডট-কম |
---|---|
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৯৯৬ |
প্রতিষ্ঠাতা | জিমি ওয়েলস টিম শেল মাইকেল ড্যাভিস |
বিলুপ্তিকাল | ২০০৭ |
সদরদপ্তর | , |
পণ্যসমূহ | বোমিস প্রিমিয়াম [১][২] বোমিস বেবিস[৩][৪] বোমিস বেবি রিপোর্ট[৫][৬] দ্য বেবি ইঞ্জিন[১][৭] বোমিস ব্রাউজার[৮] |
কর্মীসংখ্যা | ১০ |
অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান | নুপিডিয়া (২০০০-২০০৩)[৯][১০] উইকিপিডিয়া (২০০১-২০০৩)[৬][১১] |
ওয়েবসাইট | bomis |
বোমিস একটি ডট-কম কোম্পানি যেটা নুপিডিয়া এবং উইকিপিডিয়া সৃষ্টিতে সাহায্য করার জন্য সর্বাধিক পরিচিতি প্রাপ্ত। নুপিডিয়া এবং উইকিপিডিয়া হল বিনামূল্যের অনলাইন বিশ্বকোষ প্রকল্প। কোম্পানিটি জিমি ওয়েলস, টিম শেল এবং মাইকেল ডেভিস দ্বারা ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ডেভিস ওয়েলসের সাথে পরিচিত হন যখন ১৯৯৬ সালে শিকাগো অপশন এসোসিয়েশন নামক একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাকে নিয়োগ দেয়, এবং ওয়েলস শেলের সাথে বন্ধু হয়ে উঠেন দর্শন বিষয়ক আলোচনা ইন্টারনেট থেকে মেইল আদান-প্রদানের মাধ্যমে। বোমিসের প্রাথমিক ব্যবসা ছিলো বোমিস.কমের অনুসন্ধান পোর্টালের বিজ্ঞাপনী বিক্রয় থেকে।
কোম্পানিটি প্রারম্ভিকভাবে শিকাগো শহর নিয়ে একটি তথ্যকোষ তৈরিসহ বেশ কয়েকটি তথ্যকোষ সম্পাদনা করার চেষ্টা চালিয়েছিলো। পরবর্তীতে সাইটটি খেলাধুলা নিয়ে কার্যকলাপ, মোটরগাড়ি এবং নারীদের নিয়ে তথ্য সমাবেশ করে পুরুষ পাঠকদের দিকে মনোযোগী হয়ে উঠার চেষ্টা করে। এক্স রেটযুক্ত মিডিয়াতে মনোযোগ দেওয়ার পর বোমিস সফল হয়ে ওঠে। "বোমিস বেবিস" কামনাযুক্ত ছবির প্রতি অনুরক্ত ছিলো। "বোমিস বেবি রিপোর্ট" ছিলো প্রাপ্তবয়ষ্কদের ছবির সমারোহ। "বোমিস প্রিমিয়াম" আরো সুস্পষ্টভাবে তথ্যছবিগুলো সরবরাহ করত যটা অতিরিক্ত খরচ সাপেক্ষে পাওয়া যেতো। "বেবি ইঞ্জিন" ব্যবহারকারীদের ওয়েব অনুসন্ধান ইঞ্জিনের মাধ্যমে যৌন বিষয়বস্তু খুজে পেতে সাহায্য করত। বোমিসের বিজ্ঞাপন পরিচালক উল্লেখ করেছেন যে এই সাইটের ৯৯ ভাগ প্রশ্ন ছিলো নারীদের নগ্নতা বিষয়ক।
বোমিস একটি বিনামূল্যের অনলাইন বিশ্বকোষ (বিশেষজ্ঞদের দ্বারা জমা দেওয়া সামগ্রী সহ) নুপিডিয়া তৈরি করেছে তবে এটি ছিলো ক্লান্তিকর এবং ধীর পর্যালোচনা প্রক্রিয়া । উইকিপিডিয়া প্রাথমিকভাবে নুপিয়াডির জন্য তথ্য সরবরাহের জন্য বোমিস দ্বারা চালু করা হয়েছিল এবং ২০০২ সালের শেষ নাগাদ এটি একটি লাভজনক উদ্যোগ ( বোমিস অধীনস্থ ) ছিল। উইকিপিডিয়ার জনপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে এর খরচ বেড়ে যাওয়ায় বোমিসের আয় ডট.কমের সংঘর্ষের ফলে বন্ধ হয়ে যায়। যেহেতু উইকিপিডিয়া বোমিসের উপর আর্থিকভাবে চাপ দিচ্ছিলো, তাই ওয়েলস এবং দর্শনের স্নাতক শিক্ষার্থী, ল্যারি স্যাঞ্জার এই প্রকল্পটিকে দাতব্যসংস্থা হিসাবে অর্থ ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। স্যাঞ্জার ২০০২ সালে বমিস থেকে বিদায় নেন। নুপিডিয়াকে উইকিপিডিয়ার সাথে একীভূত করা হয়েছিল এবং নুপিডিয়া ২০০৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়।
