মাহোমেট | |
---|---|
রচয়িতা | ভলতেয়ার |
চরিত্র | মাহোমেট (মুহাম্মাদ), ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক জপির, মক্কার নেতা ওমর, মুহাম্মাদের সেনাপ্রধান ও সামরিক নেতা সেয়িড, জপিরের পুত্র, মুহাম্মাদ কর্তৃক অপহৃত এবং জোরপূর্বক দাসত্ব করতে বাধ্য পালমিরা, জপিরের কন্যা, মুহাম্মাদ কর্তৃক অপহৃত এবং জোরপূর্বক দাসত্ব করতে বাধ্য ফেনর, মক্কার সভাসদ মক্কার গোত্রসমূহ মুহাম্মাদের অনুসারীগণ |
উদ্বোধনের তারিখ | ২৫ এপ্রিল ১৭৪১ |
উদ্বোধনের স্থান | লিলি, ফ্রান্স |
মূল ভাষা | ফরাসি |
বিষয় | ধর্মান্ধতা |
বর্গ | ট্র্যাজেডি |
ইসলামভীতি |
---|
নিয়ে ধারাবাহিকের অংশ |
মাহোমেট (ফরাসি: Le fanatisme, ou Mahomet le Prophete, আক্ষরিক অর্থে ধর্মান্ধতা বা মাহোমেট দ্য প্রফেট) হল ১৭৩৬ সালে ফরাসি নাট্যকার এবং দার্শনিক ভলতেয়ার রচিত একটি পাঁচ অঙ্কের ট্রাজেডি। ১৭৪১ সালের ২৫ এপ্রিল লিলিতে এটি প্রথম পরিবেশিত হয়।
নাটকের মাহোমেট (মুহাম্মদ) চরিত্রটি ধর্মান্ধ যে কিনা তার সমালোচকদের হত্যার আদেশ দেয়।[১] ভলতেয়ারের বক্তব্য- নাটকটি 'লেখা হয়েছে এক ভন্ড ও বর্বর সম্প্রদায়ের প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে'।[২]
নাটকের কাল মক্কা বিজয়ের সময় পূর্বের যুদ্ধবিরতি। প্রথম অঙ্কে 'মাহোমেট' সেনাপতি ওমরের সাথে কথা বলতে থাকে মক্কার এক বেপরোয়া মুক্তমনা নেতা জপির (কাল্পনিক) সম্পর্কে। জপিরের দুই ছেলে-মেয়েকে (সেয়িড ও পালমিরা) ১৫ বছর আগে তার অজান্তে গোপনে অপহরণ করা হয়। মাহোমেট পালমিরার প্রতি আকৃষ্ট হয়। তার আদেশে ধর্মান্ধ সেয়িড জপিরকে হত্যা করে।[৩] পরে ফেনর তাদের সব খুলে বলে। জপিরকে হত্যার দায়ে সেয়িড গ্রেফতার হয় আর পালমিরা আত্মহত্যা করে।[৪]
নাটকটি মুহাম্মদের নৈতিক চরিত্রের ওপর সরাসরি আক্রমণ, যদিও কাহিনী সম্পূর্ণ কাল্পনিক। উমর একজন বিখ্যাত ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব এবং ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা। সেয়িড এবং পালমিরা চরিত্র দুটি ইঙ্গিত করছে মুহাম্মদের পালক-পুত্র যায়েদ ইবনে হারেসা এবং তার স্ত্রী জয়নব বিনতে জাহাশকে।
ফরাসী ইতিহাসবিদ পিয়ের মিলজা মতপ্রকাশ করেন যে, হতে পারে ভলতেয়ারের লক্ষ্যবস্তু ছিল 'ক্যাথলিক চার্চের অসহিষ্ণুতা এবং যিশুর নামে অপরাধ'।[৫]
কিন্তু নাটকটি সম্পর্কে নাট্যকারের নিজের বক্তব্য অস্পষ্ট। ১৭৪২ সালের এক চিঠিতে তিনি লেখেন:
সেবছরই অন্য এক চিঠিতে তিনি ব্যাখ্যা করেন যে এর অন্তর্নিহিত কাহিনী সন্ন্যাসী জ্যাক ক্লেমেন্ট কর্তৃক রাজা তৃতীয় হেনরিকে গুপ্তহত্যা (১৫৮৯)।[৭] 1745 সালে ভলতেয়ার পোপ চতুর্দশ বেনেডিক্টকে নাটকটি উৎসর্গ করেন।[২]
২০০৫ সালে ফ্রান্সে নাটকটির মঞ্চায়নের সময় তা বন্ধের দাবি ওঠে এবং সড়কে বিক্ষোভ হয়। তবে শহরের মেয়র বার্ট্রান্ড নাটকটি বন্ধ করেননি।[৮]
নেপোলিয়ন সেন্ট হেলেনাতে তার বন্দিদশায় এই নাটকে নবী মুহাম্মাদের নেতিবাচক চিত্রায়নের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন যে, ভলতেয়ার 'একজন মহামানবকে শঠ ও অত্যাচারী রূপে' উপস্থাপন করেছেন: