পাতি মাছরাঙা | |
---|---|
পুরুষ A. a. bengalensis (মহারাষ্ট্র, ভারত) | |
স্ত্রী A. a. ispida (হাঙ্গেরি) | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | অ্যানিম্যালিয়া (Animalia) |
পর্ব: | কর্ডাটা |
গোষ্ঠী: | ডাইনোসরিয়া (Dinosauria) |
গোষ্ঠী: | সরিস্কিয়া (Saurischia) |
গোষ্ঠী: | থেরোপোডা (Theropoda) |
গোষ্ঠী: | Maniraptora |
গোষ্ঠী: | আভিয়ালে (Avialae) |
শ্রেণি: | এভিস (Aves) |
বর্গ: | Coraciiformes |
পরিবার: | Alcedinidae |
উপপরিবার: | Alcedininae |
গণ: | Alcedo (লিনিয়াস, ১৭৫৮) |
প্রজাতি: | A. atthis |
দ্বিপদী নাম | |
Alcedo atthis (লিনিয়াস, ১৭৫৮) | |
প্রজনন বিস্তৃতি
সারা বছর বসবাস অপ্রজনন বিস্তৃতি | |
প্রতিশব্দ | |
Gracula atthis লিনিয়াস, ১৭৫৮ |
পাতি মাছরাঙা (বৈজ্ঞানিক নাম: Alcedo atthis) আলসেডিনিডি (Alcedinidae) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত আলসেডো (Alcedo) গণের অন্তর্গত রঙচঙে ক্ষুদে মৎস্যশিকারী পাখি।[২][৩] পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও ইউরেশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। আকারে পাতি চড়ুইয়ের সমান এ পাখিটির লেজ খাটো ও মাথা দেহের তুলনায় স্বাভাবিকের চেয়ে বড়। দেহের উপরিভাগ নীল বা নীলচে-সবুজ, দেহতল কমলা এবং ঠোঁট চোখা ও লম্বা। এর প্রধান খাদ্য মাছ হলেও ব্যাঙাচি, জলজ পোকা ইত্যাদিও এর খাদ্য। পানিতে ঝাঁপিয়ে এরা মাছ ধরে। পানির নিচে শিকার দেখার জন্য এরা বিশেষভাবে অভিযোজিত। এরা জলস্রোতের পাড়ের গর্তে বাসা করে। ডিমের রঙ চকচকে সাদা। সাধারণত এরা অপরিযায়ী; তবে যেসব জায়গায় শীতকালে পানি জমে যায়, সেসব জায়গার মাছরাঙারা অন্যত্র পরিযান করে।
পাতি মাছরাঙার বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ আত্তিসের মাছরাঙা (লাতিন: alcedo = মাছরাঙা, atthis = আত্তিস, লেসবস নগরীর সুন্দরী, কবি সাফোর প্রিয়জন)।[৩]
সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ১ কোটি ৭৯ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস।[৪] ব্যাপকভাবে বিস্তৃত বলে আই. ইউ. সি. এন. প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[১] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।[৩] সারা বিশ্বে সম্ভবত ৬ লক্ষের কম পাতি মাছরাঙা রয়েছে।[৫]