অলাভজনক উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন শুরু হয়েছিলো ২০০৩ সালে বোমিসের তিন প্রতিষ্ঠাতা (ওয়েলস, ডেভিস এবং শেল) নিয়ে গঠিত বোর্ড অব ট্রাস্টিজের মাধ্যমে এবং প্রথম সদর দফতর ছিল সেন্ট পিটার্সবার্গ, ফ্লোরিডায়, বোমিসের ঠিকানায়। এই বিশ্বকোষকে অলাভজনক মর্যাদায় নিয়ে আসার আগে ওয়েলস উইকিপিডিয়াকে বোমিসের কাছ থেকে পাওয়া প্রায় ১ লাখ ডলার তহবিল যোগান দেয়। ওয়েলস ২০০৪ সালে বমিসের প্রধান নির্বাহী পদ থেকে পদত্যাগ করেন। শেল ২০০৫ সালে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন ট্রাস্টি বোর্ডে থাকাকালীন সময় কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৫ সালে ওয়েলস বমিসের সফটকোর পর্নোগ্রাফি প্রমাণ করার করার মত বৈশিষ্ট্যগুলি সরিয়ে দেওয়ার জন্য উইকিপিডিয়া সম্পাদনা করেছিলেন, যা মিডিয়া মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলো। পরে ওয়েলস তার কর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। দ্য আটলান্টিক বমিসকে "ইন্টারনেটের প্লেবয়" ডাকনাম দিয়েছিল এবং এই ডাক নামটি অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। পণ্ডিতেরা বোমিসকে সফটকোর পর্নোগ্রাফির সরবরাহকারী হিসাবেই বর্ণনা করেছিলেন।
অর্থনীতি নিয়ে কাজ করার উদ্দেশ্যে ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইডডি প্রার্থী থাকা অবস্থায় জিমি ওয়েলস ডক্টরাল গবেষণামূলক পড়াশুনা শেষ করে দেন। ১৯৯৪ সালে শিকাগো অপশনস অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ডেভিস জিমি ওয়েলসকে একজন ব্যবসায়ী হিসেবে তার কোম্পানিতে নিয়োগ দেন। ওয়েলস বৈদেশিক মুদ্রা এবং সুদের হারের গতিপথের ভবিষ্যত নির্ধারণে পারদর্শী ছিল। শিকাগোতে ওয়েলস সাফল্য অর্জন করে স্বাধীনভাবে ধনী হয়েছিলেন এবং ১৯৯৪ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত শিকাগো অপশনস এসোসিয়েটসের গবেষণা পরিচালক ছিলেন। তিনি তার দর্শনের বিষয়ে আলোচনা করা ইমেল তালিকা থেকে টিম শেলের সাথে পরিচিত হন।
ওয়েলস অনলাইন ভিত্তিক উদ্যোক্তা হওয়ার উদ্যোগগুলিতে অংশ নিতে চেয়েছিলেন যা ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ক্রমবর্ধমানভাবে জনপ্রিয় এবং সফল হচ্ছিলো। তার অভিজ্ঞতা (তারুণ্যের গেমিং অভিজ্ঞতা থেকে) তাকে নেটওয়ার্কিংয়ের গুরুত্বে মুগ্ধ করেছিল। ওয়েলস কম্পিউটার বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী ছিলেন, ইন্টারনেটে উৎস কোড নিয়ে পরীক্ষা করতেন এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে তার দক্ষতা বৃদ্ধি করেছিলেন। শিকাগো অপশনস এসোসিয়েটসের হয়ে কাজ করার পরে অবসর সময়ে ওয়েলস তার নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার তৈরি করেছিলেন। চাকুরীতে থাকাকালীন সময়ে ১৯৯৫ সালে তিনি নেটস্কেপ যোগাযোগের "প্রকাশ্য প্রাথমিক প্রস্তাব" সফলভাবে উল্লেখ করেন।
ওয়েলস ১৯৯৬ সালে বোমিসকে, তার ব্যবসায়ীক সহযোগী টিম শেল[২] এবং তার তৎকালীন পরিচালক মাইকেল ডেভিসকে সাথে নিয়ে যৌথ মালিকানাধীন একটি লাভজনক কর্পোরেশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। ওয়েলস ছিলেন এর প্রধান পরিচালক। ১৯৯৮ সালে তিনি শিকাগো শহর থেকে থেকে সান ডিয়েগোতে বমিসের হয়ে কাজ করার জন্য চলে আসেন এবং তারপরে সেন্ট পিটার্সবার্গ, ফ্লোরিডায় চলে যান (যেখানে সংস্থাটি পরে স্থানান্তরিত হয়েছিল)।
বমিসের মূল কর্মচারী ছিলেন পাঁচ জন। এর ২০০০ কর্মীর মধ্যে প্রোগ্রামার টোয়ান ভো এবং সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেসন রিচি অন্তর্ভুক্ত ছিলো। ওয়েলস তার দ্বিতীয় বিয়েতে তার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বন্ধু এবং সেরা মানুষ টেরি ফোয়েটকে বিজ্ঞাপন পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত করেন। ২০০০ সালের জুনে, বোমিস আস্ক জিভিসের পাঁচটি নেটওয়ার্ক অংশীদারীদের মধ্যে ছিলো। বমিসে আসা বেশিরভাগ রাজস্ব বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় হচ্ছিলো। বমিসের সর্বাধিক সাফল্য সময়টি ছিল এনবিসি ওয়েব পোর্টাল এনবিসিআইয়ের সদস্য হিসাবে উদ্যোগের সময়; এই সাফল্য সময়টি ডট.কমের বাবলের শেষ সময়ে ধসে পড়ে।
যদিও বমিস একটি সংক্ষিপ্ত নাম নয়, নামটি "স্যুট পরা তিক্ত বৃদ্ধ লোক" (Bomis - Bitter Old Men in Suits) থেকে শুরু হয়েছে (ওয়েলস এবং শেল শিকাগোতে নিজেদেরকে যেমনভাবে ডাকার জন্য ব্যবহার করেছিলেন)। সাইটটি একটি ওয়েব পোর্টাল হিসাবে শুরু হয়েছিল, অনেকগুলি ধারণা ভাবনার চেষ্টা করে ( শিকাগো শহর সম্পর্কিত তথ্যের জন্য অ্যাক্সেস পয়েন্ট হিসাবে কাজ করা ) এটি পরে ক্রীড়া কার্যক্রম, অটোমোবাইল এবং মহিলাদের সম্পর্কিত তথ্য সহ পুরুষ বিষয়ক সামগ্রীতে নজর দিয়েছিলো।
ওপেন ডিরেক্টরি প্রকল্পের শুরু থেকে কাজ করার সময় বমিস ল্যাড কালচার সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে কয়েক শতাধিক ওয়েবরিং তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণ করেছিলো। ১৯৯৯ সালে সংস্থাটি বমিস ব্রাউজার অবমুক্ত করে, যা ব্যবহারকারীদের অনলাইন পপ-আপ বিজ্ঞাপনগুলি ব্লক করতে বা বাঁধা দিতে সহায়তা করত।[৮] স্টার ওয়ার্সে এর ওয়েবরিং স্টার ওয়ার্স: ১ম পর্ব - দ্য ফ্যান্টম মেনেস এর সম্পর্কিত তথ্যের জন্য একটি দরকারী রিসোর্স হিসাবে বিবেচিত হয়েছিল। অন্যান্য ওয়েবারিংগুলি ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা, হান্টার এস. থম্পসন, ফারাহ ফাওসেট, স্পাইস গার্লস এর গেরি হ্যালিওয়েল এবং স্নেক আইজ সম্পর্কিত বিভাগগুলিতে ব্যবহারকারীদেরকে তথ্য পেতে সহায়তা করত। "বোমিস: দ্য ব্যাফি দ্য ভ্যাম্পায়ার স্লেয়ার রিং" উৎসর্গীকৃত বাফি দ্য ভ্যাম্পায়ার স্লেয়ার অনুষ্ঠানের সাথে সম্পর্কিত ৫০ টিরও বেশি সাইটের আয়োজন করেছে। শীলা জেফরিস তার বিউটি অ্যান্ড মিসোগিনিতে উল্লেখ করেছেন যে ২০০৪ সালে বমিস "দ্য লিপস্টিক ফেটিস রিং" চালু রেখেছিল, যা ব্যবহারকারীদের মেকআপে বিশেষ আকর্ষণ করার জন্য সহায়তা করত।
এক্স-রেটেড এবং যৌনধর্মী মিডিয়ায় মনোনিবেশ করার পরে বমিস সফল হয়ে উঠে। বিজ্ঞাপনী উপার্জন সংস্থাটিকে অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলিতে তহবিল সরবরাহ করতে সহায়তা করেছিল এবং সাইটটিতে পেশাদার মডেল হয়ে উঠার জন্য পরামর্শমূলক ছবি প্রকাশ করত। বমিস ছাড়াও সংস্থাটি নেককিড.কম এবং নেককিড.ইনফো পরিচালনা করত যেখানে মহিলাদের নগ্ন ছবি দেখাত। বমিসের উপার্জনের প্রায় দশ শতাংশ ছিলো অশ্লীল চলচ্চিত্র এবং ব্লগ থেকে প্রাপ্ত।[১][১৮]
ওয়েবসাইটে "বমিস বেইবস" নামক উৎসর্গীকৃত একটি যৌনধর্মী ছবিবিভাগ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো[৩][৪] এবং একটি ফিচার সংযুক্ত করা হয়েছিলো যাতে পুরুষ ব্যবহারকারীদের কাছে আবেদনময়ী অন্যান্য সাইটগুলির লিংক এখানে জমা দিতে পারেন। পিয়ার-টু-পিয়ার সেবার মাধ্যমে অন্যান্য সেলিব্রেটি মহিলাদের ওয়েবসাইট যেমন আন্না কোরনিকোভা এবং পামেলা অ্যান্ডারসনদের খুঁজে পেতে ব্যবহারকারীদের সহায়তা করত। বোমিস বেবি বিভাগে বোমিস বেবি রিপোর্ট ছিল, যা ২০০০ সালে পর্ন তারকাদের ছবি ব্লগ আকারে প্রকাশ করতে শুরু করেছিলো।[৬][১১][১৩] বমিস বেবি রিপোর্টে মৌলিক ধাঁচের যৌনউত্তেজক সামগ্র তৈরি করত, পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং সেলিব্রিটিদের প্রতিবেদন ছিলো যাঁরা নগ্ন হয়ে ছবি তুলেছিল। সংক্ষেপে এটাকে দ্য বেবি রিপোর্ট নামে উল্লেখ করা হত।
ওয়েলস সাইটের সফটকোর পর্নোগ্রাফিকে "গ্ল্যামার ফটোগ্রাফি" হিসাবে উল্লেখ করেছিল এবং বমিস তার যৌনধর্মী চিত্রগুলির জন্য ইন্টারনেটে ব্যবহারকারীদের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছিলো। ওই সময়ে ওয়েলস পীকযুক্ত একটি ক্যাপ পরে সমুদ্র অধিনায়ক ভূমিকায় একটি ইয়টের স্টিয়ারিংয়ের ছবি তুলেছিলো যেখানে তার দুপাশে পেশাদার মহিলা মডেল ছিলো। ছবিতে, মহিলারা বোমিসের বিজ্ঞাপনের জন্য প্যান্টি এবং টি-শার্ট পরেছিলেন।
সাবস্ক্রিপশন বিভাগে বোমিস প্রিমিয়াম প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বিশেষ সামগ্রী এবং যৌনউত্তেজক উপাদান সরবরাহ করত। তিন দিনের ট্রায়াল ফি ছিল ২.৯৯ মার্কিন ডলার। বমিস বেবি গ্রাহকদের কাছে মহিলাদের নগ্ন ছবি সরবরাহ করার পাশাপাশি বমিস প্রিমিয়াম সমকামী যৌন আচরণ এবং মহিলাদের শারীরিক গঠন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরত। বমিস বেবি ইঞ্জিন তৈরি করেছিল, যা ব্যবহারকারীদের ওয়েব অনুসন্ধান ইঞ্জিনের মাধ্যমে অনলাইনে যৌন সামগ্রী খুঁজে পেতে সহায়তা করত। বমিস বিজ্ঞাপনের পরিচালক টেরি ফুটের মতে, সাইটে ৯৯ ভাগ অনুসন্ধান ছিলো মহিলাদের নগ্নতা বিষয় সম্পর্কিত।
বমিস অনলাইনে বিনামূল্যে তথ্য সরবরাহকারী বিশ্বকোষ প্রকল্প নুপিডিয়া এবং উইকিপিডিয়া তৈরিতে সহায়তা করার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। টিম শেল এবং মাইকেল ডেভিস ২০০০ নুপিডিয়া উদ্যোগের সময় থেকেই ওয়েলসের সাথে অংশীদারত্ব রেখে এসেছে। ল্যারি স্যাঙ্গার জিমি ওয়েলসের সাথে দর্শন এবং বস্তুনিষ্ঠতা সম্পর্কে একটি ইমেইল যোগাযোগ দলের মাধ্যমে সাক্ষাত পেয়েছিলেন এবং ১৯৯৯ সালের মে তে বমিসে যোগ দিয়েছিলেন। স্যাঙ্গার ছিলেন স্নাতক শিক্ষার্থী যিনি দর্শনে পিএইচডি ডিগ্রির অর্জনের জন্য কাজ করছিলেন, তার গবেষণা বিষয়বস্তু ছিলো জ্ঞানতত্ত্ব। তিনি ওহাইও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। পরে সান ডিয়েগোতে চলে আসেন বোমিসের বিশ্বকোষ উদ্যোগ কে সাহায্য করার জন্য। যখন স্যাঙ্গার বোমিসে যোগদান করেন তখন এই সংস্থায় প্রোগ্রামারদের সহায়তায় মোট দু'জন কর্মচারী ছিল।
স্যাঙ্গার এবং ওয়েলস বমিসের রিসোর্স নিয়ে নুপিডিয়া শুরু করেছিলেন, ২০০০ সালের শুরুতে, সংস্থাটি তার লাভ থেকে নুপিডিয়াকে প্রাথমিক অর্থায়নের জন্য সম্মত হয়েছিল। নুপিডিয়া মার্চ মাসে লাইভে এসেছিলো, যখন ওয়েলস বোমিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন। স্যাঙ্গার ছিলেন তখন নুপিডিয়ায় প্রধান সম্পাদক। নুপিডিয়ার পাঠক লক্ষ্য ছিল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্নাতক পড়ুয়া নিয়ে এবং বমিস তখন তার লক্ষ্য স্থির করেছিলো।
বমিস নুপিডিয়ার নিবন্ধগুলি পরীক্ষা করার জন্য বিশেষজ্ঞ অনুসন্ধান শুরু করেছিলো কিন্ত পরে এটি ক্লান্তিকর প্রমাণিত হয়েছিল। আগস্ট ২০০০ সালে নুপিডিয়ায় ৬০ জনেরও বেশি শিক্ষাবিদ সাইটে পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়ায় অবদান রেখেছিল, যাদের বেশিরভাগ ছিলো দর্শনে বা চিকিৎসায় ডক্টরেট ডিগ্রী। অবদান রাখতে ইচ্ছুক পণ্ডিতদের যাচাইয়ের জন্য নুপিডিয়ায় তাদের পরিচয়পত্র ফ্যাক্সের মাধ্যমে জমা দিতে হয়েছিল। সেই সময়, বমিস নুপিডিয়ার জন্য বিজ্ঞাপনী আয় অর্জনের চেষ্টা করেছিল এবং সংস্থাটি আশাবাদী ছিলো যে, হয়ত নুপিডিয়া ডট.কমে বিজ্ঞাপনী স্থান দিয়ে প্রকল্পটিকে অর্থায়নে সহযোগিতা করতে পারে।
উইকিপিডিয়া নুপিডিয়া ডট.কমের বৈশিষ্ট্য নিয়ে ১৫ জানুয়ারী, ২০০১ এ শুরু হয়েছিল, পরে এই দিনটি উইকিপিডিয়া দিবস হিসাবে পরিচিতি পায়। কেউ একজন অফিস.বমিস.কম সার্ভার থেকে ওয়েবসাইটটিতে প্রথমবারের মতো সম্পাদনা কাজ করেছিলেন, প্রধান পাতায় তৈরি করা সর্বপ্রথম সম্পাদনাটি ছিলো এমনঃ "এটি নতুন উইকিপিডিয়া ! (This is the new WikiPedia!) "। এটি মূলত নুপিডিয়ার খসড়া নিবন্ধ তৈরি করার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল, পরবর্তীকালে নিবন্ধটি সমাপ্ত করে তারপর সরানো হয়েছে। নুপিডিয়া উপদেষ্টা কমিটি এই দুটি সাইটের সংমিশ্রনের বিরোধিতা করার পরে উইকিপিডিয়া একটি পৃথক সাইট হয়ে ওঠে। ২০০১ এর সেপ্টেম্বরে ওয়েলস একই সাথে বমিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং উইকিপিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। স্যাঙ্গার উইকিপিডিয়ার প্রধান সংগঠক এবং নুপিডিয়াযর প্রধান সম্পাদক ছিলেন।
নুপিডিয়া তার পিয়ার-রিভিউ সিস্টেম দ্বারা সংযুক্ত ছিল, সাত পদক্ষেপ প্রক্রিয়ায় এর পর্যালোচনা এবং আনুলিপি সম্পাদনার কাজ চলছিলো যার ফলে উইকিপিডিয়া দ্রুত হারে বড় হয়ে উঠছিলো। ২০০০ সালের নভেম্বরে নুপিডিয়ায় ১১৫ টি সম্ভাব্য নিবন্ধ পর্যালোচনা প্রক্রিয়াটির অপেক্ষায় ছিলো। ২০০১ এর সেপ্টেম্বরের মধ্যে, বোমিস থেকে মোট ২৫০,০০০ মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরে, নুপিডিয়া ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ১২ টি নিবন্ধ তৈরি করেছিল এবং নুপিডিয়ার অবদানকারীরা মোট ২৪ টি চূড়ান্ত নিবন্ধ তৈরি করেছিলেন। ২০০১ এর শেষ অবধি উইকিপিডিয়ায় ১৮ টি ভাষায় প্রায় ২০,০০০ নিবন্ধ এবং সংস্করণ ছিল।
বমিস প্রথমে উইকিপিডিয়াকে লাভজনক করে তোলার পরিকল্পনা করেছিলো। প্রাথমিকভাবে সংগঠিত করার জন্য কর্মী এবং হার্ডওয়্যার সরবরাহ করেছিলো। উইকিপিডিয়া বমিসের এই প্রাথমদিকের সাহায্য ছাড়া বেঁচে থাকতে পারত না। বমিস প্রকল্পটির জন্য ওয়েব সার্ভার এবং ব্যান্ডউইথ প্রদান করেছিলো, যেমন ডোমেন নামের মতো মূল বিষয়গুলোর মালিক বোমিস। ওয়েলস ফ্লোরিডার টাম্পায় উইকিপিডিয়া সার্ভারগুলি বাঁচিয়ে রাখার জন্য বমিসের কাছ থেকে অর্থ ব্যবহার করেছিলো।
উইকিপিডিয়ার জনপ্রিয়তা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে ডট.কম সংঘর্ষের ফলে বমিসের আয় করে যায়। ২০০০ সালের শেষদিকে বমিসের প্রায় ১১ জন কর্মচারী ছিলো, তবে ২০০২ এর প্রথমদিকে ছাঁটাইয়ের ফলে কর্মীদের মূল সংখ্যা পাঁচে এসে দাড়িয়েছিলো। স্যাঙ্গারকে ফেব্রুয়ারির ২০০২-এ বিদায় দেওয়া হয়েছিল। ১৫ জানুয়ারী, ২০০১ থেকে মার্চ, ২০০২ পর্যন্ত তিনি উইকিপিডিয়ার একমাত্র বেতনভুক্ত সম্পাদক ছিলেন। স্যাঙ্গার তার দ্বৈত ভূমিকা যেমন উইকিপিডিয়ায় প্রধান সংগঠক এবং নুপিডিয়ায় প্রধান সম্পাদক পদগুলিতে স্বেচ্ছাসেবীর ভিত্তিতে কাজ করতে অক্ষমতা জানিয়ে দেন, যার ফলে ২০০২ সালের ১ লা মার্চ তিনি পদত্যাগ করেন। তিনি কমিউনিটি আলোচনায় অবদান রেখে চলার পাশাপাশি উইকিপিডিয়ায় ভবিষ্যতের সাফল্য সম্পর্কে আশাবাদী ছিলেন।
স্যাঙ্গার প্রস্থান করার পরে উইকিপিডিয়া ওয়েলস এবং একটি বর্ধমান অনলাইন সম্প্রদায় দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল, তিনি যদিও একটি সম্ভাবনাময় বিজ্ঞাপনের ধারণা করেছিলেন কিন্ত উইকিপিডিয়ার সম্প্রদায়রা এর ব্যবসায়িক বিকাশের বিরোধিতা করেছিলো যার ফলে ২০০২ এর শেষ পর্যন্ত ইন্টারনেটে বিপণন কঠিন ছিল। উইকিপিডিয়া ২০০২ সালের শেষ পর্যন্ত (বমিসের তত্ত্বাবধানে) একটি লাভজনক উদ্যোগ হয়ে ছিলো। ততক্ষণে এটি .কম ডোমেইন নাম থেকে .অর্গ ডোমেইনে চলে গেছে এবং ওয়েলস বলেছে যে সাইটটি বিজ্ঞাপন গ্রহণ করবে না।[৭] নুপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত উপাদানগুলি উইকিপিডিয়ায় নিয়ে আসা হয়েছিল এবং নুপিডিয়াকে ২০০৩ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।[৯][১০]
২০০৩ এর মধ্যে উইকিপিডিয়ার ইংরেজি ভাষার সংস্করণে ১,০০,০০০ নিবন্ধ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এবং বমিসের পক্ষে প্রকল্পটিকে আর্থিকভাবে চালিয়ে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। ওয়েলস এবং স্যাঙ্গার উইকিপিডিয়া প্রকল্পটিকে কোম্পানির রিসোর্সের সাহায্য নিয়ে অলাভজনক ভিত্তিতে চালিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো। বমিস তার বেশিরভাগ কর্মচারীকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলো যখন থেকে উইকিপিডিয়া কোন রাজস্ব আদায় করতে পারছিলো না। সংস্থাটি শুরু থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত উইকিপিডিয়ার মালিকানাধীন ছিলো এবং ওয়েলস উইকিপিডিয়াকে অলাভজনক অবস্থার পূর্বে প্রায় ১,০০,০০০ ডলার বোমিস থেকে অর্জিত অর্থ সাহায্য দিয়েছি্লো।
২০০৩ সালের জুনে উইকিপিডিয়াকে একটি সদ্য অলাভজনক প্রতিষ্ঠান "উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনে" স্থানান্তরিত করা হয়েছিল যা উইকিপিডিয়া এবং এর সাথে সম্পর্কিত উইকি ভিত্তিক সাইটগুলির তদারকি করার জন্য একটি দাতব্য সংস্থা হিসাবে গঠিত হয়েছিল। ফাউন্ডেশনটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে এর কর্মীরা জনসাধারণের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য চাইতে শুরু করেছিলো এবং বমিস উইকিপিডিয়াকে অলাভজনকে পরিণত করে দেয়। উইকিপিডিয়া সম্পর্কিত ওয়েবসাইটগুলি চালানোর জন্য ব্যবহৃত বমিসের মালিকানাধীন সমস্ত হার্ডওয়্যার উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনকে দান করা হয়েছিলো এবং ওয়েলস উইকিপিডিয়া সম্পর্কিত কপিরাইটগুলি বোমিস থেকে উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনে সরিয়ে এনেছিলো। এটির প্রথম সদর দফতর ছিলো ফ্লোরিডার সেন্ট পিটার্সবার্গে, যেখানে বমিস ছিল। ফাউন্ডেশনটি বমিস থেকে উইকিপিডিয়ার নির্ভরতা সরিয়ে নিয়েছিল এবং এর সম্প্রসারণের জন্য হার্ডওয়্যার কেনার অনুমতি দেয়।
উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশন বোর্ড অফ ট্রাস্টি প্রাথমিকভাবে বমিসের তিন প্রতিষ্ঠাতা: জিমি ওয়েলস এবং তার দুই ব্যবসায়িক অংশীদার মাইকেল ডেভিস এবং টিম শেল নিয়ে গঠিত হয়েছিল। শেল এবং ডেভিসকে ওয়েলস কর্তৃক বোর্ডে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, তবে উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়ের সদস্যরা অভিযোগ করেছিলেন যে বোর্ডটি নিযুক্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল। প্রথম নির্বাচন ২০০৪ সালে হয়েছিল। সম্প্রদায়ের দুই সদস্য, ফ্লোরেন্স ডিভোয়ার্ড এবং অ্যাঞ্জেলা বিসলে ট্রাস্টি বোর্ডের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আগস্ট ২০০৪ সালে ওয়েলস বমিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন এবং ২০ সেপ্টেম্বর উইকিপিডিয়া ৫,০০,০০০ ডলার ব্যয় করে মিলিয়ন-নিবন্ধে পৌঁছেছিল (যার বেশিরভাগ এসেছিলো সরাসরি ওয়েলস থেকে)। ২০০৪ সালের নভেম্বরে তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গ টাইমসকে বলেছিলেন যে, তিনি আর বমিসের প্রতিদিনের কাজ পরিচালনা করেন না, তবে শেয়ারহোল্ডার হিসাবে মালিকানা ধরে রেখেছেন। ২০০৫ সালে, টিম শেল বোমিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন এবং বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে উইকিপিডিয়া তদারকি করেছিলেন। শেল ২০০৬ সাল পর্যন্ত বমিসের প্রধান নির্বাহী ছিলেন, উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি হন এবং বোর্ডে তার দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখেছিলেন। বমিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল ডেভিস সে বছর উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ হন। ওয়েলস ২০০৭ সালে সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে বলেছিলেন যে, যদিও তিনি বমিসের আংশিক মালিকানা বজায় রেখেছিলেন, " যদিও এটার অবস্থা প্রায় মৃতপ্রাপ্ত"। ইন্টারনেট সংরক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, বোমিস ওয়েবসাইটটিতে সর্বশেষে ২০১০ সাল পর্যন্ত প্রবেশ করা যেতো। যখন ২০১৩ তে সংরক্ষিত মাধ্যমে এতে প্রবেশ করা হতো তখন এতে পেটাবক্সের জন্য একটি স্বাগত বার্তা ছিল।
২০০৫ সালে, ওয়েলস তার উইকিপিডিয়া জীবনীসম্পর্কিত নিবন্ধে ১৮ টিপরিবর্তন আনেন। তিনি বোমিস বেইবসকে সফটকোর পর্নোগ্রাফি এবং যৌনধর্মী লেখাগুলো এবং ল্যারি স্যাঙ্গারকে উইকিপিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে সরিয়ে দিয়েছিলেন। ওয়েলসের কার্যকলাপটি লেখক রজার্স ক্যাডেনহেড দ্বারা প্রচারিত হয়েছিল, যেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের গণমাধ্যমের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। ২০১১ সালে টাইমস তার "শীর্ষ ১০ উইকিপিডিয়া মুহুর্তগুলি"তে ওয়েলসের ২০০৫ এর সম্পাদনাগুলি তালিকাভুক্ত করেছিল।
উইকিপিডিয়া নীতি ব্যবহারকারীদের তাদের জীবনী পৃষ্ঠাগুলি সম্পাদনা না করার জন্য সতর্ক করেছিল, ওয়েলসের বরাত দিয়ে আত্মজীবনীমূলক সম্পাদনা সম্পর্কিত নিয়ম বলেঃ "নিজের সম্পর্কে লেখার পক্ষে এটি একটি সামাজিক ভুল।" ল্যারি স্যাঙ্গার বলেন, "দেখে মনে হচ্ছে জিমি ইতিহাস পুনর্লিখনের চেষ্টা করছেন" এবং ঐতিহাসিক বিষয়ে সংশোধন সম্পর্কে ওয়েলসের জীবনীটির আলাপ পৃষ্ঠায় একটি আলোচনা শুরু করেছিলেন।
ওয়েলস তার কাজকে ভুল সংশোধন হিসাবে অভিহিত করেছিলেন, তবে ক্যাডেনহেড সম্পাদনাগুলি তার জীবনীটিতে প্রকাশ করার পরে তিনি তার কর্মের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। দ্য টাইমসকে ওয়েলস বলেছিলেন যে, ব্যক্তিরা তাদের নিজস্ব উইকিপিডিয়া জীবনী পাতা সম্পাদনা করবেন না, দ্য নিউ ইয়র্কার কে বলেছিলেন যে, এই মানটি তার নিজের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ওয়েলস সতর্ক করেছিলেন যে পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনার কারণে এই ক্রিয়াকলাপটি নিরুৎসাহিত করা উচিতঃ "আমার ইচ্ছা হয় আমি যদি এটা না করতাম এবং এটি ছিলো তিক্ত অভিজ্ঞতা"।
আটলান্টিক বোমিসকে "ইন্টারনেটের প্লেবয়" নামে ডাকত এবং এই ডাকনাম অন্যান্য মিডিয়াও গ্রহণ করেছিলো। ওয়েলস "ইন্টারনেটের প্লেবয়' ডাকনামটিকে অনুপযুক্ত বলে মনে করেছিলেন যদিও তাকে সাক্ষাৎকারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে বোমিসে তাঁর সময়ে তাকে "পর্ন রাজা" বানিয়েছে কিনা। "ট্রুথ ইন নাম্বারস?" সম্পর্কিত ২০১০ সালের উইকিপিডিয়া তথ্যচিত্রে সাংবাদিকরা ওয়েলসের এই বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করেছে। ওয়েলস, ছবিটির সাক্ষাৎকারে, চরিত্রায়নটিকে ভুল বলেছিলেন এবং ব্যাখ্যা করেছেন যে তার সংস্থা গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত সামগ্রীর চাহিদাতে সাড়া দিয়েছে। পরবর্তী সাক্ষাৎকারে তিনি ইয়াহুর একটি পৃষ্ঠা দেখে সাংবাদিকদের বামনত্ব সম্পর্কিত পর্নোগ্রাফি সম্পর্কে "পর্ন কিং" প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। ২০০৭ এ রিজনের একটি নিবন্ধ অনুসারে, "তিনি যদি পর্ন কিং হন, তিনি পরামর্শ দিয়েছিলেন, তাহলে বিশ্বের বৃহত্তম ওয়েব পোর্টালের প্রধানও তিনিই"
দ্যা ক্রনিকল অফ ফিলান্ট্রোপি বমিসকে "ইন্টারনেটের একটি বিপণন সংস্থা ... যা কিছু সময়ের জন্য যৌনকাজের ফটোগ্রাফিতেও ব্যবসা করত" হিসাবে চিহ্নিত করে। জেফ হা তার বই ক্রাউডসোর্সিংয়ে লিখেছিলেন, "ওয়েলসের কম কল্যানকরের উদ্যোগ, একটি ওয়েব পোর্টাল যেটি বোমিস.কম নামে পরিচিত যা অন্যান্য সামগ্রীর সাথে সফট-কোর পর্নোগ্রাফির উপাদানও ছিলো। আইনি পণ্ডিত জোনাথন জিটট্রেন তার দ্য ফিউচার অফ ইন্টারনেট —এন্ড হাউ টু স্টপ ইট বইয়ে লিখেছেন যে "বমিস লোকদের যৌন ফটোগ্রাফি খুঁজে পেতে সহায়তা করত" এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি বিশেষ সামগ্রীর জন্য সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে আয় করত"। গার্ডিয়ান সাইটটিকে "প্রাপ্তবয়স্কদের শৈল্পিক বিনোদন স্থান" হিসাবে বর্ণনা করে এবং দ্য এজ বমিস ডট.কমকে "স্পষ্ট - সামগ্রী অনুসন্ধান ইঞ্জিন" বলে অভিহিত করে। বিজনেস ২.০ ম্যাগাজিন এটিকে উল্লেখ করে "একটি অনুসন্ধান পোর্টাল ... যা জনপ্রিয় অনুসন্ধান শব্দগুলির পাশাপাশি ওয়েবরিং তৈরি এবং হোস্ট করেছে, পাশাপাশি এতে অবাক হওয়ার মত প্রাপ্তবয়স্কদের বিষয়ও রয়েছে।"
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; wechselander
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি